রিমন রহমান, রাজশাহী
রাজশাহীতে ফসলি জমিতে খনন করা হচ্ছে পুকুর। গত পাঁচ বছরে প্রায় ২২ হাজার হেক্টর আবাদি জমি গেছে পুকুরের পেটে। এ ছাড়া নতুন নতুন ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। একরের পর একর কৃষিজমিতে করা হচ্ছে আবাসন প্রকল্প। এসব কারণে দিনে দিনে কমছে কৃষিজমি।
কৃষিজমিতে পুকুর খনন
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় এক যুগ আগে রাজশাহীতে পুকুর খননের হিড়িক পড়ে। জেলার পবা, মোহনপুর, দুর্গাপুর, পুঠিয়া, চারঘাট, বাঘা ও বাগমারা উপজেলার মাঠে মাঠে পুকুর কাটা হয় তিন ফসলি জমিতে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করা যায় না। তাই অবৈধভাবে পুকুর খনন ঠেকাতে মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তাতেও পুকুর কাটা বন্ধ হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ-প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ‘ম্যানেজ’ করেও পুকুর খনন করা হয়েছে।
মৎস্য বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালেও জেলায় বাণিজ্যিক মাছের খামার ছিল ৩ হাজার ৪৬২ হেক্টর জমিতে। ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয় ১২ হাজার ৩০৯ হেক্টর। ২০২২ সালে হয় ২৫ হাজার ৩০৯ হেক্টর। জেলায় এখন বাণিজ্যিক মাছের খামারের সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি। এই পাঁচ বছরেই প্রায় ২২ হাজার হেক্টর আবাদি জমি গেছে পুকুরের পেটে। যেখানে-সেখানে পুকুর খননের কারণে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে ফসলের আবাদও কমে গেছে।
জানতে চাইলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কৃষির চারটি বিভাগ রয়েছে—ফসল উৎপাদন, বনায়ন এবং প্রাণিসম্পদের মতো মৎস্যও কৃষির অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং পুকুরের কারণে জমি কমে যাচ্ছে, তা বলা যাবে না। দেশে মাছেরও উৎপাদন প্রয়োজন। পুকুর হলে তো সমস্যা নেই।’
গবেষক ও উন্নয়নকর্মী পাভেল পার্থ বলেন, ‘মানুষ কি তাহলে শুধু মাছই খাবে? তিন ফসলি জমিতে তো অন্য ফসলও করা যেত। আমাদের দুধ-ডিম, ভাতও খেতে হবে। এখন মাছ ছাড়া কিছুই হবে না। আইনে আছে, কোনোভাবেই কৃষিজমির বৈশিষ্ট্য নষ্ট করা যাবে না। কিন্তু পুকুর কেটে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হচ্ছে। তাই মৎস্য কৃষির অন্তর্ভুক্ত হলেও কৃষিজমিতে খামার করা যাবে না।’ এ জন্য দক্ষিণাঞ্চলের চিংড়িঘেরের ক্ষেত্রে আইন আছে। কোন জমিতে ঘের হবে, তার উল্লেখ আছে। বরেন্দ্র অঞ্চলেও কোথায় পুকুর হবে, তার জন্য আইন দরকার। কোথায় কী উৎপাদিত হবে, সেই জোনিং করতে হবে।
আবাসন প্রকল্প
রাজশাহী শহরসংলগ্ন গ্রামগুলোর কৃষিজমিতে এখন গড়ে তোলা হচ্ছে আবাসন প্রকল্প। কৃষকের কাছ থেকে জমি কিনে নিয়ে প্লট আকারে তা বিক্রি করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কোনো নিয়মনীতিরই তোয়াক্কা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। নগরীর সিটিহাট এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমি কেনা শুরু করেছে আমানা গ্রুপ। এখানে আমানা উত্তরায়ণ সিটি করার সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ধানখেতের ভেতর লাগানো হয়েছে সাইনবোর্ডগুলো।
শহরের পশ্চিম প্রান্তে পবা উপজেলার দামকুড়া ইউনিয়ন। দামকুড়ার মধুপুর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ফসলি জমিতে সীমানাপ্রাচীর দিয়ে প্লট আকারে বিক্রি করা হচ্ছে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা কাঠা হিসাবে। মধুপুরে মাজদার সরকার নামের এক ব্যক্তির ১০ বিঘা কৃষিজমি কিনে একটি আবাসন প্রকল্প করেছেন মো. জাহাঙ্গীর, মো. মন্টু, মো. জাহাঙ্গীর ও মো. রফি নামের চার ব্যক্তি। এ রকম প্রকল্প করতে কয়েকটি সরকারি দপ্তরের অনুমোদন লাগলেও তাঁরা কিছুই নেননি। বিষয়টি স্বীকার করে রফি বলেন, ‘এই এলাকায় অনেক প্রকল্প হচ্ছে। কারও অনুমোদন নেই, আমাদেরও নেই। এভাবেই প্রকল্প হচ্ছে।’
অভিযোগ পাওয়া গেছে, আবাসন ব্যবসায়ীরা কৃষকের কাছ থেকে জোর করেও জমি কিনছেন। গোদাগাড়ী উপজেলার সোনাদীঘি এলাকায় এ রকম সমস্যায় পড়েছেন মাসুদ রানা সনি। তিনি জানান, বাবার মৃত্যুর পর তিনি তাঁর রেখে যাওয়া জমি আঁকড়ে ধরে আছেন। চাষবাস করে সংসার চালান। আশপাশের কৃষকেরা আবাসন ব্যবসায়ীদের কাছে জমি বিক্রি করে দিয়েছেন। তাঁকেও বিক্রি করতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। জমিতে ফসল করতে দেওয়া হচ্ছে না।
বসতবাড়ি নির্মাণ
রাজশাহীতে তেমন শিল্প-কারখানা হয়নি। তবে নতুন নতুন ঘরবাড়ি নির্মাণের কারণেও কৃষিজমি কমছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর কৃষিশুমারি ২০১৯-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে রাজশাহীতে খানার সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৫টি। ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৮৮৮টি। এক দশকে খানা বেড়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৫২৩টি।
রাজশাহীতে ২০০৮ সালে চাষাবাদ হতো ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমি। ২০১৯ সালে তা কমে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৩৩ হেক্টরে নেমে আসে। অর্থাৎ এক দশকেই ১০ হাজার ২২৬ হেক্টর কৃষিজমি কমেছে। ২০০৮ সালে আবাদি জমির আয়তনের পরিমাণ ছিল শতকরা ৭৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। ২০১৯ সালে তা কমে ৬৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ হয়েছে।
অসহায় কৃষি বিভাগ
প্রতিদিন কৃষিজমি কমে গেলেও তা রক্ষায় নিজেদের অসহায়ত্বের কথা বলছে কৃষি বিভাগ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক শামছুল ওয়াদুদ বলেন, ‘কৃষিজমিতে কোথাও প্লট হলে কিংবা পুকুর কাটা হলে আমরা গিয়ে সরাসরি বাধা দিতে পারি না। এ জন্য শক্ত কোনো আইন নেই। কৃষিজমি কমে যাচ্ছে দেখে আমরা প্রায়ই স্থানীয় প্রশাসনকে জানাই। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলি।’
জানতে চাইলে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘অবৈধভাবে তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন দেখলেই আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানো হয়। তারপরও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পুকুর খনন করা হয়। আর যেকোনো স্থানেই আবাসন প্রকল্প করতে হলে জেলা প্রশাসনের অনুমোদন লাগে। কেউ অনুমোদন না নিয়ে করলে আমরা ব্যবস্থা নেব। যদি প্লট আকারে জমি বিক্রির আবেদন আসে, তখন আমরা দেখি, জমিটিতে বছরে কয়টা ফসল হচ্ছে। আমরাও কৃষিজমি নষ্ট করতে দিই না। এ ক্ষেত্রে কৃষিজমি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর যে নির্দেশনা, আমরা সেটিই বাস্তবায়ন করি।’
রাজশাহীতে ফসলি জমিতে খনন করা হচ্ছে পুকুর। গত পাঁচ বছরে প্রায় ২২ হাজার হেক্টর আবাদি জমি গেছে পুকুরের পেটে। এ ছাড়া নতুন নতুন ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। একরের পর একর কৃষিজমিতে করা হচ্ছে আবাসন প্রকল্প। এসব কারণে দিনে দিনে কমছে কৃষিজমি।
কৃষিজমিতে পুকুর খনন
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় এক যুগ আগে রাজশাহীতে পুকুর খননের হিড়িক পড়ে। জেলার পবা, মোহনপুর, দুর্গাপুর, পুঠিয়া, চারঘাট, বাঘা ও বাগমারা উপজেলার মাঠে মাঠে পুকুর কাটা হয় তিন ফসলি জমিতে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করা যায় না। তাই অবৈধভাবে পুকুর খনন ঠেকাতে মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তাতেও পুকুর কাটা বন্ধ হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ-প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ‘ম্যানেজ’ করেও পুকুর খনন করা হয়েছে।
মৎস্য বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালেও জেলায় বাণিজ্যিক মাছের খামার ছিল ৩ হাজার ৪৬২ হেক্টর জমিতে। ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয় ১২ হাজার ৩০৯ হেক্টর। ২০২২ সালে হয় ২৫ হাজার ৩০৯ হেক্টর। জেলায় এখন বাণিজ্যিক মাছের খামারের সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি। এই পাঁচ বছরেই প্রায় ২২ হাজার হেক্টর আবাদি জমি গেছে পুকুরের পেটে। যেখানে-সেখানে পুকুর খননের কারণে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে ফসলের আবাদও কমে গেছে।
জানতে চাইলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কৃষির চারটি বিভাগ রয়েছে—ফসল উৎপাদন, বনায়ন এবং প্রাণিসম্পদের মতো মৎস্যও কৃষির অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং পুকুরের কারণে জমি কমে যাচ্ছে, তা বলা যাবে না। দেশে মাছেরও উৎপাদন প্রয়োজন। পুকুর হলে তো সমস্যা নেই।’
গবেষক ও উন্নয়নকর্মী পাভেল পার্থ বলেন, ‘মানুষ কি তাহলে শুধু মাছই খাবে? তিন ফসলি জমিতে তো অন্য ফসলও করা যেত। আমাদের দুধ-ডিম, ভাতও খেতে হবে। এখন মাছ ছাড়া কিছুই হবে না। আইনে আছে, কোনোভাবেই কৃষিজমির বৈশিষ্ট্য নষ্ট করা যাবে না। কিন্তু পুকুর কেটে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হচ্ছে। তাই মৎস্য কৃষির অন্তর্ভুক্ত হলেও কৃষিজমিতে খামার করা যাবে না।’ এ জন্য দক্ষিণাঞ্চলের চিংড়িঘেরের ক্ষেত্রে আইন আছে। কোন জমিতে ঘের হবে, তার উল্লেখ আছে। বরেন্দ্র অঞ্চলেও কোথায় পুকুর হবে, তার জন্য আইন দরকার। কোথায় কী উৎপাদিত হবে, সেই জোনিং করতে হবে।
আবাসন প্রকল্প
রাজশাহী শহরসংলগ্ন গ্রামগুলোর কৃষিজমিতে এখন গড়ে তোলা হচ্ছে আবাসন প্রকল্প। কৃষকের কাছ থেকে জমি কিনে নিয়ে প্লট আকারে তা বিক্রি করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কোনো নিয়মনীতিরই তোয়াক্কা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। নগরীর সিটিহাট এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমি কেনা শুরু করেছে আমানা গ্রুপ। এখানে আমানা উত্তরায়ণ সিটি করার সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ধানখেতের ভেতর লাগানো হয়েছে সাইনবোর্ডগুলো।
শহরের পশ্চিম প্রান্তে পবা উপজেলার দামকুড়া ইউনিয়ন। দামকুড়ার মধুপুর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ফসলি জমিতে সীমানাপ্রাচীর দিয়ে প্লট আকারে বিক্রি করা হচ্ছে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা কাঠা হিসাবে। মধুপুরে মাজদার সরকার নামের এক ব্যক্তির ১০ বিঘা কৃষিজমি কিনে একটি আবাসন প্রকল্প করেছেন মো. জাহাঙ্গীর, মো. মন্টু, মো. জাহাঙ্গীর ও মো. রফি নামের চার ব্যক্তি। এ রকম প্রকল্প করতে কয়েকটি সরকারি দপ্তরের অনুমোদন লাগলেও তাঁরা কিছুই নেননি। বিষয়টি স্বীকার করে রফি বলেন, ‘এই এলাকায় অনেক প্রকল্প হচ্ছে। কারও অনুমোদন নেই, আমাদেরও নেই। এভাবেই প্রকল্প হচ্ছে।’
অভিযোগ পাওয়া গেছে, আবাসন ব্যবসায়ীরা কৃষকের কাছ থেকে জোর করেও জমি কিনছেন। গোদাগাড়ী উপজেলার সোনাদীঘি এলাকায় এ রকম সমস্যায় পড়েছেন মাসুদ রানা সনি। তিনি জানান, বাবার মৃত্যুর পর তিনি তাঁর রেখে যাওয়া জমি আঁকড়ে ধরে আছেন। চাষবাস করে সংসার চালান। আশপাশের কৃষকেরা আবাসন ব্যবসায়ীদের কাছে জমি বিক্রি করে দিয়েছেন। তাঁকেও বিক্রি করতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। জমিতে ফসল করতে দেওয়া হচ্ছে না।
বসতবাড়ি নির্মাণ
রাজশাহীতে তেমন শিল্প-কারখানা হয়নি। তবে নতুন নতুন ঘরবাড়ি নির্মাণের কারণেও কৃষিজমি কমছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর কৃষিশুমারি ২০১৯-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে রাজশাহীতে খানার সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৫টি। ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৮৮৮টি। এক দশকে খানা বেড়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৫২৩টি।
রাজশাহীতে ২০০৮ সালে চাষাবাদ হতো ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমি। ২০১৯ সালে তা কমে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৩৩ হেক্টরে নেমে আসে। অর্থাৎ এক দশকেই ১০ হাজার ২২৬ হেক্টর কৃষিজমি কমেছে। ২০০৮ সালে আবাদি জমির আয়তনের পরিমাণ ছিল শতকরা ৭৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। ২০১৯ সালে তা কমে ৬৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ হয়েছে।
অসহায় কৃষি বিভাগ
প্রতিদিন কৃষিজমি কমে গেলেও তা রক্ষায় নিজেদের অসহায়ত্বের কথা বলছে কৃষি বিভাগ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক শামছুল ওয়াদুদ বলেন, ‘কৃষিজমিতে কোথাও প্লট হলে কিংবা পুকুর কাটা হলে আমরা গিয়ে সরাসরি বাধা দিতে পারি না। এ জন্য শক্ত কোনো আইন নেই। কৃষিজমি কমে যাচ্ছে দেখে আমরা প্রায়ই স্থানীয় প্রশাসনকে জানাই। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলি।’
জানতে চাইলে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘অবৈধভাবে তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন দেখলেই আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানো হয়। তারপরও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পুকুর খনন করা হয়। আর যেকোনো স্থানেই আবাসন প্রকল্প করতে হলে জেলা প্রশাসনের অনুমোদন লাগে। কেউ অনুমোদন না নিয়ে করলে আমরা ব্যবস্থা নেব। যদি প্লট আকারে জমি বিক্রির আবেদন আসে, তখন আমরা দেখি, জমিটিতে বছরে কয়টা ফসল হচ্ছে। আমরাও কৃষিজমি নষ্ট করতে দিই না। এ ক্ষেত্রে কৃষিজমি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর যে নির্দেশনা, আমরা সেটিই বাস্তবায়ন করি।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে