বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কুন্দারহাট এলাকায় ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে লোকজনের কাছ থেকে টাকা তুলছিলেন আব্দুর রহমান। ওই সময় স্থানীয় লোকজন তাঁকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। এরপর নন্দীগ্রামের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে উপস্থিত লোকজনের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আব্দুর রহমানকে ১৮৭৯ সালের টাউট আইনে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। স্থানীয় লোকজন শাস্তি বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বলেছিলেন, ওই ব্যক্তি ১ মাসে ৩০-৩৫ জনের কাছ থেকে ২০-২৫ হাজার করে ৭-৮ লাখ টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছেন।
দেশের অধিকাংশ সরকারি সেবা প্রতিষ্ঠান ঘিরে সক্রিয় এমন টাউট ও দালাল চক্র। সেবা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তারা মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয়। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসকেরা (ডিসি) কয়েক বছর ধরেই তাঁদের সম্মেলনে টাউট আইন যুগোপযোগী করার প্রস্তাব দিয়ে আসছেন।
তাঁরা বলছেন, আইনটিতে শুধু সুপ্রিম কোর্ট, জেলা জজ, দায়রা জজ, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলার কালেক্টরের নিচে নন এমন রাজস্ব কর্মকর্তাকে টাউটদের তালিকা করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জেলার অন্যান্য সরকারি দপ্তরেও টাউট বা দালালদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। তাই অন্যান্য দপ্তরের টাউট বা দালালদের প্রকাশ্য তালিকা প্রণয়নের বিধান করা উচিত। এ ছাড়া আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি তিন মাস কারাদণ্ড অথবা ৫০০ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান আছে। ডিসিরা মনে করেন, এটি অপর্যাপ্ত। সাজা বাড়ানো প্রয়োজন।
এমন পরিস্থিতিতে অন্যান্য দপ্তরেও কার্যকর করতে ১৫০ বছরের পুরোনো টাউট আইন সংশোধন করছে সরকার। আইনে নতুন কয়েকটি ধারা যুক্ত করে জরিমানা ও সাজার মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হচ্ছে। এ নিয়ে একাধিক আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (আইন) মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, জরিমানা ও শাস্তির মেয়াদ বাড়িয়ে বিদ্যমান টাউট আইন সংশোধন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। আরও কয়েকটি বৈঠকের পর খসড়া চূড়ান্ত হবে।
প্রস্তাবিত খসড়ায় টাউট প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, যিনি কমিশনের বিনিময়ে বিরোধী পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন, সুবিধার ব্যবস্থা করেন বা মতবিরোধের অবসান ঘটান বা ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে লেনদেনের ব্যবস্থা করেন। যিনি অবৈধ অর্থ লাভের বিনিময়ে কোনো আইন পেশাজীবীর জন্য পেশাসম্পর্কিত কোনো কাজ সংগ্রহ করেন; অথবা আইন পেশায় সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে অবৈধ অর্থ লাভের বিনিময়ে তাঁদের জন্য ওই রূপ কাজ সংগ্রহের প্রস্তাব দেন, তিনিও টাউট হিসেবে গণ্য হবেন।
এ ছাড়া যিনি দেওয়ানি, ফৌজদারি অথবা রাজস্ব আদালত প্রাঙ্গণ বা ভূমি অফিস বা রাজস্ব অফিস বা রেজিস্ট্রি অফিস, থানা, হাসপাতাল, পাসপোর্ট অফিস, রোড ট্রান্সপোর্ট অফিস বা সরকারি লাইসেন্স প্রদানকারী দপ্তর বা সরকারি সেবাসংক্রান্ত কোনো অফিস বা রেলওয়ে স্টেশন বা অবতরণ কেন্দ্র (টার্মিনাল) বা পাবলিক রিসোর্ট বা অন্যান্য প্রযোজ্য স্থানে এবং এর আশপাশে ঘন ঘন যাতায়াত করে ওই ধরনের কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন।
এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার সামির সাত্তার বলেন, ‘টাউট আইনে সাজা বাড়ানো সময়ের দাবি। এটি সম্পূর্ণভাবে টাউটদের দৌরাত্ম্য রোধ করতে না পারলেও এর যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত হলে কর্মস্থলে টাউটদের উৎপাত রোধে সহায়তা করবে বলে আমার বিশ্বাস। এতে সাধারণ মানুষের হয়রানি কমবে এবং সেবাগ্রহীতাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরবে।’ তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করার ধারা সংযুক্ত করে আইনটি সংশোধন করা উচিত।
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কুন্দারহাট এলাকায় ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে লোকজনের কাছ থেকে টাকা তুলছিলেন আব্দুর রহমান। ওই সময় স্থানীয় লোকজন তাঁকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। এরপর নন্দীগ্রামের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে উপস্থিত লোকজনের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আব্দুর রহমানকে ১৮৭৯ সালের টাউট আইনে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। স্থানীয় লোকজন শাস্তি বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বলেছিলেন, ওই ব্যক্তি ১ মাসে ৩০-৩৫ জনের কাছ থেকে ২০-২৫ হাজার করে ৭-৮ লাখ টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছেন।
দেশের অধিকাংশ সরকারি সেবা প্রতিষ্ঠান ঘিরে সক্রিয় এমন টাউট ও দালাল চক্র। সেবা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তারা মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয়। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসকেরা (ডিসি) কয়েক বছর ধরেই তাঁদের সম্মেলনে টাউট আইন যুগোপযোগী করার প্রস্তাব দিয়ে আসছেন।
তাঁরা বলছেন, আইনটিতে শুধু সুপ্রিম কোর্ট, জেলা জজ, দায়রা জজ, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলার কালেক্টরের নিচে নন এমন রাজস্ব কর্মকর্তাকে টাউটদের তালিকা করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জেলার অন্যান্য সরকারি দপ্তরেও টাউট বা দালালদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। তাই অন্যান্য দপ্তরের টাউট বা দালালদের প্রকাশ্য তালিকা প্রণয়নের বিধান করা উচিত। এ ছাড়া আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি তিন মাস কারাদণ্ড অথবা ৫০০ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান আছে। ডিসিরা মনে করেন, এটি অপর্যাপ্ত। সাজা বাড়ানো প্রয়োজন।
এমন পরিস্থিতিতে অন্যান্য দপ্তরেও কার্যকর করতে ১৫০ বছরের পুরোনো টাউট আইন সংশোধন করছে সরকার। আইনে নতুন কয়েকটি ধারা যুক্ত করে জরিমানা ও সাজার মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হচ্ছে। এ নিয়ে একাধিক আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (আইন) মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, জরিমানা ও শাস্তির মেয়াদ বাড়িয়ে বিদ্যমান টাউট আইন সংশোধন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। আরও কয়েকটি বৈঠকের পর খসড়া চূড়ান্ত হবে।
প্রস্তাবিত খসড়ায় টাউট প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, যিনি কমিশনের বিনিময়ে বিরোধী পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন, সুবিধার ব্যবস্থা করেন বা মতবিরোধের অবসান ঘটান বা ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে লেনদেনের ব্যবস্থা করেন। যিনি অবৈধ অর্থ লাভের বিনিময়ে কোনো আইন পেশাজীবীর জন্য পেশাসম্পর্কিত কোনো কাজ সংগ্রহ করেন; অথবা আইন পেশায় সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে অবৈধ অর্থ লাভের বিনিময়ে তাঁদের জন্য ওই রূপ কাজ সংগ্রহের প্রস্তাব দেন, তিনিও টাউট হিসেবে গণ্য হবেন।
এ ছাড়া যিনি দেওয়ানি, ফৌজদারি অথবা রাজস্ব আদালত প্রাঙ্গণ বা ভূমি অফিস বা রাজস্ব অফিস বা রেজিস্ট্রি অফিস, থানা, হাসপাতাল, পাসপোর্ট অফিস, রোড ট্রান্সপোর্ট অফিস বা সরকারি লাইসেন্স প্রদানকারী দপ্তর বা সরকারি সেবাসংক্রান্ত কোনো অফিস বা রেলওয়ে স্টেশন বা অবতরণ কেন্দ্র (টার্মিনাল) বা পাবলিক রিসোর্ট বা অন্যান্য প্রযোজ্য স্থানে এবং এর আশপাশে ঘন ঘন যাতায়াত করে ওই ধরনের কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন।
এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার সামির সাত্তার বলেন, ‘টাউট আইনে সাজা বাড়ানো সময়ের দাবি। এটি সম্পূর্ণভাবে টাউটদের দৌরাত্ম্য রোধ করতে না পারলেও এর যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত হলে কর্মস্থলে টাউটদের উৎপাত রোধে সহায়তা করবে বলে আমার বিশ্বাস। এতে সাধারণ মানুষের হয়রানি কমবে এবং সেবাগ্রহীতাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরবে।’ তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করার ধারা সংযুক্ত করে আইনটি সংশোধন করা উচিত।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪