সনি আজাদ, চারঘাট
কৃষি খাতকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কৃষকদের মধ্যে সহজ শর্তে কৃষিঋণ, কৃষিতে ভর্তুকিসহ বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা দিয়ে সহযোগিতা করছে সরকার। তেমনি পাটের উৎপাদন বাড়াতে ও চাষে উদ্বুদ্ধ করতে পাটচাষিদের বিনা মূল্যে বীজ ও সার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রণোদনার পাটবীজ-সার বিতরণে অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন কৃষকেরা।
কৃষকেরা বলছেন, যাঁরা সরকারি পাটবীজ পেয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই প্রকৃত পাটচাষি নন। এক বিঘা চাষযোগ্য জমি না থাকলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পাট কর্মকর্তারা স্বজনপ্রীতি করে পাটবীজ বিতরণ করেছেন। অপরদিকে যারা পাটবীজ পেয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশের অভিযোগ, বীজ পেলেও তাঁরা প্রণোদনার সার পাননি। এমন পরিস্থিতিতে, স্থানীয় পাট উন্নয়ন অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদে ধরনা দিয়েও বীজ-সার না পাওয়ায় এ মৌসুমে পাট চাষ ব্যাহত হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
উপজেলা পাট উন্নয়ন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ২ হাজার ২১৮ জন কৃষককে জনপ্রতি এক কেজি পাটবীজ ও ১২ কেজি সার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে কৃষকপ্রতি ছয় কেজি ইউরিয়া, তিন কেজি টিএসপি, তিন কেজি এমওপিসহ মোট ১২ কেজি সার পাওয়ার কথা। কিন্তু অধিকাংশ কৃষকই সার পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।
উপজেলার ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের বাসিন্দা রোকনুজ্জামান সোহেল বলেন, তিনি ঈদের আগে এক কেজি পাটবীজ পেয়েছেন। তবে সার বরাদ্দের কথা লোকমুখে শুনলেও এখনো পাননি।
সারের বিষয়ে জানতে চাইলে ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, ‘পাটের বীজের সঙ্গে কোনো সার বরাদ্দ আছে কি না, আমার জানা নেই। পাট কর্মকর্তারাও আমাকে বিষয়টি জানাননি। এক কেজি সারও আমি বরাদ্দ পাইনি।’
উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা সাদেক আলী বলেন, তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাটবীজ পেয়ে জমিতে বপন করেছেন। তবে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেও সার পাননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউসুফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম মাখন বলেন, প্রণোদনার সার- বীজ পেয়ে ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। এখন কোনো কৃষক না পেলে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যের কাছে খোঁজ নিতে হবে।
জয়পুর এলাকার ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম বলেন, তিনি নিজ হাতে কিছুই বিতরণ করেননি। বরাদ্দ পাওয়া বীজ ও সার সঠিকভাবে লোক মারফত পাঠানো হয়েছে। সাদেক আলীর বিষয়টির খোঁজ নেওয়া হবে।
উপজেলার রাওথা গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে সার ও বীজের দাম গতবারের চেয়ে অনেক বেশি। ভেবেছিলাম প্রণোদনা পেলে পাট চাষ করব। যাদের এক বিঘা জমি নেই, তাদের পাটের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। অথচ আমরা জমি তৈরি করে রেখেও বীজ-সারের প্রণোদনা পাইনি।’
পাটের প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণের সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন, অধিকাংশ তালিকা জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে করা হয়েছে। চারঘাটের প্রতিটি ইউনিয়নের বরাদ্দ করা বীজ ও সার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তালিকায় নাম থাকার পরও কোনো কৃষক বীজ ও সার সঠিকভাবে না পেয়ে থাকলে খোঁজখবর নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কৃষি খাতকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কৃষকদের মধ্যে সহজ শর্তে কৃষিঋণ, কৃষিতে ভর্তুকিসহ বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা দিয়ে সহযোগিতা করছে সরকার। তেমনি পাটের উৎপাদন বাড়াতে ও চাষে উদ্বুদ্ধ করতে পাটচাষিদের বিনা মূল্যে বীজ ও সার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রণোদনার পাটবীজ-সার বিতরণে অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন কৃষকেরা।
কৃষকেরা বলছেন, যাঁরা সরকারি পাটবীজ পেয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই প্রকৃত পাটচাষি নন। এক বিঘা চাষযোগ্য জমি না থাকলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পাট কর্মকর্তারা স্বজনপ্রীতি করে পাটবীজ বিতরণ করেছেন। অপরদিকে যারা পাটবীজ পেয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশের অভিযোগ, বীজ পেলেও তাঁরা প্রণোদনার সার পাননি। এমন পরিস্থিতিতে, স্থানীয় পাট উন্নয়ন অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদে ধরনা দিয়েও বীজ-সার না পাওয়ায় এ মৌসুমে পাট চাষ ব্যাহত হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
উপজেলা পাট উন্নয়ন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ২ হাজার ২১৮ জন কৃষককে জনপ্রতি এক কেজি পাটবীজ ও ১২ কেজি সার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে কৃষকপ্রতি ছয় কেজি ইউরিয়া, তিন কেজি টিএসপি, তিন কেজি এমওপিসহ মোট ১২ কেজি সার পাওয়ার কথা। কিন্তু অধিকাংশ কৃষকই সার পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।
উপজেলার ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের বাসিন্দা রোকনুজ্জামান সোহেল বলেন, তিনি ঈদের আগে এক কেজি পাটবীজ পেয়েছেন। তবে সার বরাদ্দের কথা লোকমুখে শুনলেও এখনো পাননি।
সারের বিষয়ে জানতে চাইলে ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, ‘পাটের বীজের সঙ্গে কোনো সার বরাদ্দ আছে কি না, আমার জানা নেই। পাট কর্মকর্তারাও আমাকে বিষয়টি জানাননি। এক কেজি সারও আমি বরাদ্দ পাইনি।’
উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা সাদেক আলী বলেন, তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাটবীজ পেয়ে জমিতে বপন করেছেন। তবে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেও সার পাননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউসুফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম মাখন বলেন, প্রণোদনার সার- বীজ পেয়ে ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। এখন কোনো কৃষক না পেলে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যের কাছে খোঁজ নিতে হবে।
জয়পুর এলাকার ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম বলেন, তিনি নিজ হাতে কিছুই বিতরণ করেননি। বরাদ্দ পাওয়া বীজ ও সার সঠিকভাবে লোক মারফত পাঠানো হয়েছে। সাদেক আলীর বিষয়টির খোঁজ নেওয়া হবে।
উপজেলার রাওথা গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে সার ও বীজের দাম গতবারের চেয়ে অনেক বেশি। ভেবেছিলাম প্রণোদনা পেলে পাট চাষ করব। যাদের এক বিঘা জমি নেই, তাদের পাটের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। অথচ আমরা জমি তৈরি করে রেখেও বীজ-সারের প্রণোদনা পাইনি।’
পাটের প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণের সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন, অধিকাংশ তালিকা জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে করা হয়েছে। চারঘাটের প্রতিটি ইউনিয়নের বরাদ্দ করা বীজ ও সার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তালিকায় নাম থাকার পরও কোনো কৃষক বীজ ও সার সঠিকভাবে না পেয়ে থাকলে খোঁজখবর নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে