ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ডরিজাতপুর গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে মো. শাহজাহান। ‘আসছি’ বলে এক রাতে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। সেই থেকে তাঁর খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। অবশেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বাড়ি ফিরেছেন শাহজাহান। নিখোঁজের এই দীর্ঘ সময় ভারতে ছিলেন তিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে গতকাল শাহজাহানসহ পাচারের শিকার ছয় বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
ফিরে আসা এই ছয় বাংলাদেশি হলেন—ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার চরকালি বাজাইল গ্রামের আলপনা খাতুন, বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের জিয়ারুল ইসলাম, জামালপুর জেলা সদরের নারিকেলি গ্রামের মানিক মিয়া, ঢাকার কেরানীগঞ্জের রিনা আক্তার, কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের ভাস্করটিলা গ্রামের হানিফা আক্তার ও মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার শাহজাহান।
গতকাল দুপুরে আখাউড়া স্থলবন্দরের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়। এ সময় ভারতের ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ জুবায়েদ হোসেন, প্রথম সচিব ও দূতালয়ের প্রধান এস এম আসাদুজ্জামান, প্রথম সচিব মো. রেজাউল হক, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আক্তার, বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কর্মসূচি প্রধান শরিফুল হাসান ও ফিরে আসা ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ছয় আপনজনকে ফিরে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন তাঁদের স্বজনেরা। মাকে ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রিনা আক্তারের মেয়ে শিফা মণি। এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী শিফা বলেন, ‘কত দিন মাকে দেখি না। সবাই মায়ের হাত ধরে স্কুলে যায়। আমি সেটা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। মা আসবে জেনে দুই বছর ধরে অপেক্ষায় আছি। আজ সেই অপেক্ষা ফুরাল।’
মাকে নিতে সীমান্তে এসেছিলেন হানিফা আক্তারের ছেলে ইয়াছিন। তিনি জানান, পাঁচ বছর আগে হঠাৎ করে তাঁর মা হারিয়ে যান। তাঁরা ভেবেছিলেন কোনো আত্মীয়ের বাড়িতে গেছেন। পরে নানাবাড়ি করিমগঞ্জ থানায় খোঁজ করেন। কিন্তু পাননি। পরে মে মাসে পুলিশ খোঁজ নিতে বাড়িতে এলে জানতে পারেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় আছেন তাঁর মা।
জানা যায়, ফেরত আসা এসব বাংলাদেশির সবাই মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ত্রিপুরায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হতে আটক হন। পরে আদালতের নির্দেশে আগরতলার মডার্ন সাইক্রিয়াট্রিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তাঁরা। এদের অনেকেই এই হাসপাতালে চার থেকে পাঁচ বছর বা আরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ার পর তাঁদের দেশে ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই হাসপাতালে পাচারের শিকার আরও অনেক বাংলাদেশি আছেন।
গতকাল ফিরে আসাদের একজন জিয়ারুলের আত্মীয় মোহাম্মদ রাজ্জাক জানান, ২০১৪ সালে তাঁর ভায়রা জিয়ারুল নিখোঁজ হন। তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। এমন একজন মানুষ কীভাবে ভারতে পাচার হলেন, সেটা নিয়ে তাঁরাও বিস্মিত।
আলপনা খাতুনের চাচাতো ভাই দুলাল জানান, ১০ বছর আগে হঠাৎ করে একদিন তাঁদের বোন নিখোঁজ হন। অনেক পরে পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারেন আগরতলায় মানসিক হাসপাতালে আছেন। ‘কিন্তু কীভাবে গেল বুঝতে পারছি না।’—বললেন দুলাল।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ডরিজাতপুর গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে মো. শাহজাহান। ‘আসছি’ বলে এক রাতে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। সেই থেকে তাঁর খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। অবশেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বাড়ি ফিরেছেন শাহজাহান। নিখোঁজের এই দীর্ঘ সময় ভারতে ছিলেন তিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে গতকাল শাহজাহানসহ পাচারের শিকার ছয় বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
ফিরে আসা এই ছয় বাংলাদেশি হলেন—ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার চরকালি বাজাইল গ্রামের আলপনা খাতুন, বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের জিয়ারুল ইসলাম, জামালপুর জেলা সদরের নারিকেলি গ্রামের মানিক মিয়া, ঢাকার কেরানীগঞ্জের রিনা আক্তার, কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের ভাস্করটিলা গ্রামের হানিফা আক্তার ও মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার শাহজাহান।
গতকাল দুপুরে আখাউড়া স্থলবন্দরের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়। এ সময় ভারতের ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ জুবায়েদ হোসেন, প্রথম সচিব ও দূতালয়ের প্রধান এস এম আসাদুজ্জামান, প্রথম সচিব মো. রেজাউল হক, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আক্তার, বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কর্মসূচি প্রধান শরিফুল হাসান ও ফিরে আসা ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ছয় আপনজনকে ফিরে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন তাঁদের স্বজনেরা। মাকে ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রিনা আক্তারের মেয়ে শিফা মণি। এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী শিফা বলেন, ‘কত দিন মাকে দেখি না। সবাই মায়ের হাত ধরে স্কুলে যায়। আমি সেটা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। মা আসবে জেনে দুই বছর ধরে অপেক্ষায় আছি। আজ সেই অপেক্ষা ফুরাল।’
মাকে নিতে সীমান্তে এসেছিলেন হানিফা আক্তারের ছেলে ইয়াছিন। তিনি জানান, পাঁচ বছর আগে হঠাৎ করে তাঁর মা হারিয়ে যান। তাঁরা ভেবেছিলেন কোনো আত্মীয়ের বাড়িতে গেছেন। পরে নানাবাড়ি করিমগঞ্জ থানায় খোঁজ করেন। কিন্তু পাননি। পরে মে মাসে পুলিশ খোঁজ নিতে বাড়িতে এলে জানতে পারেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় আছেন তাঁর মা।
জানা যায়, ফেরত আসা এসব বাংলাদেশির সবাই মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ত্রিপুরায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হতে আটক হন। পরে আদালতের নির্দেশে আগরতলার মডার্ন সাইক্রিয়াট্রিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তাঁরা। এদের অনেকেই এই হাসপাতালে চার থেকে পাঁচ বছর বা আরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ার পর তাঁদের দেশে ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই হাসপাতালে পাচারের শিকার আরও অনেক বাংলাদেশি আছেন।
গতকাল ফিরে আসাদের একজন জিয়ারুলের আত্মীয় মোহাম্মদ রাজ্জাক জানান, ২০১৪ সালে তাঁর ভায়রা জিয়ারুল নিখোঁজ হন। তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। এমন একজন মানুষ কীভাবে ভারতে পাচার হলেন, সেটা নিয়ে তাঁরাও বিস্মিত।
আলপনা খাতুনের চাচাতো ভাই দুলাল জানান, ১০ বছর আগে হঠাৎ করে একদিন তাঁদের বোন নিখোঁজ হন। অনেক পরে পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারেন আগরতলায় মানসিক হাসপাতালে আছেন। ‘কিন্তু কীভাবে গেল বুঝতে পারছি না।’—বললেন দুলাল।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৬ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
১০ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
১০ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
১০ দিন আগে