রিমন রহমান, রাজশাহী
রাজশাহী নগরীর সাধুর মোড় এলাকার বাসিন্দা সাবিয়ার রহমান তাঁর বাসায় গ্যাসের জন্য আবেদন করেছেন ছয় বছর আগে। ডিমান্ড নোট ইস্যু হওয়ায় বাড়ির ওয়্যারিংয়ের কাজও করেছেন। কিন্তু নতুন সংযোগ দেওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি গ্যাস পাননি। এখন গ্যাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। তাঁর অপেক্ষা শেষ হচ্ছে না।
সাবিয়ার রহমান বলেন, ‘ভোটের আগে এলাকায় ‘রাজনৈতিক গ্যাস’ এসেছিল। তারপর অনেকে গ্যাস পেয়েছে, অনেকে পায়নি। দুর্ভাগাদের মধ্যে আমিও আছি। আমার বাড়িতে গ্যাস নেই। পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডে (পিজিসিএল) টাকা জমা দিয়েও গ্যাস পাইনি।’
গ্যাসের জন্য অপেক্ষা শুধু সাবিয়ারের একার নয়। নগরীর প্রায় ১২ হাজার মানুষ আবেদন করেও গ্যাস পাননি। এর মধ্যে প্রায় ৬০০ জনের ডিমান্ড নোট ইস্যু হওয়ায় টাকাও জমা দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সরকার নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া বন্ধ করে দিলে তাঁরা কেউই আর গ্যাস পাননি। যাঁরা তখন আবেদন করেননি, তাঁরাও এখন গ্যাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে না।
রাজশাহীতে একসময় বাসাবাড়ি ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গ্যাসের জন্য আন্দোলন হয়েছে। পালিত হয়েছে হরতাল কর্মসূচি। ২০১৩ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সাত দিন আগে গ্যাস সংযোগ দেওয়া শুরু হয়। অল্প সময়ের মধ্যে গ্যাসের জন্য আবেদন করেন ২১ হাজার ৪২৩ জন। এরপর ৯ হাজার ১৬৩ জনের বাসায় গ্যাস দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে বন্ধ হয়ে যায় বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ প্রদান।
পিজিসিএলের রাজশাহী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাসাবাড়িতে গ্যাস দেওয়া বন্ধ হওয়ার পর ২০১৭-১৮ সালে রাজশাহীর ২৮০টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে গ্যাস দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন হয়। এরপর মাত্র ১৭টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি সিএনজি স্টেশনও আছে। এখন শিল্পেও গ্যাস দেওয়া হচ্ছে না।
রাজশাহী শিল্প ও বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি বলেন, ‘রাজশাহীর মানুষ গ্যাসের জন্য ক্ষোভের আগুনে পুড়ছেন। রাজশাহীর বিসিকের সব শিল্পপ্রতিষ্ঠানে এখন গ্যাস নেই। এরই মধ্যে বিসিক-২ গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে গ্যাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি। গ্যাস না দিলে পিছিয়ে পড়া রাজশাহীর শিল্পেরও বিকাশ হবে না।’
পিজিসিএলের রাজশাহী কার্যালয়ের উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সরকার চাইলেই আমরা গ্যাস দিতে পারব। সিদ্ধান্ত না থাকায় গ্যাস দিতে পারছি না। রাজশাহী শহরজুড়ে পিজিসিএলের প্রায় ২৭০ কিলোমিটার পাইপলাইন আছে। এর মাধ্যমে দৈনিক ১৫ মিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব। এখন চাহিদা অনুযায়ী ৩ মিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।’
রাজশাহী নগরীর সাধুর মোড় এলাকার বাসিন্দা সাবিয়ার রহমান তাঁর বাসায় গ্যাসের জন্য আবেদন করেছেন ছয় বছর আগে। ডিমান্ড নোট ইস্যু হওয়ায় বাড়ির ওয়্যারিংয়ের কাজও করেছেন। কিন্তু নতুন সংযোগ দেওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি গ্যাস পাননি। এখন গ্যাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। তাঁর অপেক্ষা শেষ হচ্ছে না।
সাবিয়ার রহমান বলেন, ‘ভোটের আগে এলাকায় ‘রাজনৈতিক গ্যাস’ এসেছিল। তারপর অনেকে গ্যাস পেয়েছে, অনেকে পায়নি। দুর্ভাগাদের মধ্যে আমিও আছি। আমার বাড়িতে গ্যাস নেই। পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডে (পিজিসিএল) টাকা জমা দিয়েও গ্যাস পাইনি।’
গ্যাসের জন্য অপেক্ষা শুধু সাবিয়ারের একার নয়। নগরীর প্রায় ১২ হাজার মানুষ আবেদন করেও গ্যাস পাননি। এর মধ্যে প্রায় ৬০০ জনের ডিমান্ড নোট ইস্যু হওয়ায় টাকাও জমা দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সরকার নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া বন্ধ করে দিলে তাঁরা কেউই আর গ্যাস পাননি। যাঁরা তখন আবেদন করেননি, তাঁরাও এখন গ্যাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে না।
রাজশাহীতে একসময় বাসাবাড়ি ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গ্যাসের জন্য আন্দোলন হয়েছে। পালিত হয়েছে হরতাল কর্মসূচি। ২০১৩ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সাত দিন আগে গ্যাস সংযোগ দেওয়া শুরু হয়। অল্প সময়ের মধ্যে গ্যাসের জন্য আবেদন করেন ২১ হাজার ৪২৩ জন। এরপর ৯ হাজার ১৬৩ জনের বাসায় গ্যাস দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে বন্ধ হয়ে যায় বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ প্রদান।
পিজিসিএলের রাজশাহী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাসাবাড়িতে গ্যাস দেওয়া বন্ধ হওয়ার পর ২০১৭-১৮ সালে রাজশাহীর ২৮০টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে গ্যাস দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন হয়। এরপর মাত্র ১৭টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি সিএনজি স্টেশনও আছে। এখন শিল্পেও গ্যাস দেওয়া হচ্ছে না।
রাজশাহী শিল্প ও বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি বলেন, ‘রাজশাহীর মানুষ গ্যাসের জন্য ক্ষোভের আগুনে পুড়ছেন। রাজশাহীর বিসিকের সব শিল্পপ্রতিষ্ঠানে এখন গ্যাস নেই। এরই মধ্যে বিসিক-২ গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে গ্যাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি। গ্যাস না দিলে পিছিয়ে পড়া রাজশাহীর শিল্পেরও বিকাশ হবে না।’
পিজিসিএলের রাজশাহী কার্যালয়ের উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সরকার চাইলেই আমরা গ্যাস দিতে পারব। সিদ্ধান্ত না থাকায় গ্যাস দিতে পারছি না। রাজশাহী শহরজুড়ে পিজিসিএলের প্রায় ২৭০ কিলোমিটার পাইপলাইন আছে। এর মাধ্যমে দৈনিক ১৫ মিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব। এখন চাহিদা অনুযায়ী ৩ মিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে