বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে রাজধানীর পূর্ব-পশ্চিমকে সংযোগ করতে তৈরি হচ্ছে আরেকটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। প্রায় ১৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকায় নির্মিতব্য এক্সপ্রেসওয়ের নাম ‘ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’। এটি বাস্তবায়ন হলে রাজধানীর ওপর যানবাহনের চাপ এবং যানজট কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রকল্পটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় বাস্তবায়ন করা হবে।
গতকাল বুধবার অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এর নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সভাপতিত্ব করেন।
প্রস্তাবিত ‘ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ প্রকল্পটি জাতীয় মহাসড়ক এন ফাইভ বা ঢাকা-আরিচা, এন এইট বা ঢাকা-মাওয়া এবং এন ওয়ান বা ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের সঙ্গে যুক্ত হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম-সিলেটসহ পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার যানবাহনগুলো পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা শহরে প্রবেশ না করে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ২০টি জেলায় সরাসরি চলাচল করতে পারবে। এর ফলে ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট অনেকাংশে কমে আসবে।
এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গেও সংযুক্ত হবে ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। প্রস্তাবিত ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান’ বা এসটিপির আওতায় মিডল বা আউটার রিং রোডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রকল্পের অ্যালাইনমেন্টটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের হেমায়েতপুর-বলিয়ারপুর থেকে শুরু হয়ে নিমতলী-ফতুল্লা-ইকুরিয়া বন্দর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দ গিয়ে মিশবে। এরই মধ্যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রকল্পের পেছনে ১৬ হাজার ৩৮৯ কোটি টাকা খরচ হবে এবং এটি বাস্তবায়নে ৩১৬ একর জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে। এই জমির দাম, স্থাপনা ও অন্যান্য ক্ষতিপূরণ সরকারি খাত থেকে জোগান দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রকল্প এলাকায় বিদ্যমান ইউটিলিটি বা পরিষেবাগুলোও স্থানান্তর করতে হবে। এর খরচও সরকারি তহবিল থেকে মেটানো হবে।
সভা শেষে ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের জানান, প্রকল্পের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি নির্মাণে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এজন্য দরপত্রের মাধ্যমে যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে এ কাজের জন্য বাছাই করা হবে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসন ও নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকল্পে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ পরিকল্পনা নেওয়ার কথা জানান। সে সময় সড়ক নিরাপদ করতে পাঁচটি প্রকল্পের কথা বলেন তিনি। ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্পের একটি।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে রাজধানীর পূর্ব-পশ্চিমকে সংযোগ করতে তৈরি হচ্ছে আরেকটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। প্রায় ১৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকায় নির্মিতব্য এক্সপ্রেসওয়ের নাম ‘ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’। এটি বাস্তবায়ন হলে রাজধানীর ওপর যানবাহনের চাপ এবং যানজট কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রকল্পটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় বাস্তবায়ন করা হবে।
গতকাল বুধবার অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এর নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সভাপতিত্ব করেন।
প্রস্তাবিত ‘ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ প্রকল্পটি জাতীয় মহাসড়ক এন ফাইভ বা ঢাকা-আরিচা, এন এইট বা ঢাকা-মাওয়া এবং এন ওয়ান বা ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের সঙ্গে যুক্ত হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম-সিলেটসহ পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার যানবাহনগুলো পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা শহরে প্রবেশ না করে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ২০টি জেলায় সরাসরি চলাচল করতে পারবে। এর ফলে ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট অনেকাংশে কমে আসবে।
এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গেও সংযুক্ত হবে ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। প্রস্তাবিত ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান’ বা এসটিপির আওতায় মিডল বা আউটার রিং রোডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রকল্পের অ্যালাইনমেন্টটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের হেমায়েতপুর-বলিয়ারপুর থেকে শুরু হয়ে নিমতলী-ফতুল্লা-ইকুরিয়া বন্দর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দ গিয়ে মিশবে। এরই মধ্যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রকল্পের পেছনে ১৬ হাজার ৩৮৯ কোটি টাকা খরচ হবে এবং এটি বাস্তবায়নে ৩১৬ একর জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে। এই জমির দাম, স্থাপনা ও অন্যান্য ক্ষতিপূরণ সরকারি খাত থেকে জোগান দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রকল্প এলাকায় বিদ্যমান ইউটিলিটি বা পরিষেবাগুলোও স্থানান্তর করতে হবে। এর খরচও সরকারি তহবিল থেকে মেটানো হবে।
সভা শেষে ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের জানান, প্রকল্পের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি নির্মাণে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এজন্য দরপত্রের মাধ্যমে যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে এ কাজের জন্য বাছাই করা হবে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসন ও নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকল্পে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ পরিকল্পনা নেওয়ার কথা জানান। সে সময় সড়ক নিরাপদ করতে পাঁচটি প্রকল্পের কথা বলেন তিনি। ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্পের একটি।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে