নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার লা গ্যালারিতে বর্ণমালারা হাজির। আঠারো শতক থেকে উনিশ শতক। বর্ণমালার এই দীর্ঘ যাত্রা উঠে এল নকশা ও চিত্রের মাধ্যমে। ছোট-বড় নানা বয়সী দর্শক পরিচিত হলেন বাংলা বর্ণমালার নানা রূপের সঙ্গে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে সব্যসাচী হাজরার ‘প্রাইমার টু প্রেস’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী এটি। প্রদর্শনীতে বাংলা বর্ণমালার বইয়ের ইতিহাস তুলে ধরা হয় সেকালের মুদ্রণশিল্পের বিভিন্ন আকর্ষণীয় নিদর্শনের মাধ্যমে। নকশা এবং চিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে বাংলা বর্ণমালার শৈল্পিক যাত্রাকেও। মুদ্রণকৌশলের বিবর্তন সম্পর্কে সম্যক ধারণা দিতে কাঠের ব্লক প্রিন্টিং এবং মুভেবল টাইপ সেটের মতো ঐতিহাসিক সরঞ্জামাদির প্রদর্শনের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা শিল্পী সব্যসাচী হাজরার নতুন বই ‘বর্ণমালা: বাংলা বর্ণ পরিচয় সংকলন’-এরও মোড়ক উন্মোচন করেন। কবি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত এই বইয়ের বিষয়ে সংকলক বলেন, বইটি তাঁর বর্ণমালা নিয়ে বিস্তৃত অন্বেষণের ফলাফল, যেখানে ১৮৪৯ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত প্রণীত আটটি বর্ণমালার বই সংকলিত হয়েছে। এতে বর্ণমালার বইয়ের ঐতিহাসিক উপাত্ত এবং তথ্যের গবেষণা ও বিশ্লেষণ করেছেন তিনি। এ ছাড়া তিনি সংকলনটিতে বইগুলোর লেটারিং, সম্পাদনা এবং মুদ্রণকৌশলের বিবর্তন নিয়েও আলোচনা করেছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক বলেন, মানবজাতির বিবর্তন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এর মতো ভাষার বিবর্তনও সত্য। অন্যদিকে ভাষার অন্যতম উপাদান বর্ণমালার বিবর্তনও এই ধারায় ঘটে থাকে। গত এক শ বছরের বাংলা বর্ণমালার বইগুলো লক্ষ করলে দেখা যাবে, সেখানেও অক্ষরবিন্যাস ও রূপে একটা বিবর্তন রয়েছে। এটা মানবজাতির বিবর্তনের মতোই অবশ্যম্ভাবী। এই বিবর্তনের নান্দনিকতা নিয়ে কাজ করছেন সব্যসাচী হাজরা।
সৈয়দ আজিজুল হক আরও বলেন, কাইয়ুম চৌধুরীর পর দেশের অন্যতম প্রধান প্রচ্ছদশিল্পী এখন সব্যসাচী হাজরা। শুধু প্রচ্ছদ নয়; বর্ণ নিয়ে তাঁর ভাবনাচিন্তাও অনন্য। বর্ণ নিয়ে তাঁর যে মনোনিবেশ, তা প্রচ্ছদশিল্পে তাঁর সৃষ্টিশীলতাকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের কাজকেই বলা হয় প্রকৃত গবেষণা।
শিল্পী অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, টাইপোগ্রাফির প্রতি সব্যসাচী হাজরার যে আকর্ষণ, তা বিস্ময়কর। ছাপাখানার পুরো ইতিহাস প্রদর্শনীতে চলে এসেছে। শিল্পী চন্দ্র শেখর সাহা বলেন, লিখতে গেলে দুটো আঙুল আর একটি কলম লাগে। এখন আর এই ত্রিমাত্রিক জীবন নেই আমাদের। হাতের লেখা হারিয়ে যাচ্ছে।
সব্যসাচী হাজরা বলেন, ‘সংকলনের কাজ করতে গিয়ে দেখলাম, এর সঙ্গে ভীষণ রুচিবোধসম্পন্ন মানুষ যুক্ত ছিলেন। যেমন রবীন্দ্রনাথের সহজপাঠের অলংকরণ করেছেন নন্দলাল বসু। এমনিভাবে অন্য বইগুলোতেও লেখা এবং অলংকরণের যুগলবন্দী ঘটেছে।’
শিল্পী রাহুল আনন্দ বলেন, ‘পৃথিবীতে বহু মানুষ আছে, যাদের নিজের ভাষার নিজস্ব কোনো বর্ণ নেই। সেখানে আমাদের রয়েছে একটি নিজস্ব ভাষা। তার রয়েছে রক্তস্নাত বর্ণমালা। এইসব বর্ণমালা আমাদের পরিচয়। এই বর্ণমালার নান্দনিক শক্তি নিয়ে কাজ করেছেন সব্যসাচী হাজরা।’
আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য্য, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার পরিচালক ফ্রঁসোয়া ঘ্রোজ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকায় লেটারপ্রেস মেশিনে কাজ করা হালিম হোসেনের সঙ্গে দর্শকদের পরিচয় করিয়ে দেন শিল্পী রাহুল আনন্দ। ১৯৮৯ সাল থেকে লেটারপ্রেস মেশিন নিয়ে কাজ করছেন তিনি। মুদ্রণযন্ত্রটিকে তিনি ভবিষ্যতেও সচল রাখবেন, এই প্রত্যাশায় তাঁর হাতে প্রদর্শনীর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়।
প্রদর্শনীটি চলবে ১৮ মে পর্যন্ত। সোমবার থেকে শনিবার বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা। প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ।
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার লা গ্যালারিতে বর্ণমালারা হাজির। আঠারো শতক থেকে উনিশ শতক। বর্ণমালার এই দীর্ঘ যাত্রা উঠে এল নকশা ও চিত্রের মাধ্যমে। ছোট-বড় নানা বয়সী দর্শক পরিচিত হলেন বাংলা বর্ণমালার নানা রূপের সঙ্গে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে সব্যসাচী হাজরার ‘প্রাইমার টু প্রেস’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী এটি। প্রদর্শনীতে বাংলা বর্ণমালার বইয়ের ইতিহাস তুলে ধরা হয় সেকালের মুদ্রণশিল্পের বিভিন্ন আকর্ষণীয় নিদর্শনের মাধ্যমে। নকশা এবং চিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে বাংলা বর্ণমালার শৈল্পিক যাত্রাকেও। মুদ্রণকৌশলের বিবর্তন সম্পর্কে সম্যক ধারণা দিতে কাঠের ব্লক প্রিন্টিং এবং মুভেবল টাইপ সেটের মতো ঐতিহাসিক সরঞ্জামাদির প্রদর্শনের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা শিল্পী সব্যসাচী হাজরার নতুন বই ‘বর্ণমালা: বাংলা বর্ণ পরিচয় সংকলন’-এরও মোড়ক উন্মোচন করেন। কবি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত এই বইয়ের বিষয়ে সংকলক বলেন, বইটি তাঁর বর্ণমালা নিয়ে বিস্তৃত অন্বেষণের ফলাফল, যেখানে ১৮৪৯ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত প্রণীত আটটি বর্ণমালার বই সংকলিত হয়েছে। এতে বর্ণমালার বইয়ের ঐতিহাসিক উপাত্ত এবং তথ্যের গবেষণা ও বিশ্লেষণ করেছেন তিনি। এ ছাড়া তিনি সংকলনটিতে বইগুলোর লেটারিং, সম্পাদনা এবং মুদ্রণকৌশলের বিবর্তন নিয়েও আলোচনা করেছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক বলেন, মানবজাতির বিবর্তন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এর মতো ভাষার বিবর্তনও সত্য। অন্যদিকে ভাষার অন্যতম উপাদান বর্ণমালার বিবর্তনও এই ধারায় ঘটে থাকে। গত এক শ বছরের বাংলা বর্ণমালার বইগুলো লক্ষ করলে দেখা যাবে, সেখানেও অক্ষরবিন্যাস ও রূপে একটা বিবর্তন রয়েছে। এটা মানবজাতির বিবর্তনের মতোই অবশ্যম্ভাবী। এই বিবর্তনের নান্দনিকতা নিয়ে কাজ করছেন সব্যসাচী হাজরা।
সৈয়দ আজিজুল হক আরও বলেন, কাইয়ুম চৌধুরীর পর দেশের অন্যতম প্রধান প্রচ্ছদশিল্পী এখন সব্যসাচী হাজরা। শুধু প্রচ্ছদ নয়; বর্ণ নিয়ে তাঁর ভাবনাচিন্তাও অনন্য। বর্ণ নিয়ে তাঁর যে মনোনিবেশ, তা প্রচ্ছদশিল্পে তাঁর সৃষ্টিশীলতাকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের কাজকেই বলা হয় প্রকৃত গবেষণা।
শিল্পী অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, টাইপোগ্রাফির প্রতি সব্যসাচী হাজরার যে আকর্ষণ, তা বিস্ময়কর। ছাপাখানার পুরো ইতিহাস প্রদর্শনীতে চলে এসেছে। শিল্পী চন্দ্র শেখর সাহা বলেন, লিখতে গেলে দুটো আঙুল আর একটি কলম লাগে। এখন আর এই ত্রিমাত্রিক জীবন নেই আমাদের। হাতের লেখা হারিয়ে যাচ্ছে।
সব্যসাচী হাজরা বলেন, ‘সংকলনের কাজ করতে গিয়ে দেখলাম, এর সঙ্গে ভীষণ রুচিবোধসম্পন্ন মানুষ যুক্ত ছিলেন। যেমন রবীন্দ্রনাথের সহজপাঠের অলংকরণ করেছেন নন্দলাল বসু। এমনিভাবে অন্য বইগুলোতেও লেখা এবং অলংকরণের যুগলবন্দী ঘটেছে।’
শিল্পী রাহুল আনন্দ বলেন, ‘পৃথিবীতে বহু মানুষ আছে, যাদের নিজের ভাষার নিজস্ব কোনো বর্ণ নেই। সেখানে আমাদের রয়েছে একটি নিজস্ব ভাষা। তার রয়েছে রক্তস্নাত বর্ণমালা। এইসব বর্ণমালা আমাদের পরিচয়। এই বর্ণমালার নান্দনিক শক্তি নিয়ে কাজ করেছেন সব্যসাচী হাজরা।’
আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য্য, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার পরিচালক ফ্রঁসোয়া ঘ্রোজ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকায় লেটারপ্রেস মেশিনে কাজ করা হালিম হোসেনের সঙ্গে দর্শকদের পরিচয় করিয়ে দেন শিল্পী রাহুল আনন্দ। ১৯৮৯ সাল থেকে লেটারপ্রেস মেশিন নিয়ে কাজ করছেন তিনি। মুদ্রণযন্ত্রটিকে তিনি ভবিষ্যতেও সচল রাখবেন, এই প্রত্যাশায় তাঁর হাতে প্রদর্শনীর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়।
প্রদর্শনীটি চলবে ১৮ মে পর্যন্ত। সোমবার থেকে শনিবার বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা। প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪