জাহিদ হাসান, যশোর
দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বৃহৎ সবজির হাট যশোরের বারীনগর। কয়েক বছর ধরে সেখানে ৪৬ থেকে ৪৮ কেজিতে মণ হিসেবে সবজি কিনছেন ফড়িয়ারা। মণপ্রতি ৬ থেকে ৮ কেজি সবজি বেশি দিতে হচ্ছে কৃষকদের। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ হলেও মিলছে না প্রতিকার। সবজির উচ্চ ফলনেও ওজনে কারসাজি করে দিনের পর দিন ঠকানো হচ্ছে তাঁদের।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে হাটে কথা হয় সদর উপজেলার চূড়ামনকাটি এলাকার আবদুল হাকিমের সঙ্গে। তিনি নছিমন ভাড়া করে ১০ মণ মুলা ও ৫ মণ বেগুন নিয়ে এসেছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে হাকিম বলেন, ‘লস সব চাষির। সবজি প্রতি মণে বাড়তি ৫ থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত ফাউ (বিনা মূল্যে) দিতে হয়। মাপার পরে টাকা দেওয়ার সময় আরও কয়েক কেজি সবজির দাম কম দেন হাটের পাইকারি ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা।’
আরও ৮ থেকে ১০ জন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে একই তথ্য পাওয়া গেছে। শওকত হোসেন নামে এক সবজিচাষি বলেন, ‘সবজি আমাদের কষ্টের ফসল। সবজি উৎপাদন করতে অনেক কষ্ট করি, যদি সঠিক মাপে বিক্রি করতে পারি, তাহলে অর্থনৈতিকভাবে আমরা উপকৃত হতাম। আমরা মণে ৪০ কেজি সবজি দিতে চাই।’ তবে পাইকারি ব্যবসায়ী শাহরিয়ার আহমেদ সানী বলেন, ‘সবজি ওজন করার পর বিভিন্ন সবজির পাতা, ডাল ও অন্যান্য অংশ বাদ যায়। এ জন্য মণপ্রতি ধলতা (বিনা মূল্যে) নেওয়া হয়। এটা না নিলে তো পরে ওজনের হিসাব মেলানো যাবে না।’
এদিকে যশোরের বাজারে উঠতে শুরু করেছে আগাম শীতকালীন সবজি। তবে দাম বেশি। সেই দামেও উৎপাদন খরচ পোষাচ্ছে না। এতে অধিকাংশ চাষি লাভের মুখ দেখতে পারবেন কি না, সেটি নিয়ে সংশয় রয়েছে। চাষি থেকে ভোক্তার খাবার টেবিল পর্যন্ত সবজি পৌঁছাতে কয়েক দফায় হাতবদল হচ্ছে। এতেই দাম বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ। ফলে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হলেও ঠকছেন চাষি ও ভোক্তা।
গতকাল বারীনগর সাধারণ কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগাম শীতকালীন সবজিতে ভরপুর বাজার। বেগুন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, শিম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি, বাঁধাকপি ২০ টাকা, মুলা ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মোকামে সবজি বিক্রি করতে আসা চাষি রজব আলী বলেন, ‘তেল, সার, কীটনাশক কেনার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি। অনেক কষ্টে আবাদ করেছি। বাজারে এসে যে দাম পাচ্ছি, তাতে কোনো রকম খরচ উঠবে।’
বাজারের ইজারাদার আবদুস সোবহান বলেন, এ বছর তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় যেমন কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়েছে, তেমনি পাইকারি ব্যবসায়ীদেরও পরিবহন ব্যয় দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে গিয়ে দামের হেরফের হচ্ছে।
যশোরের ভোক্তা অধিকারের উপপরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিন বলেন, ‘কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’
দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বৃহৎ সবজির হাট যশোরের বারীনগর। কয়েক বছর ধরে সেখানে ৪৬ থেকে ৪৮ কেজিতে মণ হিসেবে সবজি কিনছেন ফড়িয়ারা। মণপ্রতি ৬ থেকে ৮ কেজি সবজি বেশি দিতে হচ্ছে কৃষকদের। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ হলেও মিলছে না প্রতিকার। সবজির উচ্চ ফলনেও ওজনে কারসাজি করে দিনের পর দিন ঠকানো হচ্ছে তাঁদের।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে হাটে কথা হয় সদর উপজেলার চূড়ামনকাটি এলাকার আবদুল হাকিমের সঙ্গে। তিনি নছিমন ভাড়া করে ১০ মণ মুলা ও ৫ মণ বেগুন নিয়ে এসেছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে হাকিম বলেন, ‘লস সব চাষির। সবজি প্রতি মণে বাড়তি ৫ থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত ফাউ (বিনা মূল্যে) দিতে হয়। মাপার পরে টাকা দেওয়ার সময় আরও কয়েক কেজি সবজির দাম কম দেন হাটের পাইকারি ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা।’
আরও ৮ থেকে ১০ জন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে একই তথ্য পাওয়া গেছে। শওকত হোসেন নামে এক সবজিচাষি বলেন, ‘সবজি আমাদের কষ্টের ফসল। সবজি উৎপাদন করতে অনেক কষ্ট করি, যদি সঠিক মাপে বিক্রি করতে পারি, তাহলে অর্থনৈতিকভাবে আমরা উপকৃত হতাম। আমরা মণে ৪০ কেজি সবজি দিতে চাই।’ তবে পাইকারি ব্যবসায়ী শাহরিয়ার আহমেদ সানী বলেন, ‘সবজি ওজন করার পর বিভিন্ন সবজির পাতা, ডাল ও অন্যান্য অংশ বাদ যায়। এ জন্য মণপ্রতি ধলতা (বিনা মূল্যে) নেওয়া হয়। এটা না নিলে তো পরে ওজনের হিসাব মেলানো যাবে না।’
এদিকে যশোরের বাজারে উঠতে শুরু করেছে আগাম শীতকালীন সবজি। তবে দাম বেশি। সেই দামেও উৎপাদন খরচ পোষাচ্ছে না। এতে অধিকাংশ চাষি লাভের মুখ দেখতে পারবেন কি না, সেটি নিয়ে সংশয় রয়েছে। চাষি থেকে ভোক্তার খাবার টেবিল পর্যন্ত সবজি পৌঁছাতে কয়েক দফায় হাতবদল হচ্ছে। এতেই দাম বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ। ফলে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হলেও ঠকছেন চাষি ও ভোক্তা।
গতকাল বারীনগর সাধারণ কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগাম শীতকালীন সবজিতে ভরপুর বাজার। বেগুন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, শিম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি, বাঁধাকপি ২০ টাকা, মুলা ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মোকামে সবজি বিক্রি করতে আসা চাষি রজব আলী বলেন, ‘তেল, সার, কীটনাশক কেনার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি। অনেক কষ্টে আবাদ করেছি। বাজারে এসে যে দাম পাচ্ছি, তাতে কোনো রকম খরচ উঠবে।’
বাজারের ইজারাদার আবদুস সোবহান বলেন, এ বছর তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় যেমন কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়েছে, তেমনি পাইকারি ব্যবসায়ীদেরও পরিবহন ব্যয় দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে গিয়ে দামের হেরফের হচ্ছে।
যশোরের ভোক্তা অধিকারের উপপরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিন বলেন, ‘কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে