Ajker Patrika

লাইব্রেরিয়ান আছে, পাঠাগার নেই

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ আগস্ট ২০২২, ১২: ৩৭
লাইব্রেরিয়ান আছে, পাঠাগার নেই

কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিভিন্ন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নেই পাঠাগার। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে টিচার্স কমনরুমের আলমারিতে বই থাকলেও শিক্ষার্থীদের কোনো উপকারে আসছে না।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১১৬টি মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও মাদ্রাসা রয়েছে। এর মধ্যে ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ১০টি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটিতে রয়েছেন একজন করে লাইব্রেরিয়ান। এ ছাড়া ৫৬টি মাদ্রাসার মধ্যে ১৩টিতে রয়েছে ১ জন করে লাইব্রেরিয়ান।

উপজেলার একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেখা গেছে, ওই সব প্রতিষ্ঠানে আলাদা কোনো লাইব্রেরির জন্য কক্ষ নেই। কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরির কোনো অস্তিত্ব নেই। উলিপুর আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষের অর্ধেক অংশ আলমারি দিয়ে বিভক্ত করা হয়েছে। একদিকে লাইব্রেরি, অন্যদিকে ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এভাবে দু-একটি বিদ্যালয়ে আংশিক লাইব্রেরি থাকলেও তা শিক্ষার্থীদের কোনো কাজে আসছে না। এতে জ্ঞান আহরণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

উলিপুর আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস কবির জানান, তাঁর বিদ্যালয়ে আংশিক লাইব্রেরি রয়েছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বছরের একবার সেশন ফি আদায় করার সময় লাইব্রেরি ফি ১০ থেকে ১৫ টাকা করে আদায় করা হয়। ওই টাকা দিয়ে প্রতিবছর বই কেনা হয়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম অধিকাংশ বিদ্যালয়ে লাইব্রেরি না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের কক্ষে বা টিচার্স কমনরুমে দু-তিনটি আলমারির মধ্যে কিছু বই থাকে। আবার কোনো কোনো বিদ্যালয়ে সেটাও নেই। কিছু কিছু বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ নেই। সেখানে লাইব্রেরি জন্য আলাদা কক্ষ থাকার সুযোগ কোথায়?’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত