কুমড়ার ফলন-দামে খুশি কৃষক

মতিয়ার রহমান মিঞা, মধুখালী (ফরিদপুর)
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২১, ০৬: ৫৮
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২১, ১৯: ১৫

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় চলতি বছর মরিচ খেতে সাথি ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া ভালো আবাদ হয়েছে। আবাদ করে সফল হয়েছেন চাষিরা। বাড়তি সার ও কীটনাশক ছাড়াই স্বল্প খরচে বিষমুক্ত সবজি মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন করে ভালো দাম পাওয়ায় তাঁরা এখন খুশি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে চাষিরা মরিচ খেতের মধ্যেই সাথি ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়ার বীজ বপন করেন। কুমড়ার বীজ লাগাতে কোনো চাষাবাদ করতে হয় না। বাড়তি সার ও কীটনাশক ছাড়াই বেড়ে উঠে মিষ্টি কুমড়া। ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মাথায় চাষিরা মিষ্টি কুমড়া বাজারজাত করতে পারেন। জমিতে কুমড়ার মাচা হিসেবে ব্যবহার হয় মরিচ গাছ। এতে চাষিদের বাড়তি খরচ করে মাচা দেওয়ারও প্রয়োজন হয় না। উৎপাদিত কুমড়া স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে।

মেগচামী গ্রামের চাষি মো. সোহরাব সেখ জানান, প্রতি হেক্টর জমিতে সব মিলিয়ে খরচ হয় প্রায় ৪০ হাজার টাকা। আর কুমড়া বিক্রয় হচ্ছে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকেরা খুবই খুশি।

সরেজমিনে মধুখালী উপজেলার বামুন্দি, বামুন্দি বালিয়াকান্দি, মেগচামী, নওপাড়া, আশাপুর, মথুরাপুর এলাকায় দেখা যায়, চাষিরা এখন কুমড়া বাজারজাতকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

জানা গেছে, মধুখালী বাজারে কুমড়া সরবরাহকালে ঢলতা ও খাজনা বেশি নেওয়ায় বামুন্দি বালিয়াকান্দি গ্রামের আব্দুল হাইয়ের বাড়ি সংলগ্ন রাস্তা ও এর পাশে প্রতিদিন বসে কুমড়ার আড়ত। কোনো ঝামেলা ছাড়াই কেনাবেচা হয় বলে অনেক কুমড়া চাষি এ সব আড়তে কুমড়া সরবরাহ করে থাকেন।

কুমড়ার আড়তদার আয়নাল সেখ ও দেলোয়ার হোসেন জানান, তাঁরা মিষ্টি কুমড়া কিনে দেশের বিভিন্ন আড়তে পাঠান।

মধুখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলভীর রহমান বলেন, উপজেলায় এ বছর ২ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে কুমড়ার চাষ করা হয়। যা গত বছরের তুলনায় ৩০ হেক্টর জমি বেশি। এ অঞ্চলের মাটি মিষ্টি কুমড়া চাষের উপযোগী হওয়ায় ভালো ফলন হয়ে থাকে। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে কুমড়া চাষে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বলে জানান আলভীর রহমান।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত