সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
অতীতে বিভিন্ন ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে গিয়ে সিসিটিভি ক্যামেরায় উপকারিতার প্রমাণ পেয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। এর পর কয়েক দফায় পুরো নগরী সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে প্রতিবারই এমন উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়ে। অর্থ বরাদ্দ, রক্ষণাবেক্ষণ ও দপ্তর প্রধানদের বদলিজনিত কারণে বিভিন্ন সময় লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা চালু হয়নি।
বিস্ময়কর ঘটনা হলো, গত সাত বছরে সিএমপির পক্ষ থেকে যতগুলো ক্যামেরা দিয়ে নগরীতে নজরদারির কথা বলা হয়েছে এর দুই-তৃতীয়াংশই ব্যক্তি মালিকানাধীন। সর্বশেষ ‘আই অব সিএমপি’ নামে নতুন করে যে কার্যক্রম চালু হয়েছে এতেও দেখা গেছে একই পরিস্থিতি।
সিএমপি সূত্রে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, গত ২৫ নভেম্বর ‘আই অব সিএমপি’ নামে নেওয়া প্রকল্পটির জন্য বাহিনীর সদর দপ্তরের চতুর্থ তলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। সেখানে অনস্ক্রিনে থাকা ক্যামেরাগুলোতে ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং হচ্ছে।
এবারের উদ্যোগ দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনার ভিত্তিতে হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্যামেরাগুলোর দেখভালের দায়িত্বে থাকা সিএমপির সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) মুজাহিদুল ইসলাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অতীতে বিভিন্ন সময় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। কিন্তু এগুলো ছিল ম্যানুয়েল ক্যামেরা। পাশাপাশি নিয়মিত তদারকি না থাকাসহ যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে এসব নষ্ট হয়ে যায়। এর ব্যর্থতার দিকগুলোও আপনারা বিভিন্ন সময় তুলে ধরেছেন। তবে এবারের উদ্যোগ পরিকল্পিত ও একেবারেই ব্যতিক্রম।’ অতীতের ব্যর্থতাসহ সব দিক বিবেচনায় নিয়ে এবার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে পুলিশের নতুন প্রযুক্তিনির্ভর আইপি ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি তদারকির জন্য টেকনিক্যাল টিম রয়েছে। কার্যক্রমগুলো মনিটরিংয়ের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি টিম রয়েছে। সিএমপিতে একটি বাজেট করা হয়েছে। এতে আশা করছি এবার আমরা দীর্ঘস্থায়ী সাফল্য পাব।’
নগরীর বিভিন্ন থানা ও পুলিশের বিভিন্ন বিভাগের গত এক বছরের তথ্য যাচাই করে দেখা গেছে, বেশির ভাগ খুন-ছিনতাইসহ নানা অপরাধের জট খুলেছে ব্যক্তিমালিকানাধীন নয়তো কোনো প্রতিষ্ঠানের ভবনে লাগানো সিসি ক্যামেরা থেকে। এবারও প্রাথমিকভাবে ব্যবহৃত ৪১১টি ক্যামেরার মধ্যে তিন শ’র বেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের। বাকিগুলো সিএমপির।
সহকারী কমিশনার বলেন, আপাতত পাবলিক ও পুলিশের মিলে ৪১১টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্পট কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুদানে বেশির ভাগ ক্যামেরা বসলেও একটি সময় পাবলিকের লিংকের স্থলে পুরো নগরীতে পুলিশের নিজস্ব ক্যামেরা বসবে। এই প্রক্রিয়াটি চলমান রয়েছে। সবই পাইপলাইনের মধ্যে রয়েছে।
সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরদারির ফলে অপরাধ প্রবণতা কমবে—এমন আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, এতে করে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও আসামি শনাক্ত করা সহজ হবে।
সিএমপির ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোর ফুটেজ ১৫ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণে থাকবে। তবে পাবলিক লিংকের ক্যামেরার ধারণ করা ফুটেজ আপাতত সংরক্ষণ হবে না।
২০১৪ সালে নগরীকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার কাজ শুরু হয়। ওই সময় নগরীর চারটি প্রবেশপথসহ ৩১টি স্পটে ১৩৯টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়। এর মধ্যে ২১টি সিসি ক্যামেরার কোনো অস্তিত্ব বর্তমানে নেই। বাকি ১১৮টি সিসি ক্যামেরার মধ্যে ৬০ থেকে ৬৫টি নিয়মিত নষ্ট থাকে। এসব ক্যামেরা বিভিন্ন ব্যক্তি ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অনুদানে লাগানো হয়। পরবর্তীতে আইপি ক্যামেরা লাগানোর উদ্যোগ নেয় সিএমপি।
নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনসহ সিএমপি সদর দপ্তরের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো সরবরাহকারী ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানের নুর আলম সোহেল বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরার দাম তুলনামূলক কম। কিন্তু ডিভিআর মেশিনের দামটা বেশি। সিসি বা আইপি ক্যামেরা বসালেই কাজ শেষ হয়ে যায় না। এগুলোর স্থায়িত্ব মূলত নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যার ওপর নির্ভর করে।
অতীতে বিভিন্ন ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে গিয়ে সিসিটিভি ক্যামেরায় উপকারিতার প্রমাণ পেয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। এর পর কয়েক দফায় পুরো নগরী সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে প্রতিবারই এমন উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়ে। অর্থ বরাদ্দ, রক্ষণাবেক্ষণ ও দপ্তর প্রধানদের বদলিজনিত কারণে বিভিন্ন সময় লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা চালু হয়নি।
বিস্ময়কর ঘটনা হলো, গত সাত বছরে সিএমপির পক্ষ থেকে যতগুলো ক্যামেরা দিয়ে নগরীতে নজরদারির কথা বলা হয়েছে এর দুই-তৃতীয়াংশই ব্যক্তি মালিকানাধীন। সর্বশেষ ‘আই অব সিএমপি’ নামে নতুন করে যে কার্যক্রম চালু হয়েছে এতেও দেখা গেছে একই পরিস্থিতি।
সিএমপি সূত্রে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, গত ২৫ নভেম্বর ‘আই অব সিএমপি’ নামে নেওয়া প্রকল্পটির জন্য বাহিনীর সদর দপ্তরের চতুর্থ তলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। সেখানে অনস্ক্রিনে থাকা ক্যামেরাগুলোতে ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং হচ্ছে।
এবারের উদ্যোগ দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনার ভিত্তিতে হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্যামেরাগুলোর দেখভালের দায়িত্বে থাকা সিএমপির সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) মুজাহিদুল ইসলাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অতীতে বিভিন্ন সময় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। কিন্তু এগুলো ছিল ম্যানুয়েল ক্যামেরা। পাশাপাশি নিয়মিত তদারকি না থাকাসহ যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে এসব নষ্ট হয়ে যায়। এর ব্যর্থতার দিকগুলোও আপনারা বিভিন্ন সময় তুলে ধরেছেন। তবে এবারের উদ্যোগ পরিকল্পিত ও একেবারেই ব্যতিক্রম।’ অতীতের ব্যর্থতাসহ সব দিক বিবেচনায় নিয়ে এবার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে পুলিশের নতুন প্রযুক্তিনির্ভর আইপি ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি তদারকির জন্য টেকনিক্যাল টিম রয়েছে। কার্যক্রমগুলো মনিটরিংয়ের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি টিম রয়েছে। সিএমপিতে একটি বাজেট করা হয়েছে। এতে আশা করছি এবার আমরা দীর্ঘস্থায়ী সাফল্য পাব।’
নগরীর বিভিন্ন থানা ও পুলিশের বিভিন্ন বিভাগের গত এক বছরের তথ্য যাচাই করে দেখা গেছে, বেশির ভাগ খুন-ছিনতাইসহ নানা অপরাধের জট খুলেছে ব্যক্তিমালিকানাধীন নয়তো কোনো প্রতিষ্ঠানের ভবনে লাগানো সিসি ক্যামেরা থেকে। এবারও প্রাথমিকভাবে ব্যবহৃত ৪১১টি ক্যামেরার মধ্যে তিন শ’র বেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের। বাকিগুলো সিএমপির।
সহকারী কমিশনার বলেন, আপাতত পাবলিক ও পুলিশের মিলে ৪১১টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্পট কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুদানে বেশির ভাগ ক্যামেরা বসলেও একটি সময় পাবলিকের লিংকের স্থলে পুরো নগরীতে পুলিশের নিজস্ব ক্যামেরা বসবে। এই প্রক্রিয়াটি চলমান রয়েছে। সবই পাইপলাইনের মধ্যে রয়েছে।
সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরদারির ফলে অপরাধ প্রবণতা কমবে—এমন আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, এতে করে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও আসামি শনাক্ত করা সহজ হবে।
সিএমপির ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোর ফুটেজ ১৫ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণে থাকবে। তবে পাবলিক লিংকের ক্যামেরার ধারণ করা ফুটেজ আপাতত সংরক্ষণ হবে না।
২০১৪ সালে নগরীকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার কাজ শুরু হয়। ওই সময় নগরীর চারটি প্রবেশপথসহ ৩১টি স্পটে ১৩৯টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়। এর মধ্যে ২১টি সিসি ক্যামেরার কোনো অস্তিত্ব বর্তমানে নেই। বাকি ১১৮টি সিসি ক্যামেরার মধ্যে ৬০ থেকে ৬৫টি নিয়মিত নষ্ট থাকে। এসব ক্যামেরা বিভিন্ন ব্যক্তি ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অনুদানে লাগানো হয়। পরবর্তীতে আইপি ক্যামেরা লাগানোর উদ্যোগ নেয় সিএমপি।
নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনসহ সিএমপি সদর দপ্তরের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো সরবরাহকারী ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানের নুর আলম সোহেল বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরার দাম তুলনামূলক কম। কিন্তু ডিভিআর মেশিনের দামটা বেশি। সিসি বা আইপি ক্যামেরা বসালেই কাজ শেষ হয়ে যায় না। এগুলোর স্থায়িত্ব মূলত নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যার ওপর নির্ভর করে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে