যশোর-চুকনগর আঞ্চলিক মহাসড়কের মনিরামপুর বাজার অংশ প্রশস্ত করাসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধনের পর এবার অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ।

গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ‘ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও জনতা এক হও’ স্লোগানে মনিরামপুর বাজার উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন আন্দোলনকারীরা।

মনিরামপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলুর নেতৃত্বে পৌরসভার হাকোবা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ আজিম, শ্রীবাস কুণ্ডু, হাফিজুর রহমান, আশরাফ আলী, জাহাঙ্গীর ইসলাম বুলবুল, আবু হুরায়রাসহ বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

সড়ক প্রশস্ত করাসহ পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা, যানজট নিরসন ও পরিকল্পিত সড়ক এবং নালা নির্মাণের দাবিতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে এ মানুষ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন।

এ সময় সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি একই দাবিতে মনিরামপুর বাজারে হাজারো মানুষ একই ব্যানারে মানববন্ধন করেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু বলেন, ‘মনিরামপুর বাজার হয়ে যশোর-চুকনগর মহাসড়কের কাজ চলছে। আমরা দেখেছি, বাজারের বাইরে চার লেনের সড়ক হচ্ছে, কিন্তু বাজারের অংশের রাজগঞ্জ মোড় থেকে ধানহাটা মোড় পর্যন্ত সড়ক চওড়া করা হচ্ছে না। আগের রাস্তার পিচ তুলে নতুন করে কাজ চলছে।’

তিনি বলেন, বাজারের এ অংশের দুই পাশে সড়ক লাগোয়া দোকানপাট থাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাত-দিন যানজট লেগে আছে। বাজারের ভেতরে সড়ক চওড়া না করলে যানজটের সমস্যা কাটবে না। লোকজন চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়বেন।’

আমজাদ হোসেন বলেন, ‘একই দাবি নিয়ে আমরা গত মাসে একবার রাস্তায় দাঁড়িয়েছি, কোনো সমাধান হয়নি। এবারের অবস্থান ধর্মঘটের পর সঠিক সমাধান না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।’

মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের গোপনীয় সহকারী (সিএ) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সড়ক প্রশস্তকরণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি দিতে এসেছিলেন কয়েকজন। ইউএনও স্যার বাইরে থাকায় আমি আবেদনটি গ্রহণ করেছি।’