বে-নজির আহমেদ
গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার প্রথম ধাপ কমিউনিটি ক্লিনিক। স্বাস্থ্যব্যবস্থায় খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল এটি। উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের পর ওয়ার্ড বা তৃণমূল পর্যায়ে এটি ছিল সবচেয়ে উত্তম স্বাস্থ্যব্যবস্থা।
প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল এবং তা এগিয়েছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এর পরিধি বাড়েনি। এখনো সাধারণ ডিপ্লোমাধারী দিয়ে চিকিৎসা চলছে।
শুরুতে ডিপ্লোমাধারী দিয়ে সেবা চালু করা হয়েছে, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে চিন্তার পরিবর্তন করতে হবে। কারণ, সত্যিকার অর্থে স্বাস্থ্যসেবা একজন নন-কোয়ালিফায়েড ব্যক্তি দিয়ে চলতে পারে না। দেশের অন্য সবকিছু এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা এগিয়ে নিতে এই সেবার উন্নতি দরকার।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে এই মুহূর্তে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারের (সিএইচসিপি) পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিকে মেডিকেল সহকারী নিয়োগ দিতে হবে। যাঁরা উপজেলা ও জেলা সদর হাসপাতালে মেডিকেল অফিসারের মতো চিকিৎসা দিচ্ছেন। এতে করে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর যে লক্ষ্য, সেটি অর্জন সম্ভব হবে।
দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা সেবা দিচ্ছেন, এক যুগ ধরে তাঁদের বেতন আগের মতোই আছে। সিএইচসিপিদের মানোন্নয়ন না হলে সেবার মান বাড়বে না। সেবা দিতে চাইবে না। সিএইচসিপিদের সরকারি না করে নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাস্ট গঠন করে তাঁদের এর আওতায় আনায় জটিলতা আরও বেড়েছে। এর নিরসন হওয়া দরকার।
একই সঙ্গে তাঁদের তদারকি সবচেয়ে বেশি জরুরি। এতে শুরু থেকেই ঘাটতি ছিল। এই দায়িত্ব ছিল সিবিএইচসির (কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার)। কিন্তু আন্তরিকতার যথেষ্ট ঘাটতি থাকায় সেটি করা যায়নি।
এসব ক্লিনিক যখন স্থাপন করা হয়েছিল, তখন একেবারে ন্যূনতম সেবা দেওয়ার লক্ষ্য ছিল। ফলে নির্মাণকাজের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা অনেক ক্ষেত্রে খুব নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করেন। এতে করে অনেকগুলো ভবন উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়ে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, প্রধানমন্ত্রীর এত সুচিন্তিত একটা প্রকল্প, যা কিনা দেশের গোটা স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে পথ দেখাতে পারে, সেটি অব্যবস্থাপনায় ঠিকমতো এগোতে পারছে না। এর প্রধান কারণ আমলাতান্ত্রিক জটিলতা।
কমিউনিটি ক্লিনিক বাঁচাতে হলে দ্রুত একটি সার্ভে করে সংস্কার ও আধুনিক চিন্তা নিয়ে নতুন করে নির্মাণ করা দরকার। সন্তান প্রসবের মতো ব্যবস্থা, টিকাদানের আলাদা কক্ষ, সেবাপ্রত্যাশীদের নিয়ে সমাবেশ করার ব্যবস্থা—এমন সুযোগ-সুবিধা সেখানে থাকতে হবে। অর্থাৎ প্রাথমিক চিকিৎসা বলতে যা বোঝায়, সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
বে-নজির আহমেদ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সাবেক পরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার প্রথম ধাপ কমিউনিটি ক্লিনিক। স্বাস্থ্যব্যবস্থায় খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল এটি। উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের পর ওয়ার্ড বা তৃণমূল পর্যায়ে এটি ছিল সবচেয়ে উত্তম স্বাস্থ্যব্যবস্থা।
প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল এবং তা এগিয়েছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এর পরিধি বাড়েনি। এখনো সাধারণ ডিপ্লোমাধারী দিয়ে চিকিৎসা চলছে।
শুরুতে ডিপ্লোমাধারী দিয়ে সেবা চালু করা হয়েছে, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে চিন্তার পরিবর্তন করতে হবে। কারণ, সত্যিকার অর্থে স্বাস্থ্যসেবা একজন নন-কোয়ালিফায়েড ব্যক্তি দিয়ে চলতে পারে না। দেশের অন্য সবকিছু এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা এগিয়ে নিতে এই সেবার উন্নতি দরকার।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে এই মুহূর্তে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারের (সিএইচসিপি) পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিকে মেডিকেল সহকারী নিয়োগ দিতে হবে। যাঁরা উপজেলা ও জেলা সদর হাসপাতালে মেডিকেল অফিসারের মতো চিকিৎসা দিচ্ছেন। এতে করে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর যে লক্ষ্য, সেটি অর্জন সম্ভব হবে।
দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা সেবা দিচ্ছেন, এক যুগ ধরে তাঁদের বেতন আগের মতোই আছে। সিএইচসিপিদের মানোন্নয়ন না হলে সেবার মান বাড়বে না। সেবা দিতে চাইবে না। সিএইচসিপিদের সরকারি না করে নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাস্ট গঠন করে তাঁদের এর আওতায় আনায় জটিলতা আরও বেড়েছে। এর নিরসন হওয়া দরকার।
একই সঙ্গে তাঁদের তদারকি সবচেয়ে বেশি জরুরি। এতে শুরু থেকেই ঘাটতি ছিল। এই দায়িত্ব ছিল সিবিএইচসির (কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার)। কিন্তু আন্তরিকতার যথেষ্ট ঘাটতি থাকায় সেটি করা যায়নি।
এসব ক্লিনিক যখন স্থাপন করা হয়েছিল, তখন একেবারে ন্যূনতম সেবা দেওয়ার লক্ষ্য ছিল। ফলে নির্মাণকাজের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা অনেক ক্ষেত্রে খুব নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করেন। এতে করে অনেকগুলো ভবন উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়ে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, প্রধানমন্ত্রীর এত সুচিন্তিত একটা প্রকল্প, যা কিনা দেশের গোটা স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে পথ দেখাতে পারে, সেটি অব্যবস্থাপনায় ঠিকমতো এগোতে পারছে না। এর প্রধান কারণ আমলাতান্ত্রিক জটিলতা।
কমিউনিটি ক্লিনিক বাঁচাতে হলে দ্রুত একটি সার্ভে করে সংস্কার ও আধুনিক চিন্তা নিয়ে নতুন করে নির্মাণ করা দরকার। সন্তান প্রসবের মতো ব্যবস্থা, টিকাদানের আলাদা কক্ষ, সেবাপ্রত্যাশীদের নিয়ে সমাবেশ করার ব্যবস্থা—এমন সুযোগ-সুবিধা সেখানে থাকতে হবে। অর্থাৎ প্রাথমিক চিকিৎসা বলতে যা বোঝায়, সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
বে-নজির আহমেদ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সাবেক পরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪