নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
খেলাপি ঋণের পরিমাণ কম দেখাতে নানা কৌশলের আশ্রয় নিয়ে ব্যাংকগুলো ঋণ অবলোপন করছে। কারণ, অবলোপন করা ঋণ ব্যাংকের ব্যালান্স শিট প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকে না। এতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর খেলাপি কম দেখা যায়, যা বাহ্যিকভাবে ব্যাংকের ভালো অবস্থা প্রদর্শন করে। আর গ্রাহকের আস্থা ধরে রাখতে অধিকাংশ ব্যাংক মন্দ মানের খেলাপি ঋণের একটা অংশ অবলোপন করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ব্যাংকগুলোর গত জুন পর্যন্ত অবলোপন করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ৪০২ কোটি টাকা। আর চলতি বছরের জুন পর্যন্ত খেলাপি ঋণের অঙ্ক ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে জুন শেষে ব্যাংক খাতে প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংকগুলো বিভিন্নভাবে ১৭ হাজার ৪১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আদায় করতে পেরেছে। যদিও ব্যাংকগুলোর ব্যালান্স শিটে খেলাপি দেখানো হয় সোয়া লাখ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ঋণ অবলোপন হয়েছিল ৫২৯ কোটি টাকা। সে সময় অবলোপনের মোট স্থিতি ছিল ৫৯ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা। একই সময়ে আদায় হয়েছিল ১৫ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা। এরপর এপ্রিল থেকে জুন প্রান্তিকে মাত্র তিন মাসে ঋণ অবলোপন বেড়েছে ৫৪৪ কোটি টাকারও বেশি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অবলোপন করা ঋণ থেকে আদায়ে খুব বেশি অগ্রগতি নেই। ছোট ঋণগ্রহীতারা কিছু টাকা দিলেও রাঘববোয়ালরা তেমন একটা টাকা দেয় না। এখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ দরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর তুলনায় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ঋণ অবলোপনের পরিমাণ বেশি। গত এপ্রিল থেকে জুন প্রান্তিকের তিন মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ঋণ অবলোপন করেছে ৭৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ঋণ অবলোপনের পরিমাণ ৪৫৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো ঋণ অবলোপন করেছে ১০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। বিদেশি ব্যাংকগুলোর ঋণ অবলোপনের পরিমাণ ৫৩ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঋণ আদায় না করে যদি ‘রাইট অফ’ কৌশল বেছে নেওয়া হয়, তাহলে এক সময় ব্যাংকের মূলধনে বড় আঘাত পড়তে পারে। তাই অবলোপন কখনো ব্যাংকের জন্য ভালো ভাবার সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুন প্রান্তিকের হিসাবসহ ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ অবলোপনের স্থিতি ছিল ৬০ হাজার ৪০২ কোটি ৪২ টাকা। তবে ১৭ হাজার ৪১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আদায়ের ফলে খেলাপি ঋণ অবলোপনের নিট স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকগুলোকে খেলাপি আদায়ে লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবুও খেলাপি আদায়ে খুব একটা অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি ব্যাংকগুলো।
খেলাপি ঋণের পরিমাণ কম দেখাতে নানা কৌশলের আশ্রয় নিয়ে ব্যাংকগুলো ঋণ অবলোপন করছে। কারণ, অবলোপন করা ঋণ ব্যাংকের ব্যালান্স শিট প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকে না। এতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর খেলাপি কম দেখা যায়, যা বাহ্যিকভাবে ব্যাংকের ভালো অবস্থা প্রদর্শন করে। আর গ্রাহকের আস্থা ধরে রাখতে অধিকাংশ ব্যাংক মন্দ মানের খেলাপি ঋণের একটা অংশ অবলোপন করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ব্যাংকগুলোর গত জুন পর্যন্ত অবলোপন করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ৪০২ কোটি টাকা। আর চলতি বছরের জুন পর্যন্ত খেলাপি ঋণের অঙ্ক ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে জুন শেষে ব্যাংক খাতে প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংকগুলো বিভিন্নভাবে ১৭ হাজার ৪১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আদায় করতে পেরেছে। যদিও ব্যাংকগুলোর ব্যালান্স শিটে খেলাপি দেখানো হয় সোয়া লাখ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ঋণ অবলোপন হয়েছিল ৫২৯ কোটি টাকা। সে সময় অবলোপনের মোট স্থিতি ছিল ৫৯ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা। একই সময়ে আদায় হয়েছিল ১৫ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা। এরপর এপ্রিল থেকে জুন প্রান্তিকে মাত্র তিন মাসে ঋণ অবলোপন বেড়েছে ৫৪৪ কোটি টাকারও বেশি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অবলোপন করা ঋণ থেকে আদায়ে খুব বেশি অগ্রগতি নেই। ছোট ঋণগ্রহীতারা কিছু টাকা দিলেও রাঘববোয়ালরা তেমন একটা টাকা দেয় না। এখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ দরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর তুলনায় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ঋণ অবলোপনের পরিমাণ বেশি। গত এপ্রিল থেকে জুন প্রান্তিকের তিন মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ঋণ অবলোপন করেছে ৭৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ঋণ অবলোপনের পরিমাণ ৪৫৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো ঋণ অবলোপন করেছে ১০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। বিদেশি ব্যাংকগুলোর ঋণ অবলোপনের পরিমাণ ৫৩ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঋণ আদায় না করে যদি ‘রাইট অফ’ কৌশল বেছে নেওয়া হয়, তাহলে এক সময় ব্যাংকের মূলধনে বড় আঘাত পড়তে পারে। তাই অবলোপন কখনো ব্যাংকের জন্য ভালো ভাবার সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুন প্রান্তিকের হিসাবসহ ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ অবলোপনের স্থিতি ছিল ৬০ হাজার ৪০২ কোটি ৪২ টাকা। তবে ১৭ হাজার ৪১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আদায়ের ফলে খেলাপি ঋণ অবলোপনের নিট স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকগুলোকে খেলাপি আদায়ে লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবুও খেলাপি আদায়ে খুব একটা অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি ব্যাংকগুলো।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে