সিলেট প্রতিনিধি
এবার সিলেট জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চারা রোপণ ও পরিচর্যায় কৃষকেরা সঠিকভাবে কাজ করতে পেরেছেন। আবহাওয়ার এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে এ মৌসুমে আমনের ভালো ফলন পাবেন বলে আশাবাদী তাঁরা। সোনালি ধানের বাম্পার ফলনের আশায় দিন-রাত একাকার করে কৃষকের পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষিবহুল জনপদ জালালপুরে আমনের চাষ হয়েছে ব্যাপক। কৃষকেরা ফসলের মাঠে আগাছা পরিষ্কার, সার প্রয়োগ ও পোকা থেকে ধানকে রক্ষা করতে কীটনাশক ছিটাচ্ছেন। কৃষক ফজর আলী বলেন, এখন পর্যন্ত আবহাওয়া আমন ধানের জন্য অনুকূলে রয়েছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলে এ বছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে।
সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, সিলেটের চার জেলায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৩ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে। ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত বিভাগে ৪ লাখ ১৫ হাজার ৫৪৬ হেক্টর জমি আমন আবাদ হয়েছে। শুধু সিলেট জেলায় ১ লাখ ৪০ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ইতিমধ্যে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭৩ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি। সময়মতো বৃষ্টি হওয়া এবং বন্যা না হওয়ায় সিলেট বিভাগে ২১ হাজার ৭৬৮ হেক্টর জমিতে কৃষকেরা বীজতলা তৈরি করতে সক্ষম হন, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৩ শতাংশ বেশি। বীজতলা তৈরিতে সিলেট জেলা এগিয়ে। ৭ হাজার ৫০৮ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বীজতলা হয়েছে ৭ হাজার ৮৮৫ হেক্টরে জমিতে।
ঠিকমতো বীজতলা তৈরি করার সুবাদে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমি আবাদের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন কৃষি কর্মকর্তারা। তাঁদের মতে, এ বছর এখন পর্যন্ত আমন আবাদের জন্য উপযোগী আবহাওয়া বিরাজ করছে। প্রতিদিন রাতের বেলা পর্যাপ্ত বৃষ্টি চলতি আমন মৌসুমের জন্য খুবই উপকারী। ভয়াবহ বন্যায় আউশ ধানের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমনের প্রতি কৃষকেরা যত্নবান।
সিলেট জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র সরকার বলেন, এবার অনুকূল আবহাওয়ার কারণে সিলেট বিভাগে আমনের ভালো ফলন হবে। এতে কৃষকেরা আরও উৎসাহিত হয়েছেন। রোপা আমনচাষিরা দ্বিগুণ উৎসাহে মাঠে নেমেছেন। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আমন আবাদ হয়েছে এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
আরও জানা গেছে, এবার সিলেট বিভাগের চার জেলায় ৪ লাখ ৩ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। উফশী ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৫ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ধান আবাদের লক্ষ্য ৪৬ হাজার ৪৯০ হেক্টর এবং হাইব্রিড ৩০৫ হেক্টর জমিতে আবাদ করার কথা। এরই মধ্যে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩০১ হেক্টর জমিতে উফশী, ৪১ হাজার ৩৮৯ হেক্টর জমিতে স্থানীয় এবং ৮৫৬ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতীয় ধান আবাদ হয়েছে। প্রতিদিন কৃষকেরা জমি আবাদে ব্যস্ত রয়েছেন।
সিলেট জেলায় মোট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ হেক্টর। এর মধ্যে উফশী ১ লাখ ১১ হাজার ৫০০ হেক্টর, স্থানীয় ২৯ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে উফশী জাতের ধান আবাদের লক্ষ্য ছাড়িয়ে গেছে। ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত আমন ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭৩ হেক্টর জমিতে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের উপপরিচালক কাজী মুজিবুর রহমান বলেন, এ বছর আমন ধানের ভালো ফলনের আশা দেখছেন তাঁরা। এবার নিয়মিত বৃষ্টি থাকায় ও বন্যামুক্ত হওয়ায় কৃষকেরা ভালোভাবে ধান রোপণের সুযোগ পেয়েছেন। পোকা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতি না হলে এবার অনেক বেশি উৎপাদন আশা করা হচ্ছে।
এবার সিলেট জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চারা রোপণ ও পরিচর্যায় কৃষকেরা সঠিকভাবে কাজ করতে পেরেছেন। আবহাওয়ার এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে এ মৌসুমে আমনের ভালো ফলন পাবেন বলে আশাবাদী তাঁরা। সোনালি ধানের বাম্পার ফলনের আশায় দিন-রাত একাকার করে কৃষকের পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষিবহুল জনপদ জালালপুরে আমনের চাষ হয়েছে ব্যাপক। কৃষকেরা ফসলের মাঠে আগাছা পরিষ্কার, সার প্রয়োগ ও পোকা থেকে ধানকে রক্ষা করতে কীটনাশক ছিটাচ্ছেন। কৃষক ফজর আলী বলেন, এখন পর্যন্ত আবহাওয়া আমন ধানের জন্য অনুকূলে রয়েছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলে এ বছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে।
সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, সিলেটের চার জেলায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৩ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে। ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত বিভাগে ৪ লাখ ১৫ হাজার ৫৪৬ হেক্টর জমি আমন আবাদ হয়েছে। শুধু সিলেট জেলায় ১ লাখ ৪০ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ইতিমধ্যে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭৩ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি। সময়মতো বৃষ্টি হওয়া এবং বন্যা না হওয়ায় সিলেট বিভাগে ২১ হাজার ৭৬৮ হেক্টর জমিতে কৃষকেরা বীজতলা তৈরি করতে সক্ষম হন, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৩ শতাংশ বেশি। বীজতলা তৈরিতে সিলেট জেলা এগিয়ে। ৭ হাজার ৫০৮ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বীজতলা হয়েছে ৭ হাজার ৮৮৫ হেক্টরে জমিতে।
ঠিকমতো বীজতলা তৈরি করার সুবাদে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমি আবাদের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন কৃষি কর্মকর্তারা। তাঁদের মতে, এ বছর এখন পর্যন্ত আমন আবাদের জন্য উপযোগী আবহাওয়া বিরাজ করছে। প্রতিদিন রাতের বেলা পর্যাপ্ত বৃষ্টি চলতি আমন মৌসুমের জন্য খুবই উপকারী। ভয়াবহ বন্যায় আউশ ধানের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমনের প্রতি কৃষকেরা যত্নবান।
সিলেট জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র সরকার বলেন, এবার অনুকূল আবহাওয়ার কারণে সিলেট বিভাগে আমনের ভালো ফলন হবে। এতে কৃষকেরা আরও উৎসাহিত হয়েছেন। রোপা আমনচাষিরা দ্বিগুণ উৎসাহে মাঠে নেমেছেন। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আমন আবাদ হয়েছে এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
আরও জানা গেছে, এবার সিলেট বিভাগের চার জেলায় ৪ লাখ ৩ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। উফশী ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৫ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ধান আবাদের লক্ষ্য ৪৬ হাজার ৪৯০ হেক্টর এবং হাইব্রিড ৩০৫ হেক্টর জমিতে আবাদ করার কথা। এরই মধ্যে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩০১ হেক্টর জমিতে উফশী, ৪১ হাজার ৩৮৯ হেক্টর জমিতে স্থানীয় এবং ৮৫৬ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতীয় ধান আবাদ হয়েছে। প্রতিদিন কৃষকেরা জমি আবাদে ব্যস্ত রয়েছেন।
সিলেট জেলায় মোট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ হেক্টর। এর মধ্যে উফশী ১ লাখ ১১ হাজার ৫০০ হেক্টর, স্থানীয় ২৯ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে উফশী জাতের ধান আবাদের লক্ষ্য ছাড়িয়ে গেছে। ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত আমন ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭৩ হেক্টর জমিতে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের উপপরিচালক কাজী মুজিবুর রহমান বলেন, এ বছর আমন ধানের ভালো ফলনের আশা দেখছেন তাঁরা। এবার নিয়মিত বৃষ্টি থাকায় ও বন্যামুক্ত হওয়ায় কৃষকেরা ভালোভাবে ধান রোপণের সুযোগ পেয়েছেন। পোকা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতি না হলে এবার অনেক বেশি উৎপাদন আশা করা হচ্ছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে