খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা
সিনেমার শুরুতে কালো ব্যাকগ্রাউন্ডের ওপর জ্বলজ্বল করছে সাদা হরফের কয়েকটি লাইন। সেখানেই লুকিয়ে আছে ‘খুফিয়া’র সারমর্ম। গল্পের গভীরে ঢোকার আগে নির্মাতা বিশাল ভরদ্বাজ টেনেছেন কারগিল যুদ্ধের প্রসঙ্গ। ১৯৯৯ সালের জুলাইয়ে কাগজ-কলমে কারগিল যুদ্ধ শেষ হলেও লড়াইটা তীব্র হয়ে ওঠে দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থার অভ্যন্তরে। ‘প্রতিবেশী দেশ’-এর নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে তৎপর দুই দেশ ও তাদের গোয়েন্দা সংস্থা। এই প্রতিবেশী দেশ যে বাংলাদেশ, সেটা বোঝা যায় মিনিটখানেকের মধ্যেই।
গল্পের আড়ালে
লোকেশন ঢাকা। সাল ২০০৪। খুফিয়ার গল্প অনুযায়ী, বাংলাদেশে তখন জামায়াতের নেতৃত্বে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। মদদ দিচ্ছে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। ভারতের জন্য বিষয়টি হুমকিস্বরূপ বিবেচনা করে ঢাকায় অপারেশন চালাতে চায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’। সে খবর পায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ।
ইসলামাবাদের সঙ্গে তখন ওয়াশিংটনের কথা চলছে ওসামা বিন লাদেনকে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে। ফলে আইএসআই নাখোশ হবে, র-কে এমন কিছু করতে দিতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র। কথা না শুনলে ভারতের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি বাতিলেরও হুমকি দেওয়া হয়। চিন্তায় পড়ে যায় নয়াদিল্লি। র-এর গোপন তথ্য সিআইএর কাছে কে পাচার করছে, শুরু হয় সেই গুপ্তচরের খোঁজ।
খুফিয়ার গল্পের বীজ বাংলাদেশে পোঁতা হলেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বেশিক্ষণ স্থির থাকেননি নির্মাতা বিশাল। বরং মন দেন ঘরের শত্রু বিভীষণকে খোঁজার দিকে। এ মিশনের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন ব্রুটাস’। বিশালের শেক্সপিয়ারপ্রীতির কথা জানেন অনেকে। খুফিয়ায় সরাসরি শেক্সপিয়ারের সংযোগ না থাকলেও তাঁর ‘জুলিয়াস সিজার’ থেকে নামটি ধার করেছেন তিনি। ‘ব্রুটাস’ হিসেবে সন্দেহ করা হয় র-এর কর্মকর্তা রবি দেভিলাল মোহনকে (আলী ফজল)। তার ওপর নজরদারি শুরু হয়। তাকে ধরতে অপারেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয় কৃষ্ণা মেহরাকে (টাবু), যার কোডনেম কে এম।
নজর কাড়লেন বাঁধন
খুফিয়ার অক্টোপাস সে। ভালো নাম হেনা রহমান। কাজ করে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইতে। তার ভাষায়, ‘সব জায়গায় কানেকশন আছে আমার—এনএসআই, জামায়াত।’ কে এম মানে কৃষ্ণা মেহরার সঙ্গে হেনার যোগাযোগ ২০০১ সালের দিকে, যখন কৃষ্ণা ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসে কাজ করত। খুফিয়া সিনেমায় টাবুর ফ্ল্যাশব্যাক থেকেই মূলত উঠে আসে হেনার গল্প। চরিত্রটির ব্যাপ্তি অত দীর্ঘ নয়, তবে প্রয়োজনীয়। হেনা চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের বাঁধন। দেশের বাইরে বড় পরিসরে এটাই প্রথম কাজ তাঁর। খুফিয়ার এই স্বল্পদৈর্ঘ্যের চরিত্রে অভিনয় করেও সবার আলোচনার বিষয় তিনি। চাহনি, সংলাপ বলার ভঙ্গি, শান্ত অথচ দৃঢ় উচ্চারণ আর আত্মবিশ্বাসে সবার মন জয় করে নিয়েছেন বাঁধন। তাই সিনেমা শেষেও থেকে যায় রেশ।
গল্পের টুইস্টের চেয়ে অভিনয়ই এই সিনেমার প্রধান সম্পদ। গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা হিসেবে টাবুর অভিনয় একটা নতুন বেঞ্চমার্ক রেখে গেল। জীবনের সেরা অভিনয়টা উপহার দিলেন আলী ফজল। আরেকবার নিজের প্রতিভার জানান দিলেন ওয়ামিকা গাব্বি। অল্প কয়েকটি দৃশ্যে এসেও রবির মায়ের চরিত্রে নবনীন্দ্র বেহেল চমকে দিলেন সবাইকে।
সঙ্গী যখন বিতর্ক
বলিউডে যতবারই বাংলাদেশ প্রসঙ্গ এসেছে, ততবারই হয়েছে সমালোচিত। খুফিয়াও ব্যতিক্রম নয়। দেশের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মী হেনা চর হিসেবে কাজ করছে ভিনদেশি র-এর সঙ্গে, বিষয়টি ভালো লাগেনি অনেকের। হেনা অবশ্য তার সংলাপে বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছে। কৃষ্ণা মেহরা যখন প্রশ্ন করে, ‘তুমি এ কাজ কেন করতে চাইছ?’ জবাবে হেনা বলে, ‘আমি মির্জাকে ঘৃণা করি। সে আমাদের স্টোন এজে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়। আইএসআইয়ের পুতুল সে।’
জঙ্গিবাদের অভিশাপে নিমজ্জিত হওয়া থেকে দেশকে রক্ষা করতেই মূলত কৃষ্ণার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সে। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে নয়। ফলে এটা নিয়ে বিতর্ক বেশি দূর এগোনো যায় না। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, কৃষ্ণা ও হেনাকে সমকামী দেখানোর কি আদৌ দরকার ছিল? খুফিয়ার গল্পে এটা মোটেও আলাদা কিছু যোগ করেনি। বরং মনে হয়েছে, কয়েক বছর ধরে নেটফ্লিক্স যেভাবে সমকামিতার ব্র্যান্ডিং করছে তাদের প্রায় প্রতিটি কনটেন্টে; খুফিয়া সে প্রোপাগান্ডার এক নিরীহ শিকার মাত্র।
সিনেমার শুরুতে কালো ব্যাকগ্রাউন্ডের ওপর জ্বলজ্বল করছে সাদা হরফের কয়েকটি লাইন। সেখানেই লুকিয়ে আছে ‘খুফিয়া’র সারমর্ম। গল্পের গভীরে ঢোকার আগে নির্মাতা বিশাল ভরদ্বাজ টেনেছেন কারগিল যুদ্ধের প্রসঙ্গ। ১৯৯৯ সালের জুলাইয়ে কাগজ-কলমে কারগিল যুদ্ধ শেষ হলেও লড়াইটা তীব্র হয়ে ওঠে দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থার অভ্যন্তরে। ‘প্রতিবেশী দেশ’-এর নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে তৎপর দুই দেশ ও তাদের গোয়েন্দা সংস্থা। এই প্রতিবেশী দেশ যে বাংলাদেশ, সেটা বোঝা যায় মিনিটখানেকের মধ্যেই।
গল্পের আড়ালে
লোকেশন ঢাকা। সাল ২০০৪। খুফিয়ার গল্প অনুযায়ী, বাংলাদেশে তখন জামায়াতের নেতৃত্বে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। মদদ দিচ্ছে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। ভারতের জন্য বিষয়টি হুমকিস্বরূপ বিবেচনা করে ঢাকায় অপারেশন চালাতে চায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’। সে খবর পায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ।
ইসলামাবাদের সঙ্গে তখন ওয়াশিংটনের কথা চলছে ওসামা বিন লাদেনকে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে। ফলে আইএসআই নাখোশ হবে, র-কে এমন কিছু করতে দিতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র। কথা না শুনলে ভারতের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি বাতিলেরও হুমকি দেওয়া হয়। চিন্তায় পড়ে যায় নয়াদিল্লি। র-এর গোপন তথ্য সিআইএর কাছে কে পাচার করছে, শুরু হয় সেই গুপ্তচরের খোঁজ।
খুফিয়ার গল্পের বীজ বাংলাদেশে পোঁতা হলেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বেশিক্ষণ স্থির থাকেননি নির্মাতা বিশাল। বরং মন দেন ঘরের শত্রু বিভীষণকে খোঁজার দিকে। এ মিশনের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন ব্রুটাস’। বিশালের শেক্সপিয়ারপ্রীতির কথা জানেন অনেকে। খুফিয়ায় সরাসরি শেক্সপিয়ারের সংযোগ না থাকলেও তাঁর ‘জুলিয়াস সিজার’ থেকে নামটি ধার করেছেন তিনি। ‘ব্রুটাস’ হিসেবে সন্দেহ করা হয় র-এর কর্মকর্তা রবি দেভিলাল মোহনকে (আলী ফজল)। তার ওপর নজরদারি শুরু হয়। তাকে ধরতে অপারেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয় কৃষ্ণা মেহরাকে (টাবু), যার কোডনেম কে এম।
নজর কাড়লেন বাঁধন
খুফিয়ার অক্টোপাস সে। ভালো নাম হেনা রহমান। কাজ করে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইতে। তার ভাষায়, ‘সব জায়গায় কানেকশন আছে আমার—এনএসআই, জামায়াত।’ কে এম মানে কৃষ্ণা মেহরার সঙ্গে হেনার যোগাযোগ ২০০১ সালের দিকে, যখন কৃষ্ণা ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসে কাজ করত। খুফিয়া সিনেমায় টাবুর ফ্ল্যাশব্যাক থেকেই মূলত উঠে আসে হেনার গল্প। চরিত্রটির ব্যাপ্তি অত দীর্ঘ নয়, তবে প্রয়োজনীয়। হেনা চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের বাঁধন। দেশের বাইরে বড় পরিসরে এটাই প্রথম কাজ তাঁর। খুফিয়ার এই স্বল্পদৈর্ঘ্যের চরিত্রে অভিনয় করেও সবার আলোচনার বিষয় তিনি। চাহনি, সংলাপ বলার ভঙ্গি, শান্ত অথচ দৃঢ় উচ্চারণ আর আত্মবিশ্বাসে সবার মন জয় করে নিয়েছেন বাঁধন। তাই সিনেমা শেষেও থেকে যায় রেশ।
গল্পের টুইস্টের চেয়ে অভিনয়ই এই সিনেমার প্রধান সম্পদ। গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা হিসেবে টাবুর অভিনয় একটা নতুন বেঞ্চমার্ক রেখে গেল। জীবনের সেরা অভিনয়টা উপহার দিলেন আলী ফজল। আরেকবার নিজের প্রতিভার জানান দিলেন ওয়ামিকা গাব্বি। অল্প কয়েকটি দৃশ্যে এসেও রবির মায়ের চরিত্রে নবনীন্দ্র বেহেল চমকে দিলেন সবাইকে।
সঙ্গী যখন বিতর্ক
বলিউডে যতবারই বাংলাদেশ প্রসঙ্গ এসেছে, ততবারই হয়েছে সমালোচিত। খুফিয়াও ব্যতিক্রম নয়। দেশের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মী হেনা চর হিসেবে কাজ করছে ভিনদেশি র-এর সঙ্গে, বিষয়টি ভালো লাগেনি অনেকের। হেনা অবশ্য তার সংলাপে বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছে। কৃষ্ণা মেহরা যখন প্রশ্ন করে, ‘তুমি এ কাজ কেন করতে চাইছ?’ জবাবে হেনা বলে, ‘আমি মির্জাকে ঘৃণা করি। সে আমাদের স্টোন এজে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়। আইএসআইয়ের পুতুল সে।’
জঙ্গিবাদের অভিশাপে নিমজ্জিত হওয়া থেকে দেশকে রক্ষা করতেই মূলত কৃষ্ণার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সে। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে নয়। ফলে এটা নিয়ে বিতর্ক বেশি দূর এগোনো যায় না। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, কৃষ্ণা ও হেনাকে সমকামী দেখানোর কি আদৌ দরকার ছিল? খুফিয়ার গল্পে এটা মোটেও আলাদা কিছু যোগ করেনি। বরং মনে হয়েছে, কয়েক বছর ধরে নেটফ্লিক্স যেভাবে সমকামিতার ব্র্যান্ডিং করছে তাদের প্রায় প্রতিটি কনটেন্টে; খুফিয়া সে প্রোপাগান্ডার এক নিরীহ শিকার মাত্র।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে