ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি

গৌরীপুর ও নান্দাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২২, ০৬: ৩৫
আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২২, ১০: ৫৭

আকস্মিক ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে দুই উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে গৌরীপুরে উপজেলায় গত রোববার গভীর রাতে বয়ে যাওয়া ঝড়ে ১০টি ইউনিয়নেই ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রামগোপালপুর, অচিন্ত্যপুর, ডৌহাখলা, গৌরীপুর, ভাংনামারী ও পৌরসভায় শিলায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে গেছে অনেক গাছপালা।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, ভেঙে যাওয়া গাছপালায় অনেক জায়গায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। বিশেষ করে কলতাপাড়া বাজার লাইন ও অচিন্ত্যপুর ইউনিয়নে ক্ষতি হয়েছে বেশি। রাত থেকেই এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ ছাড়া অনেক ঘরবাড়ি ও প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জানা গেছে, রোববার রাত দেড়টার গৌরীপুরে আধঘণ্টাব্যাপী বয়ে যাওয়া ঝড় ও কয়েক মিনিটের শিলাবৃষ্টির তাণ্ডবে এ ক্ষতি হবে। গাছপালা পড়ে ঘর-বাড়ি ভেঙে যায় ও বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। এতে রাতেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

পৌরসভার নিমতলি মহল্লার রিসেন্ট কম্পিউটার একাডেমির পরিচালক মো. মমিনুর রেজা বিপ্লব বলেন, ‘পাশের একটি শতবর্ষী দেবদারু গাছ পড়ে প্রতিষ্ঠানের টিনের ছাউনি ও ইটের পাকা দেয়াল ভেঙে গেছে।’

গৌরীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লিপি বলেন, ‘পৌরসভাসহ ১০টি ইউনিয়নে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন ও তালিকা তৈরি করছেন।’

গৌরীপুরের আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘রাতের আকস্মিক ঝড়ে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কলতাপাড়া ও অচিন্ত্যপুরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান মারুফ বলেন, ‘রাতের ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে মাঠ পর্যায়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।’

এদিকে নান্দাইলেও ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বোরো ধান নষ্ট হয়েছে, গাছের ডালপালা পড়ে ঘর ভেঙে গেছে। ঝড়ের পর থেকে উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার ইফতারের পর হালকা বাতাস ও বৃষ্টি হয়। পরে রাত ২টার দিকে ঝোড়ো হাওয়া ও শিলা বৃষ্টি শুরু হয়। এতে গাছের ডাল পালা ভেঙে ঘরে পড়ে। ফসলি জমির ধান বাতাসে নুয়ে পড়েছে। উপজেলার জামতলা এলাকার মৎস্য চাষি ফেরদৌস মল্লিকের মাছের পোনা হ্যাচারির চাল বাতাসে উড়ে গেছে। এদিকে ঝড়ে চন্ডিপাশা, মোয়াজ্জেমপুর, আচারগাঁও ইউনিয়নের অনেক জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ে ক্ষতি হয়েছে। মুসুল্লি ও সিংরইল ইউনিয়নে ভুট্টা খেতের বেশি ক্ষতি হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত