Ajker Patrika

আজ তাড়াশ মুক্ত দিবস

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭: ০২
আজ তাড়াশ মুক্ত দিবস

আজ ১৩ ডিসেম্বর। সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে তাড়াশ ও তার আশপাশের এলাকা পাকিস্তানি শত্রুমুক্ত হয়। এর আগে তাড়াশের নওগাঁয় ১৯৭১ সালের ১১ নভেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় যুদ্ধকালীন সংগঠন পলাশডাঙ্গা যুবশিবিরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সামনাসামনি যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর শোচনীয় পরাজয় ঘটে।

চলনবিল এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধারা একত্রিত হয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সে সময় চরম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। এতে নেতৃত্বে দিয়েছিলেন যুবশিবিরের সর্বাধিনায়ক প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ মির্জা ও সহসর্বাধিনায়ক প্রয়াত গাজী ম ম আমজাদ হোসেন মিলন।

নওগাঁর সেই যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা অভিযানে ১৩০ জন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্য মারা যান। এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তগত হয়েছিল।

স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের ১১ নভেম্বর চলনবিলের প্রাণকেন্দ্র ওলিয়ে কামেল হজরত শাহ শরিফ জিন্দানী (রহ.) মাজার এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের ভয়াবহ যুদ্ধ সংগঠিত হয়, যা উত্তরবঙ্গের মধ্যে বৃহৎ যুদ্ধ।

এদিকে ১১ নভেম্বর যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী পরাজিত হয়ে প্রতিশোধ নিতে ১৯৭১ সালের ১৩ নভেম্বর তাড়াশের আমবাড়িয়া গ্রামে অগ্নিসংযোগ ও নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়।

অবশেষে যুদ্ধকালীন সংগঠন পলাশডাঙ্গা যুবশিবিরের মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা-জনতা তাড়াশ এলাকা শত্রুমুক্ত ঘোষণা করে উৎসবে মেতে ওঠেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত