আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা
তিন-চার বছর আগেও কর্মচাঞ্চল্যে মুখর থাকত সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর। এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন চার শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করত। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে বদলেছে বন্দরের সেই চিত্র। নানা কারণে ব্যবসায়ীরা এই বন্দর ব্যবহারে আগ্রহ হারিয়েছেন। এতে আমদানি-রপ্তানি কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কমে অর্ধেকে নেমেছে।
এদিকে ভোমরা স্থলবন্দরের পুরোনো জৌলুশ হারানোর পেছনে ব্যবসায়ীরা দুষছেন ডলার-সংকট, সব পণ্যের আমদানির অনুমতি না থাকা, ব্যবসায়িক হয়রানিসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবা প্রদানের মানসিকতার অভাবকে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, আগে যেখানে প্রতিদিন চার শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক এই বন্দরে মালামাল নিয়ে আসত, বর্তমানে এই সংখ্যা ২-এর নিচে নেমেছে। গত ২২ জানুয়ারি বন্দরটি দিয়ে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে ঢুকেছে মাত্র ১০৯টি।
দেশের তৃতীয় স্থলবন্দর হিসেবে ১৯৯৬ সালে কার্যক্রম শুরু করে ভোমরা স্থলবন্দর। ভারতের কলকাতার সঙ্গে ভোমরা বন্দরের দূরত্ব দেশের যেকোনো বন্দরের চেয়ে কম হওয়ায় ব্যবসায়ীদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছিল। পরিবহন খরচে লাভবান হওয়ায় পাঁচ শতাধিক ব্যবসায়ী এখানে ব্যবসা করছিলেন। ২০০৪-০৫ অর্থবছরে এই বন্দর থেকে রাজস্ব আদায় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়।
ভোমরা শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা এক হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে আদায় হয়েছে মাত্র ৬৩১ কোটি। কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় না হওয়ায় চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৮৫৪ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ব্যবসায়িক হয়রানির কারণে এই বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তাঁরা। পাশাপাশি ডলার-সংকটের কারণে নিয়মিত ঋণপত্র খুলতে না পারাও একটা কারণ।
ভোমরা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী আব্দুল গফুর জানান, কুড়ার তেলসহ দুটি কোম্পানির কিছু পণ্য ছাড়া ভারতে বাংলাদেশের তেমন কোনো পণ্য রপ্তানি হয় না। আমদানিনির্ভর ভোমরা স্থলবন্দরে ভারত থেকে আমদানির সুযোগ রয়েছে ৭২টি পণ্যের। শেড না থাকা ও কিপিং লাইসেন্স না থাকায় বর্তমানে আমদানি হয় মাত্র ২২টি পণ্য। এরও অধিকাংশ শুল্কমুক্ত। এ বন্দর দিয়ে আগে প্রচুর ফলমূল আমদানি হতো। এ ক্ষেত্রে বেনাপোল বন্দরে যে ছাড় পান ব্যবসায়ীরা, তা ভোমরা বন্দরে মেলে না। এসব কারণে ব্যবসায়ীরা অন্য বন্দরের দিকে ঝুঁকছেন।
ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক আহ্বায়ক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন বলেন, ‘আমদানি কমে যাওয়ার জন্য ডলার-সংকট ছাড়াও বহুবিধ কারণ রয়েছে। এখানে শ্রমিকদের পেছনে দ্বিগুণ অর্থ গুনতে হয় ব্যবসায়ীদের। এ ছাড়া ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তো রয়েছেই।’
স্থলবন্দরের বৈষম্য দূর করা প্রয়োজন বলে মনে করেন ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান। তিনি বলেন, অর্থবছরের শুরু থেকে বন্দরে ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো যাচ্ছে না। সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বারবার আশ্বাসের পরও কিপিং লাইসেন্স পাচ্ছে না স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে ডিউটি ফ্রি পণ্য আমদানিতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য পূরণ হবে না। এ ছাড়া আমদানি করা পাথরের চাহিদা কমে যাওয়ায় ট্রাকের সংখ্যাও আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে বলে দাবি করেন তিনি।
পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে ব্যবসায়ীদের শুল্ক স্টেশনের কর্মকর্তাদের হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, পণ্যের চাহিদার ওপর আমদানি নির্ভর করে। এখানে শুল্ক বিভাগের কিছু করার নেই। সব ধরনের পণ্য আমদানি হলে রাজস্ব আদায় কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছাবে।
তিন-চার বছর আগেও কর্মচাঞ্চল্যে মুখর থাকত সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর। এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন চার শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করত। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে বদলেছে বন্দরের সেই চিত্র। নানা কারণে ব্যবসায়ীরা এই বন্দর ব্যবহারে আগ্রহ হারিয়েছেন। এতে আমদানি-রপ্তানি কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কমে অর্ধেকে নেমেছে।
এদিকে ভোমরা স্থলবন্দরের পুরোনো জৌলুশ হারানোর পেছনে ব্যবসায়ীরা দুষছেন ডলার-সংকট, সব পণ্যের আমদানির অনুমতি না থাকা, ব্যবসায়িক হয়রানিসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবা প্রদানের মানসিকতার অভাবকে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, আগে যেখানে প্রতিদিন চার শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক এই বন্দরে মালামাল নিয়ে আসত, বর্তমানে এই সংখ্যা ২-এর নিচে নেমেছে। গত ২২ জানুয়ারি বন্দরটি দিয়ে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে ঢুকেছে মাত্র ১০৯টি।
দেশের তৃতীয় স্থলবন্দর হিসেবে ১৯৯৬ সালে কার্যক্রম শুরু করে ভোমরা স্থলবন্দর। ভারতের কলকাতার সঙ্গে ভোমরা বন্দরের দূরত্ব দেশের যেকোনো বন্দরের চেয়ে কম হওয়ায় ব্যবসায়ীদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছিল। পরিবহন খরচে লাভবান হওয়ায় পাঁচ শতাধিক ব্যবসায়ী এখানে ব্যবসা করছিলেন। ২০০৪-০৫ অর্থবছরে এই বন্দর থেকে রাজস্ব আদায় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়।
ভোমরা শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা এক হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে আদায় হয়েছে মাত্র ৬৩১ কোটি। কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় না হওয়ায় চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৮৫৪ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ব্যবসায়িক হয়রানির কারণে এই বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তাঁরা। পাশাপাশি ডলার-সংকটের কারণে নিয়মিত ঋণপত্র খুলতে না পারাও একটা কারণ।
ভোমরা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী আব্দুল গফুর জানান, কুড়ার তেলসহ দুটি কোম্পানির কিছু পণ্য ছাড়া ভারতে বাংলাদেশের তেমন কোনো পণ্য রপ্তানি হয় না। আমদানিনির্ভর ভোমরা স্থলবন্দরে ভারত থেকে আমদানির সুযোগ রয়েছে ৭২টি পণ্যের। শেড না থাকা ও কিপিং লাইসেন্স না থাকায় বর্তমানে আমদানি হয় মাত্র ২২টি পণ্য। এরও অধিকাংশ শুল্কমুক্ত। এ বন্দর দিয়ে আগে প্রচুর ফলমূল আমদানি হতো। এ ক্ষেত্রে বেনাপোল বন্দরে যে ছাড় পান ব্যবসায়ীরা, তা ভোমরা বন্দরে মেলে না। এসব কারণে ব্যবসায়ীরা অন্য বন্দরের দিকে ঝুঁকছেন।
ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক আহ্বায়ক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন বলেন, ‘আমদানি কমে যাওয়ার জন্য ডলার-সংকট ছাড়াও বহুবিধ কারণ রয়েছে। এখানে শ্রমিকদের পেছনে দ্বিগুণ অর্থ গুনতে হয় ব্যবসায়ীদের। এ ছাড়া ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তো রয়েছেই।’
স্থলবন্দরের বৈষম্য দূর করা প্রয়োজন বলে মনে করেন ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান। তিনি বলেন, অর্থবছরের শুরু থেকে বন্দরে ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো যাচ্ছে না। সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বারবার আশ্বাসের পরও কিপিং লাইসেন্স পাচ্ছে না স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে ডিউটি ফ্রি পণ্য আমদানিতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য পূরণ হবে না। এ ছাড়া আমদানি করা পাথরের চাহিদা কমে যাওয়ায় ট্রাকের সংখ্যাও আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে বলে দাবি করেন তিনি।
পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে ব্যবসায়ীদের শুল্ক স্টেশনের কর্মকর্তাদের হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, পণ্যের চাহিদার ওপর আমদানি নির্ভর করে। এখানে শুল্ক বিভাগের কিছু করার নেই। সব ধরনের পণ্য আমদানি হলে রাজস্ব আদায় কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছাবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে