সম্পাদকীয়
সরকারের চেয়ে সিন্ডিকেট কেন শক্তিশালী, তা সংসদে জানতে চেয়েছেন বিরোধী দলের উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এই প্রশ্নটার উত্তর তো সেই কবে দিয়ে রেখেছেন কবীর সুমন, ‘প্রশ্নগুলো সহজ, আর উত্তরও তো জানা’। হ্যাঁ, বব ডিলানের কণ্ঠে এ গান জনপ্রিয় হয়েছে ইংরেজি ভাষাভাষীদের মাঝে। আর আমরা সুমনের কণ্ঠে গানটি শুনে সে রসবঞ্চিত হইনি। এবং এই পঙ্ক্তি থেকেই বিরোধীদলীয় উপনেতার প্রশ্নের উত্তরও জানা হয়ে গেছে।
‘উত্তরও তো জানা’ বললেই আরও অনেক প্রশ্নের সামনে পড়তে হয়। যে প্রশ্নগুলো যেন উত্তরের সঙ্গে একঘরে বসবাস করে। বুধবারের আজকের পত্রিকায় বিদ্যুতের দাম বাড়া নিয়ে যে সংবাদটি ছাপা হয়েছে, সেটাতেও প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম যে হারে বাড়বে বলা হচ্ছে, তার সঙ্গে সংগতি রেখে কি জিনিসপত্রের দাম বাড়বে? অভিজ্ঞতা তো ভিন্ন কথা বলে। কোথাও এক টাকা দাম বাড়লে সংশ্লিষ্টরা দাম বাড়িয়ে দেন দুই থেকে চার টাকা। এর কোনো উত্তর নেই। দাম বেড়েছে, ব্যস! এরপরের ঘটনা ঘটাবে ওই সিন্ডিকেট। অনেকেরই নিশ্চয় মনে পড়ে যাবে, তেলের দাম বাড়লে তেলচালিত যানবাহনের ভাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্যাসচালিত যানবাহনও ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। উল্টোভাবে, গ্যাসের দাম বাড়লে তেলচালিত যানবাহনের দামও বেড়ে যায়। কেন তা হয়? কেন কেউ তা রুখতে পারে না?
নির্বাচনের আগে হঠাৎ করে কেন গরুর মাংসের দাম ঝাঁ করে কমে এল—সে রহস্যের খোঁজে অনেকেই ব্যয় করেছেন অনেকটা সময়। সে অনুসন্ধানে যে কারণগুলো বেরিয়ে এসেছিল, এখন দেখা যাচ্ছে, সেগুলোর সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই। তখন যা ভাবা হয়েছিল, একবার মনে করিয়ে দিই। দাম বেশি হওয়ার কারণে সীমিত আয়ের মানুষেরা গরুর মাংস খাওয়া ছেড়ে দেওয়ায় মাংসের বিক্রিও কমে গিয়েছিল। তাই এটা ছিল দাম কমিয়ে ক্রেতা আকর্ষণের চেষ্টা।
খামারিদের অনেকেই মধ্যস্বত্বভোগী ঠেকাতে গরুর পরিবর্তে মাংস বিক্রি করছিলেন। হাটে কমেছিল গরুর দাম। চোরাই পথে আসছিল ভারতীয় গরু।
এই কথাগুলোর যদি এখনো কোনো অর্থ থেকে থাকে, তাহলে নির্বাচনের পর কোন ভোজবাজির কারণে মাংসের দাম আবার আগের জায়গায় ফিরে গেল? বলছেন অনেকে, সরকারই নির্বাচনের আগে নিজের দিকে জনমত টানার জন্য মাংসের দাম কমিয়েছিল। সত্যিই জনমত সরকারের দিকে নেওয়ার জন্য যদি এ রকম একটি ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে, তাহলে সরকারের আগামী দিনগুলোর জন্যও কেন তা বহাল রাখা হলো না? এখানেও মনে হয় বব ডিলান বা কবীর সুমন আমাদের সহযোগিতা করতে পারবেন।
হ্যাঁ, সিন্ডিকেট এখন আর লুকানো কোনো ব্যাপার নয়। তারাই এখন বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। চাহিদা-জোগানের হিসাব এখন আর মিলছে না। এ রকম হলে সাধারণ মানুষের আর দাঁড়ানোর জায়গা থাকে না। তখন সিন্ডিকেটই সবকিছুর নিয়ামক হয়ে ওঠে। জানা উত্তরটা বদলানো যায় কি না, সেটাই দেখার বিষয়।
সরকারের চেয়ে সিন্ডিকেট কেন শক্তিশালী, তা সংসদে জানতে চেয়েছেন বিরোধী দলের উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এই প্রশ্নটার উত্তর তো সেই কবে দিয়ে রেখেছেন কবীর সুমন, ‘প্রশ্নগুলো সহজ, আর উত্তরও তো জানা’। হ্যাঁ, বব ডিলানের কণ্ঠে এ গান জনপ্রিয় হয়েছে ইংরেজি ভাষাভাষীদের মাঝে। আর আমরা সুমনের কণ্ঠে গানটি শুনে সে রসবঞ্চিত হইনি। এবং এই পঙ্ক্তি থেকেই বিরোধীদলীয় উপনেতার প্রশ্নের উত্তরও জানা হয়ে গেছে।
‘উত্তরও তো জানা’ বললেই আরও অনেক প্রশ্নের সামনে পড়তে হয়। যে প্রশ্নগুলো যেন উত্তরের সঙ্গে একঘরে বসবাস করে। বুধবারের আজকের পত্রিকায় বিদ্যুতের দাম বাড়া নিয়ে যে সংবাদটি ছাপা হয়েছে, সেটাতেও প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম যে হারে বাড়বে বলা হচ্ছে, তার সঙ্গে সংগতি রেখে কি জিনিসপত্রের দাম বাড়বে? অভিজ্ঞতা তো ভিন্ন কথা বলে। কোথাও এক টাকা দাম বাড়লে সংশ্লিষ্টরা দাম বাড়িয়ে দেন দুই থেকে চার টাকা। এর কোনো উত্তর নেই। দাম বেড়েছে, ব্যস! এরপরের ঘটনা ঘটাবে ওই সিন্ডিকেট। অনেকেরই নিশ্চয় মনে পড়ে যাবে, তেলের দাম বাড়লে তেলচালিত যানবাহনের ভাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্যাসচালিত যানবাহনও ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। উল্টোভাবে, গ্যাসের দাম বাড়লে তেলচালিত যানবাহনের দামও বেড়ে যায়। কেন তা হয়? কেন কেউ তা রুখতে পারে না?
নির্বাচনের আগে হঠাৎ করে কেন গরুর মাংসের দাম ঝাঁ করে কমে এল—সে রহস্যের খোঁজে অনেকেই ব্যয় করেছেন অনেকটা সময়। সে অনুসন্ধানে যে কারণগুলো বেরিয়ে এসেছিল, এখন দেখা যাচ্ছে, সেগুলোর সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই। তখন যা ভাবা হয়েছিল, একবার মনে করিয়ে দিই। দাম বেশি হওয়ার কারণে সীমিত আয়ের মানুষেরা গরুর মাংস খাওয়া ছেড়ে দেওয়ায় মাংসের বিক্রিও কমে গিয়েছিল। তাই এটা ছিল দাম কমিয়ে ক্রেতা আকর্ষণের চেষ্টা।
খামারিদের অনেকেই মধ্যস্বত্বভোগী ঠেকাতে গরুর পরিবর্তে মাংস বিক্রি করছিলেন। হাটে কমেছিল গরুর দাম। চোরাই পথে আসছিল ভারতীয় গরু।
এই কথাগুলোর যদি এখনো কোনো অর্থ থেকে থাকে, তাহলে নির্বাচনের পর কোন ভোজবাজির কারণে মাংসের দাম আবার আগের জায়গায় ফিরে গেল? বলছেন অনেকে, সরকারই নির্বাচনের আগে নিজের দিকে জনমত টানার জন্য মাংসের দাম কমিয়েছিল। সত্যিই জনমত সরকারের দিকে নেওয়ার জন্য যদি এ রকম একটি ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে, তাহলে সরকারের আগামী দিনগুলোর জন্যও কেন তা বহাল রাখা হলো না? এখানেও মনে হয় বব ডিলান বা কবীর সুমন আমাদের সহযোগিতা করতে পারবেন।
হ্যাঁ, সিন্ডিকেট এখন আর লুকানো কোনো ব্যাপার নয়। তারাই এখন বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। চাহিদা-জোগানের হিসাব এখন আর মিলছে না। এ রকম হলে সাধারণ মানুষের আর দাঁড়ানোর জায়গা থাকে না। তখন সিন্ডিকেটই সবকিছুর নিয়ামক হয়ে ওঠে। জানা উত্তরটা বদলানো যায় কি না, সেটাই দেখার বিষয়।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে