নাজিম আল শমষের, ঢাকা
আগামী জুলাইয়ের শেষ দিকে আজারবাইজানে বসবে ফিদে দাবা ও নারী দাবা বিশ্বকাপের আসর। বঙ্গবন্ধু জোনাল দাবায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে ছেলে ও মেয়েদের বিভাগ থেকে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ করে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক মাস্টার ফাহাদ রহমান ও নারী ক্যান্ডিডেট মাস্টার জান্নাতুল ফেরদৌস। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে পেরে ভীষণ রোমাঞ্চিত তিনি। নিজের ভাবনা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন জান্নাত। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাজিম আল শমষের।
প্রশ্ন: প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছেন, আবার একই দিনে নারী আন্তর্জাতিক মাস্টারও হয়েছেন। দুই সুখবর একই সঙ্গে পাওয়ার মুহূর্তটি কেমন ছিল?
জান্নাত: এটা আমার জীবনে সবচেয়ে বড় অর্জন। এমনিই বাংলাদেশে নারী আন্তর্জাতিক মাস্টার ছিল তিনজন, এখন আমিসহ হয়েছে চারজন। আবার বিশ্বকাপে সুযোগ করে নেওয়া আমার জন্য অনেক বড় বিষয়।
প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধু জোনাল দাবার সময়ে আপনার পরীক্ষা ছিল। বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার সময় পড়াশোনা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না?
জান্নাত: এই টুর্নামেন্টে (বঙ্গবন্ধু জোনাল দাবা) আমার খেলার কথাই ছিল না। গত ৩০ এপ্রিল থেকে আমার টেস্ট পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। এ সময় বোর্ড থেকে নোটিশ এল যে পরীক্ষা পিছিয়েছে। ভাগ্য ভালো, আমি খেলতে পেরেছি।
প্রশ্ন: সামনেও পড়াশোনার বিষয়টি থাকছে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা আবার একই সঙ্গে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। পড়া ও খেলা কীভাবে সামলাবেন একসঙ্গে?
জান্নাত: দুটোই আমাকে সামলে নিতে হবে। দাবা ও পড়ালেখা নিয়ে আমার জীবনের অনেক বড় স্বপ্ন। পড়ালেখার পরের ধাপটা কী হবে, সেটা এই পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ধারণ হবে। আবার খেলাধুলাও আমার জীবনের বড় অর্জন। একদিকে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা অন্যদিকে নিজের ক্যারিয়ার—দুই দিকই আমাকে মানিয়ে চলতে হবে।
প্রশ্ন: আপনার একেকটি খেতাব খুব দ্রুতই আসছে। আন্তর্জাতিক মাস্টার হয়েছেন, পরবর্তী সময়ে হয়তো নারী গ্র্যান্ডমাস্টারও হবেন। ছেলেদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যে গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার লক্ষ্য ছিল, সেটি পূরণে কত দূর এগোলেন?
জান্নাত: সেটাও হবে। আগে বিশ্বকাপ খেলি। একজন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়া খুব কঠিন। ছেলেদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেলাটা অনেক কঠিন। ভবিষ্যতে সেটাও হবে।
প্রশ্ন: প্রথমে ধীরে এগিয়ে শেষ দিকে দারুণ খেলে শিরোপা জেতাটা যেন আপনার অভ্যাস হয়ে গেছে। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপেও এভাবে শিরোপা জিতেছিলেন, বঙ্গবন্ধু জোনালেও জিতলেন। শেষের দিকে এসে মনোযোগ ধরে রেখে ভালো খেলা কি আপনার বৈশিষ্ট্য হয়ে যাচ্ছে?
জান্নাত: প্রথমে কিন্তু আমি সবার সঙ্গে একই পর্যায়ে ছিলাম। এরপর বাকিদের খেলা ড্র হওয়ায় আর আমি জয় পাওয়ায় আরও আত্মবিশ্বাসী হলাম। পয়েন্টে এগিয়ে যাওয়ায় তখন চিন্তা করলাম এখন যেহেতু এগিয়ে যাচ্ছি, ভালো খেলছি আমার জন্য কাজটা সহজ হবে। ভালো খেলতে হলে অবশ্যই শেষের দিকে ভালো খেলতে হবে। শুরু যেটাই হোক, শেষটা ভালো হলে শিরোপা জেতা সম্ভব।
প্রশ্ন: আপনার ছোট ভাইও দাবা খেলে। আপনি আন্তর্জাতিক মাস্টার হয়েছেন। সে আপনার কাছ থেকে কী ধরনের পরামর্শ নেয়?
জান্নাত: আমার বাসায় এখন দুটো সুখবর। আমি যেমন আন্তর্জাতিক মাস্টার হয়েছি, তেমনি আমার ভাই সাজিদুল হকও ক্যান্ডিডেট মাস্টার হয়েছে। আমার ফল, নিজের ফল নিয়ে সে ভীষণ খুশি। ওর এখন ২০০০+ রেটিং। ছোটবেলায় ওকে আমি দাবা শেখাতাম, এখন ও-ই আমাকে মাঝে মাঝে শেখায়।
আগামী জুলাইয়ের শেষ দিকে আজারবাইজানে বসবে ফিদে দাবা ও নারী দাবা বিশ্বকাপের আসর। বঙ্গবন্ধু জোনাল দাবায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে ছেলে ও মেয়েদের বিভাগ থেকে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ করে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক মাস্টার ফাহাদ রহমান ও নারী ক্যান্ডিডেট মাস্টার জান্নাতুল ফেরদৌস। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে পেরে ভীষণ রোমাঞ্চিত তিনি। নিজের ভাবনা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন জান্নাত। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাজিম আল শমষের।
প্রশ্ন: প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছেন, আবার একই দিনে নারী আন্তর্জাতিক মাস্টারও হয়েছেন। দুই সুখবর একই সঙ্গে পাওয়ার মুহূর্তটি কেমন ছিল?
জান্নাত: এটা আমার জীবনে সবচেয়ে বড় অর্জন। এমনিই বাংলাদেশে নারী আন্তর্জাতিক মাস্টার ছিল তিনজন, এখন আমিসহ হয়েছে চারজন। আবার বিশ্বকাপে সুযোগ করে নেওয়া আমার জন্য অনেক বড় বিষয়।
প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধু জোনাল দাবার সময়ে আপনার পরীক্ষা ছিল। বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার সময় পড়াশোনা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না?
জান্নাত: এই টুর্নামেন্টে (বঙ্গবন্ধু জোনাল দাবা) আমার খেলার কথাই ছিল না। গত ৩০ এপ্রিল থেকে আমার টেস্ট পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। এ সময় বোর্ড থেকে নোটিশ এল যে পরীক্ষা পিছিয়েছে। ভাগ্য ভালো, আমি খেলতে পেরেছি।
প্রশ্ন: সামনেও পড়াশোনার বিষয়টি থাকছে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা আবার একই সঙ্গে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। পড়া ও খেলা কীভাবে সামলাবেন একসঙ্গে?
জান্নাত: দুটোই আমাকে সামলে নিতে হবে। দাবা ও পড়ালেখা নিয়ে আমার জীবনের অনেক বড় স্বপ্ন। পড়ালেখার পরের ধাপটা কী হবে, সেটা এই পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ধারণ হবে। আবার খেলাধুলাও আমার জীবনের বড় অর্জন। একদিকে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা অন্যদিকে নিজের ক্যারিয়ার—দুই দিকই আমাকে মানিয়ে চলতে হবে।
প্রশ্ন: আপনার একেকটি খেতাব খুব দ্রুতই আসছে। আন্তর্জাতিক মাস্টার হয়েছেন, পরবর্তী সময়ে হয়তো নারী গ্র্যান্ডমাস্টারও হবেন। ছেলেদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যে গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার লক্ষ্য ছিল, সেটি পূরণে কত দূর এগোলেন?
জান্নাত: সেটাও হবে। আগে বিশ্বকাপ খেলি। একজন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়া খুব কঠিন। ছেলেদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেলাটা অনেক কঠিন। ভবিষ্যতে সেটাও হবে।
প্রশ্ন: প্রথমে ধীরে এগিয়ে শেষ দিকে দারুণ খেলে শিরোপা জেতাটা যেন আপনার অভ্যাস হয়ে গেছে। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপেও এভাবে শিরোপা জিতেছিলেন, বঙ্গবন্ধু জোনালেও জিতলেন। শেষের দিকে এসে মনোযোগ ধরে রেখে ভালো খেলা কি আপনার বৈশিষ্ট্য হয়ে যাচ্ছে?
জান্নাত: প্রথমে কিন্তু আমি সবার সঙ্গে একই পর্যায়ে ছিলাম। এরপর বাকিদের খেলা ড্র হওয়ায় আর আমি জয় পাওয়ায় আরও আত্মবিশ্বাসী হলাম। পয়েন্টে এগিয়ে যাওয়ায় তখন চিন্তা করলাম এখন যেহেতু এগিয়ে যাচ্ছি, ভালো খেলছি আমার জন্য কাজটা সহজ হবে। ভালো খেলতে হলে অবশ্যই শেষের দিকে ভালো খেলতে হবে। শুরু যেটাই হোক, শেষটা ভালো হলে শিরোপা জেতা সম্ভব।
প্রশ্ন: আপনার ছোট ভাইও দাবা খেলে। আপনি আন্তর্জাতিক মাস্টার হয়েছেন। সে আপনার কাছ থেকে কী ধরনের পরামর্শ নেয়?
জান্নাত: আমার বাসায় এখন দুটো সুখবর। আমি যেমন আন্তর্জাতিক মাস্টার হয়েছি, তেমনি আমার ভাই সাজিদুল হকও ক্যান্ডিডেট মাস্টার হয়েছে। আমার ফল, নিজের ফল নিয়ে সে ভীষণ খুশি। ওর এখন ২০০০+ রেটিং। ছোটবেলায় ওকে আমি দাবা শেখাতাম, এখন ও-ই আমাকে মাঝে মাঝে শেখায়।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
১ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
১ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
১ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
১ দিন আগে