নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিরোধিতা করেছিল বিএনপিসহ বেশির ভাগ বিরোধী দল। এরপরও প্রায় একতরফাভাবে অর্ধেক আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরে যখন দেখে সেই সামর্থ্য নেই, তখন অন্তত ৮০টি আসনের কথা বলেছিল। কিন্তু শেষমেশ সেই অবস্থানেও থাকতে পারল না তারা। গতকাল সোমবার জানিয়ে দিল, আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ভোট হবে ব্যালট পেপারে। নতুন এই সিদ্ধান্তের পেছনে নষ্ট ইভিএম মেরামতে প্রয়োজনীয় অর্থ না পাওয়া, সময়স্বল্পতা এবং ইভিএম বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতানৈক্যকে কারণ এখন সামনে আনছে ইসি।
ইসির এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তারা বলছে, এর মাধ্যমে ইসি প্রকারান্তরে বিএনপির দাবিই মেনে নিয়েছে। তবে বিএনপি বলছে, তাদের মূল দাবি নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সেটা না হওয়া পর্যন্ত ভোট কীভাবে নেওয়ার ব্যবস্থা হবে, তা নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। ইভিএমে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসাকে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যথেষ্ট মনে করছে না ‘খাতা-কলমের’ বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও।
অবশ্য ইভিএমের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জল ঘোলা করে হলেও ইভিএম থেকে সরে এসেছে নির্বাচন কমিশন। এটা সত্যিই ভালো খবর।’ এখন নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয় সে জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার দরকার বলে মনে করেন তিনি।
ইসির সিদ্ধান্ত
নির্বাচন কমিশনের ১৭তম সভা হয় গতকাল সোমবার। সেই সভার পর ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের জানান, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনে ব্যালট পেপার এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হবে বলে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোয় ইভিএমে ভোট হবে।
নির্বাচনের আগে সময়স্বল্পতা ও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ পেতে অনিশ্চয়তা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে মতৈক্যের অভাব—সব বিষয় বিবেচনা করে কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান সচিব।
যে পথে ফিরল ব্যালট পেপার
নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে গত বছর রাজনৈতিক দল ও প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় করে ইসি। সেখানে আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটভুক্ত মিত্ররা ইভিএমে ভোট গ্রহণের পক্ষে মত দেয়। জাতীয় পার্টিসহ কয়েকটি দল ইভিএমের বিরোধিতা করেছিল। সংলাপ ও মতবিনিময়ে অংশ না নিলেও ইভিএমকে ভোট কারচুপির মেশিন বলে অ্যাখ্যা দেয় বিএনপি। সংলাপে কোনো মতৈক্য না হলেও অন্তত দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট করার সিদ্ধান্ত জানায় কমিশন। এ নিয়ে তখন বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়।
১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ২ লাখ ইভিএম কেনার জন্য ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব সরকারের কাছে দেয় ইসি। সেই টাকার সংস্থান করতে না পারায় পরে ইসি নিজেদের হাতে থাকা ১ লাখ ১০ হাজার মেশিন মেরামত করে তা দিয়ে ৭০ থেকে ৮০ আসনে ভোট করার পরিকল্পনা করে। এ জন্য ইভিএম মেরামত করতে সরকারের কাছে ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা চায় তারা। কৃচ্ছ্রসাধনের কথা বলে এ প্রস্তাবও নাকচ করে দেয় সরকার। মূলত গত বছর গাইবান্ধায় উপনির্বাচন ইভিএমে ভোট নিতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত ওই ভোট বন্ধ করার পর থেকেই ইভিএম নিয়ে সিদ্ধান্তে বদল আসতে শুরু করে।
ক্ষমতাসীনদের প্রতিক্রিয়া
নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার ইসির সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোসহ নানা মহল যার যার রাজনৈতিক অবস্থান থেকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
ইসির সিদ্ধান্তকে ‘চূড়ান্ত’ বলে উল্লেখ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘নির্বাচনকে গতিশীল করার জন্য, যাতে ভোট সহজে প্রদান করা যায়, ব্যালট পেপার নিয়ে নানান সময়ে নানান কথা হয়, এগুলো থেকে বের হওয়ার জন্য ইভিএমে নির্বাচন চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন ইসির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।’
তবে আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে, একদিকে ইভিএমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো, অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের প্রতি একধরনের অনাস্থা তৈরি হয়েছে তাদের (আওয়ামী লীগ)। এমন পরিস্থিতিতে ব্যালটে নির্বাচনে নানামুখী সুবিধা দেখছে সরকারি দল।
তবে ইভিএম থেকে ইসির সরে যাওয়ার ভিন্ন কোনো কারণ খোঁজার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ইভিএমে নির্বাচনের দাবি আমাদের ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে ইসি এখন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা মাথা পেতে নিয়েছি।’
বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো ইভিএমের বিরোধিতা করেছিল উল্লেখ করে আবদুর রহমান বলেন, ‘ইসি তো প্রকারান্তরে বিএনপির দাবিই মেনে নিয়েছে।’
বিরোধীরা যা বলছে
বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করেছিল। তখন পাত্তা না দিয়ে এখন নির্বাচনের বছরে ইসির এমন সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক সমঝোতার অংশ কি না, এমন প্রশ্নও আছে রাজনৈতিক মহলে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এ প্রসঙ্গে বলেন, তাঁদের দলের মূল দাবি নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ৩০০ আসনে ব্যালটে নির্বাচন অনুষ্ঠান পরের ব্যাপার। সব আসনে ব্যালট ব্যবহারের ধারণাকে বিএনপির মূল দাবিকে পাশ কাটানোর জন্য সামনে নিয়ে আসা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
এ ছাড়া, নানাভাবে বিতর্কিত ও সমালোচিত ইসি নিজের ভাবমূর্তি ও গ্রহণযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতে যে উদ্যোগ নিয়ে থাকে, ব্যালট সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত তারই অংশ বলে মনে করেন বিএনপির সাবেক এই সংসদ সদস্য।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের প্রধান শরিক জাতীয় পার্টি (জাপা)। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনব্যবস্থার অধিকতর সংস্কার দাবি করেছেন জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘ইভিএমে ভোট না হলে কারচুপি কিছুটা হয়তো কম হবে। তবে এটা ভাববার কোনো সুযোগ নেই যে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে গেলে আরও অনেক কিছুর দরকার পড়ে। এখনো দেশের বেশির ভাগ মানুষের ধারণা, নির্বাচনব্যবস্থা সরকারের কুক্ষিগত।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিরোধিতা করেছিল বিএনপিসহ বেশির ভাগ বিরোধী দল। এরপরও প্রায় একতরফাভাবে অর্ধেক আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরে যখন দেখে সেই সামর্থ্য নেই, তখন অন্তত ৮০টি আসনের কথা বলেছিল। কিন্তু শেষমেশ সেই অবস্থানেও থাকতে পারল না তারা। গতকাল সোমবার জানিয়ে দিল, আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ভোট হবে ব্যালট পেপারে। নতুন এই সিদ্ধান্তের পেছনে নষ্ট ইভিএম মেরামতে প্রয়োজনীয় অর্থ না পাওয়া, সময়স্বল্পতা এবং ইভিএম বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতানৈক্যকে কারণ এখন সামনে আনছে ইসি।
ইসির এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তারা বলছে, এর মাধ্যমে ইসি প্রকারান্তরে বিএনপির দাবিই মেনে নিয়েছে। তবে বিএনপি বলছে, তাদের মূল দাবি নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সেটা না হওয়া পর্যন্ত ভোট কীভাবে নেওয়ার ব্যবস্থা হবে, তা নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। ইভিএমে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসাকে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যথেষ্ট মনে করছে না ‘খাতা-কলমের’ বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও।
অবশ্য ইভিএমের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জল ঘোলা করে হলেও ইভিএম থেকে সরে এসেছে নির্বাচন কমিশন। এটা সত্যিই ভালো খবর।’ এখন নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয় সে জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার দরকার বলে মনে করেন তিনি।
ইসির সিদ্ধান্ত
নির্বাচন কমিশনের ১৭তম সভা হয় গতকাল সোমবার। সেই সভার পর ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের জানান, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনে ব্যালট পেপার এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হবে বলে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোয় ইভিএমে ভোট হবে।
নির্বাচনের আগে সময়স্বল্পতা ও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ পেতে অনিশ্চয়তা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে মতৈক্যের অভাব—সব বিষয় বিবেচনা করে কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান সচিব।
যে পথে ফিরল ব্যালট পেপার
নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে গত বছর রাজনৈতিক দল ও প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় করে ইসি। সেখানে আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটভুক্ত মিত্ররা ইভিএমে ভোট গ্রহণের পক্ষে মত দেয়। জাতীয় পার্টিসহ কয়েকটি দল ইভিএমের বিরোধিতা করেছিল। সংলাপ ও মতবিনিময়ে অংশ না নিলেও ইভিএমকে ভোট কারচুপির মেশিন বলে অ্যাখ্যা দেয় বিএনপি। সংলাপে কোনো মতৈক্য না হলেও অন্তত দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট করার সিদ্ধান্ত জানায় কমিশন। এ নিয়ে তখন বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়।
১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ২ লাখ ইভিএম কেনার জন্য ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব সরকারের কাছে দেয় ইসি। সেই টাকার সংস্থান করতে না পারায় পরে ইসি নিজেদের হাতে থাকা ১ লাখ ১০ হাজার মেশিন মেরামত করে তা দিয়ে ৭০ থেকে ৮০ আসনে ভোট করার পরিকল্পনা করে। এ জন্য ইভিএম মেরামত করতে সরকারের কাছে ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা চায় তারা। কৃচ্ছ্রসাধনের কথা বলে এ প্রস্তাবও নাকচ করে দেয় সরকার। মূলত গত বছর গাইবান্ধায় উপনির্বাচন ইভিএমে ভোট নিতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত ওই ভোট বন্ধ করার পর থেকেই ইভিএম নিয়ে সিদ্ধান্তে বদল আসতে শুরু করে।
ক্ষমতাসীনদের প্রতিক্রিয়া
নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার ইসির সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোসহ নানা মহল যার যার রাজনৈতিক অবস্থান থেকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
ইসির সিদ্ধান্তকে ‘চূড়ান্ত’ বলে উল্লেখ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘নির্বাচনকে গতিশীল করার জন্য, যাতে ভোট সহজে প্রদান করা যায়, ব্যালট পেপার নিয়ে নানান সময়ে নানান কথা হয়, এগুলো থেকে বের হওয়ার জন্য ইভিএমে নির্বাচন চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন ইসির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।’
তবে আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে, একদিকে ইভিএমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো, অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের প্রতি একধরনের অনাস্থা তৈরি হয়েছে তাদের (আওয়ামী লীগ)। এমন পরিস্থিতিতে ব্যালটে নির্বাচনে নানামুখী সুবিধা দেখছে সরকারি দল।
তবে ইভিএম থেকে ইসির সরে যাওয়ার ভিন্ন কোনো কারণ খোঁজার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ইভিএমে নির্বাচনের দাবি আমাদের ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে ইসি এখন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা মাথা পেতে নিয়েছি।’
বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো ইভিএমের বিরোধিতা করেছিল উল্লেখ করে আবদুর রহমান বলেন, ‘ইসি তো প্রকারান্তরে বিএনপির দাবিই মেনে নিয়েছে।’
বিরোধীরা যা বলছে
বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করেছিল। তখন পাত্তা না দিয়ে এখন নির্বাচনের বছরে ইসির এমন সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক সমঝোতার অংশ কি না, এমন প্রশ্নও আছে রাজনৈতিক মহলে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এ প্রসঙ্গে বলেন, তাঁদের দলের মূল দাবি নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ৩০০ আসনে ব্যালটে নির্বাচন অনুষ্ঠান পরের ব্যাপার। সব আসনে ব্যালট ব্যবহারের ধারণাকে বিএনপির মূল দাবিকে পাশ কাটানোর জন্য সামনে নিয়ে আসা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
এ ছাড়া, নানাভাবে বিতর্কিত ও সমালোচিত ইসি নিজের ভাবমূর্তি ও গ্রহণযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতে যে উদ্যোগ নিয়ে থাকে, ব্যালট সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত তারই অংশ বলে মনে করেন বিএনপির সাবেক এই সংসদ সদস্য।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের প্রধান শরিক জাতীয় পার্টি (জাপা)। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনব্যবস্থার অধিকতর সংস্কার দাবি করেছেন জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘ইভিএমে ভোট না হলে কারচুপি কিছুটা হয়তো কম হবে। তবে এটা ভাববার কোনো সুযোগ নেই যে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে গেলে আরও অনেক কিছুর দরকার পড়ে। এখনো দেশের বেশির ভাগ মানুষের ধারণা, নির্বাচনব্যবস্থা সরকারের কুক্ষিগত।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে