আজকের পত্রিকা ডেস্ক
পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণে শুধু যোগাযোগের বিষয়টি মাথায় রাখলেই হয়নি। সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হয়েছে আরও অনেক কিছু। প্রমত্তা পদ্মার স্রোতকে যথাসম্ভব বাধাগ্রস্ত না করা, সেতু এলাকার জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বিশেষত ইলিশের বিষয়টি মাথায় রাখতে হয়েছে। আর এ কারণেই এত দীর্ঘ একটি সেতুকে মাত্র ৪২টি পিলার বা পিয়ারের ওপর দাঁড় করাতে হয়েছে।
পদ্মা সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে সামনে ছিল যমুনার ওপর থাকা বঙ্গবন্ধু সেতুর অভিজ্ঞতা। যমুনা সেতুর দৈর্ঘ্য সাড়ে ৪ কিলোমিটার হলেও এতে রয়েছে ৫০টি পিলার। এই পিলারগুলো সেতুটিকে পোক্ত করলেও নদীর ওপর পড়েছে এর বিরূপ প্রভাব। বিশেষত বর্ষা মৌসুমে এর স্রোত বাধাগ্রস্ত হয়ে সেতু এলাকায় পড়েছে একের পর এক চর।
পদ্মা আবার অন্য কারণেও গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাঁ, ইলিশ। পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা পর্যায় থেকে শুরু করে পুরো নির্মাণকাল এই ইলিশের বিষয়টি বিশেষভাবে মাথায় রাখা হয়েছে। ইলিশ যেন পদ্মাবিমুখ না হয়, সে জন্য ছিল সর্বোচ্চ সতর্কতা। কেনই-বা সতর্ক হবে, ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী একক ফসল হিসেবে ইলিশ থেকেই আসে মোট দেশজ উৎপাদনের ১ শতাংশ। ফলে স্বাদ তো বটেই, অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করেও ইলিশকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পানিপ্রবাহ সম্ভাব্য সর্বোচ্চ মাত্রায় নির্বাধ রাখার চেষ্টা এ কারণেও করা হয়েছে।
স্বাভাবিক কারণেই পদ্মার ক্ষেত্রে সেতু নির্মাণের ফলে এমন বিরূপ প্রভাব পড়ুক, তা কেউ চায়নি। ফলে নদীর স্বাভাবিক স্রোতকে যতটা সম্ভব অক্ষুণ্ন রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এ বিষয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সাবেক প্রধান প্রয়াত অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের মিলিত স্রোত পদ্মায় প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে যাচ্ছে। এত পানির প্রবাহ দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদীর পর বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম। সেতুর বয়সকাল ১০০ বছর ধরা হলেও আরও দীর্ঘ সময় এটি টিকে থাকবে—এমনটাই প্রত্যাশা। সেতুর নিচে ভরা মৌসুমে ১ লাখ ৪০ হাজার ঘনমিটার পানি প্রতি সেকেন্ডে প্রবাহিত হয়। এই প্রবাহ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটিই ছিল প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। আর সে কারণেই একেকটি পিলারের মাঝখানে গড়ে ১৫০ মিটার দূরত্ব রাখা হয়েছে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
পিলারগুলোর মধ্যে থাকা এই দূরত্ব এবং পদ্মা সেতুর মোট দৈর্ঘ্যের হিসাব নদীর পানিপ্রবাহের কথা মাথায় রেখেই করা হয়েছে। জামিলুর রেজা চৌধুরীর ভাষ্যমতে, যমুনা সেতুতে নদীর পানির প্রবাহ যতটা আটকে দেওয়া হয়েছে, পদ্মা সেতুতে প্রবাহ তার চেয়ে অনেক কম বাধাগ্রস্ত হবে। যমুনায় ভরা মৌসুমে নদী বিস্তৃত হতো ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত, যা আটকে দিয়ে সাড়ে ৪ কিলোমিটার সেতু দিয়ে বন্ধন তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু পদ্মার যে এলাকা দিয়ে সেতু তৈরি হচ্ছে, সেখানে ভরা মৌসুমে নদীর বিস্তৃতি ১০ কিলোমিটারের কাছাকাছি। পানির প্রবাহ যাতে কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সে জন্য এই সেতু টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণে শুধু যোগাযোগের বিষয়টি মাথায় রাখলেই হয়নি। সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হয়েছে আরও অনেক কিছু। প্রমত্তা পদ্মার স্রোতকে যথাসম্ভব বাধাগ্রস্ত না করা, সেতু এলাকার জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বিশেষত ইলিশের বিষয়টি মাথায় রাখতে হয়েছে। আর এ কারণেই এত দীর্ঘ একটি সেতুকে মাত্র ৪২টি পিলার বা পিয়ারের ওপর দাঁড় করাতে হয়েছে।
পদ্মা সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে সামনে ছিল যমুনার ওপর থাকা বঙ্গবন্ধু সেতুর অভিজ্ঞতা। যমুনা সেতুর দৈর্ঘ্য সাড়ে ৪ কিলোমিটার হলেও এতে রয়েছে ৫০টি পিলার। এই পিলারগুলো সেতুটিকে পোক্ত করলেও নদীর ওপর পড়েছে এর বিরূপ প্রভাব। বিশেষত বর্ষা মৌসুমে এর স্রোত বাধাগ্রস্ত হয়ে সেতু এলাকায় পড়েছে একের পর এক চর।
পদ্মা আবার অন্য কারণেও গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাঁ, ইলিশ। পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা পর্যায় থেকে শুরু করে পুরো নির্মাণকাল এই ইলিশের বিষয়টি বিশেষভাবে মাথায় রাখা হয়েছে। ইলিশ যেন পদ্মাবিমুখ না হয়, সে জন্য ছিল সর্বোচ্চ সতর্কতা। কেনই-বা সতর্ক হবে, ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী একক ফসল হিসেবে ইলিশ থেকেই আসে মোট দেশজ উৎপাদনের ১ শতাংশ। ফলে স্বাদ তো বটেই, অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করেও ইলিশকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পানিপ্রবাহ সম্ভাব্য সর্বোচ্চ মাত্রায় নির্বাধ রাখার চেষ্টা এ কারণেও করা হয়েছে।
স্বাভাবিক কারণেই পদ্মার ক্ষেত্রে সেতু নির্মাণের ফলে এমন বিরূপ প্রভাব পড়ুক, তা কেউ চায়নি। ফলে নদীর স্বাভাবিক স্রোতকে যতটা সম্ভব অক্ষুণ্ন রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এ বিষয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সাবেক প্রধান প্রয়াত অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের মিলিত স্রোত পদ্মায় প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে যাচ্ছে। এত পানির প্রবাহ দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদীর পর বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম। সেতুর বয়সকাল ১০০ বছর ধরা হলেও আরও দীর্ঘ সময় এটি টিকে থাকবে—এমনটাই প্রত্যাশা। সেতুর নিচে ভরা মৌসুমে ১ লাখ ৪০ হাজার ঘনমিটার পানি প্রতি সেকেন্ডে প্রবাহিত হয়। এই প্রবাহ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটিই ছিল প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। আর সে কারণেই একেকটি পিলারের মাঝখানে গড়ে ১৫০ মিটার দূরত্ব রাখা হয়েছে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
পিলারগুলোর মধ্যে থাকা এই দূরত্ব এবং পদ্মা সেতুর মোট দৈর্ঘ্যের হিসাব নদীর পানিপ্রবাহের কথা মাথায় রেখেই করা হয়েছে। জামিলুর রেজা চৌধুরীর ভাষ্যমতে, যমুনা সেতুতে নদীর পানির প্রবাহ যতটা আটকে দেওয়া হয়েছে, পদ্মা সেতুতে প্রবাহ তার চেয়ে অনেক কম বাধাগ্রস্ত হবে। যমুনায় ভরা মৌসুমে নদী বিস্তৃত হতো ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত, যা আটকে দিয়ে সাড়ে ৪ কিলোমিটার সেতু দিয়ে বন্ধন তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু পদ্মার যে এলাকা দিয়ে সেতু তৈরি হচ্ছে, সেখানে ভরা মৌসুমে নদীর বিস্তৃতি ১০ কিলোমিটারের কাছাকাছি। পানির প্রবাহ যাতে কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সে জন্য এই সেতু টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে