জীবননগরে জনপ্রিয় হচ্ছে রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার

জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৬: ৪৭
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৫: ২৪

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় ধানচাষিদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের সাহায্যে ধানের চারা রোপণ। এ বছরই পরীক্ষামূলকভাবে রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রতাপপুর আইপিএম ক্লাবের অর্থ সম্পাদক রমজান আলী রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার চালাচ্ছেন।

গতকাল রোববার প্রতাপপুর গ্রামের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের মাধ্যমে বোরো ধানের চারা রোপণের কাজ চলছে। ধান লাগানোর আধুনিক এ যন্ত্র দেখতে বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা প্রতাপপুর মাঠে আসছেন।

উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ধানের চারা রোপণ মৌসুমে শ্রমিকসংকট থাকে। এতে অনেক সময় চাষিদের বিপাকে পড়তে হয়। আবার বর্তমানে শ্রমিকদের মজুরিও দিতে হয় অনেক বেশি। এদিকে রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ সহজ ও সাশ্রয়ী হওয়ায় উপজেলার কৃষকেরা এ যন্ত্রের সাহায্যে ধানের চারা রোপণে উৎসাহী হয়ে উঠছেন।

প্রতাপপুর গ্রামের কৃষক জামসেদ আলী বলেন, ‘প্রতিবছর ৫-৬ বিঘা জমিতে ধানের চাষ করি। এ বছরও ৪ বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপণ করেছি। রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের সাহায্যে এবার ১ বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপণ করেছি। এক বিঘা জমিতে চারা রোপণ করতে সময় লেগেছে মাত্র ১ ঘণ্টা। সব মিলিয়ে মাত্র ১ হাজার ৮০০ টাকা খরচ হয়েছে। এ পদ্ধতিতে খরচ ও সময় দুটোই কম লেগেছে।

উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘খামার সামরিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৭ সালে বিনা মূল্যে প্রতাপপুর এইপিএম ক্লাবকে রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার দেওয়া হয়। কারিগরি অভিজ্ঞতা না থাকায় যন্ত্রটি দীর্ঘদিন পড়ে ছিল। আইপিএম ক্লাবের অর্থ সম্পাদক মো. রমজান আলীকে ২৮ দিনের প্রশিক্ষণ দিয়ে যন্ত্রটি পরিচালনায় দক্ষ করে তোলা হয়। এ বছর রমজান ­আলী যন্ত্রটির মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ শুরু করেছেন।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত