এস আলমের ১২ প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট ফাঁকির অনুসন্ধান শুরু

আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৪, ০৯: ০০
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৪, ০৯: ১৮

এস আলম গ্রুপের ১২ প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট ফাঁকির বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পাশাপাশি আলোচিত ব্যবসায়িক গ্রুপটির কর্ণধার সাইফুল আলম (এস আলম) ও তাঁর পরিবারের বিষয়েও অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে এনবিআরের আয়কর বিভাগ সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার মো. মুশফিকুর রহমান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘এ নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। প্রথমে এস আলমের দুই প্রতিষ্ঠান—এস আলম ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড এবং এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেড নিয়ে কাজ করব। এই দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছে সরকারের মোট পাওনা ৭ হাজার ৬৯ কোটি টাকা। চেমন ইস্পাতের কাছে পাওনা ১৪০ কোটি টাকা। গত ৯ জুন চট্টগ্রাম কাস্টমস, ভ্যাট ও এক্সাইজ কমিশনারেট থেকে দুই কোম্পানিকে পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে অপরিশোধিত ভ্যাট ও জরিমানার মোট ৭ হাজার ৬৯ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়।’

ভ্যাট কমিশনারেট সূত্রে জানা যায়, গত তিন বছরে এস আলম ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড, এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেড এবং চেমন ইস্পাতের  কাছে সরকারের মোট পাওনা ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এই সময়ে এস আলম ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড এবং এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেড ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে ৩ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা। এ ছাড়া আরও ৩ হাজার ৫৩১ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভ্যাট রিটার্নে কম ক্রয়-বিক্রয় দেখানোসহ বিভিন্ন উপায়ে ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বড় অঙ্কের ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে কোম্পানি দুটি।

চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের ফিল্ড অফিস থেকে এস আলম নিয়ে একটি অডিট করা হয়। পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনারের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি সেই অডিট রিপোর্ট পর্যালোচনা করে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগের সত্যতা পায়।

২০২৩ সালের অক্টোবরে জমা দেওয়া অডিট প্রতিবেদন এবং প্রতিবেদন তৈরির প্রায় আট মাস পর ২০২৪ সালের মে মাসে জমা দেওয়া পর্যালোচনা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৯-২০ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরের মধ্যে এস আলম ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেডের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা এবং এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৬২১ কোটি টাকা ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। কোম্পানি দুটির বিষয়ে গত বছরের ২ অক্টোবর প্রতিবেদন জমা দেয় অডিট টিম। পরে অডিট প্রতিবেদনটি পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করে মাঠপর্যায়ের কার্যালয়। গত ২১ মে জমা দেওয়া পর্যালোচনা প্রতিবেদনে কোম্পানি দুটির বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

ঢাকার কর অঞ্চল-১৫ থেকে এরই মধ্যে এ-সংক্রান্ত চিঠি সব ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর ও ডাক বিভাগের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত