অরূপ রায়, সাভার
ঢাকার সাভারের বংশী নদীর তীরে গড়ে ওঠা তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে গতকাল সোমবার পর্যন্ত এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। ভুক্তভোগীদের দাবি, ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতার খপ্পরে পড়ে এসব স্থাপনা কিনে তাঁরা বিপাকে পড়েছেন।
সাভারের নামাবাজারের ব্যবসায়ী আতোয়ার রহমান। আট বছর আগে সরকারদলীয় এক নেতার কাছ থেকে খাসজমিতে নির্মিত দোকানের দখল কিনে নিয়ে সেখানে চালের ব্যবসা করে আসছিলেন তিনি। গত শনিবার জেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানে অন্যদের সঙ্গে তাঁর দোকানও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। আতোয়ার বলেন, ‘সরকারি দলের কতিপয় নেতা ও প্রভাবশালী ব্যক্তি বংশী নদী এবং এর তীর দখলের উৎসব চালিয়েছেন, এখন তার খোসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ ব্যবসায়ীদের।’
আওয়ামী লীগের আরেক নেতা ও জনপ্রতিনিধির থেকে ডালের মিল কিনে বিপাকে পড়েছেন বিকাশ সাহা। প্রায় এক কোটি টাকায় কয়েক মাস আগে তিনি মিলটি কেনেন। নদীর তীরে খাসজমিতে নির্মাণ করায় তাঁর মিলটিও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বিকাশ সাহা বলেন, ‘আমি জেনেশুনেই মিলটি কিনেছিলাম। আমার কপাল খারাপ, তাই সরকার ভেঙে দিয়েছে।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবুল কালাম মোহাম্মদ মনসুরের কাছ থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকায় একটি দোকানের দখল কিনে নিয়েছিলেন চাল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম। এক যুগের বেশি সময় আগে খাসজমি দখল করে মনসুর সেখানে আধা পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেন। গত রোববার ওই ঘরও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দখলদারদের অধিকাংশই প্রভাবশালী। আমরা মনে করতাম, এই বাজারে কোনো দিন উচ্ছেদ অভিযান চলবে না। এই বিশ্বাস থেকেই দোকানটি কিনেছিলাম।’
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে নামাবাজার এলাকায় বংশী নদী ও এর তীর দখল হয়ে আসছিল। গুটিকয়েক প্রভাবশালী পরিবার এ দখল প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রথমে তাঁরা আবর্জনা ফেলে নদী ভরাট করেন। পরে সেখানে টিনের ছাপরা তুলে খাসজমির দখল নিয়েছেন। এরপর কোনো বাধা না এলে সেখানে পাকা ও আধা পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। পরে সুযোগ বুঝে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে তাঁর দখল বিক্রি করেছেন।
বেলায়েত হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী জানান, উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার পর তাঁরা প্রভাবশালী দখলদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু উচ্ছেদ বন্ধে তাঁদের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাননি।
জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, নামাবাজার এলাকায় অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন সাভারের ইউএনও মাজহারুল ইসলাম। তাঁকে সহায়তা করেছেন জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম।
জেলা প্রশাসক বলেন, ৬২ দখলদারের তালিকা নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান নামে প্রশাসন। পরে ইউএনও মাজহারুল ইসলাম সরেজমিনে নকশা দেখে সব দখলদারকে উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। সেই অনুযায়ী অভিযান চলছে।
সার্বিক বিষয়ে ব্যারিস্টার বাকির হোসেন মৃধা বলেন, ‘দখলদার উচ্ছেদে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সদিচ্ছা রয়েছে। তবে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ ছাড়া উচ্ছেদ অভিযান শুরু হতো না।’
ইউএনও মাজহারুল ইসলাম গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নামাবাজার এলাকায় বংশী নদী এবং এর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।’
ঢাকার সাভারের বংশী নদীর তীরে গড়ে ওঠা তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে গতকাল সোমবার পর্যন্ত এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। ভুক্তভোগীদের দাবি, ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতার খপ্পরে পড়ে এসব স্থাপনা কিনে তাঁরা বিপাকে পড়েছেন।
সাভারের নামাবাজারের ব্যবসায়ী আতোয়ার রহমান। আট বছর আগে সরকারদলীয় এক নেতার কাছ থেকে খাসজমিতে নির্মিত দোকানের দখল কিনে নিয়ে সেখানে চালের ব্যবসা করে আসছিলেন তিনি। গত শনিবার জেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানে অন্যদের সঙ্গে তাঁর দোকানও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। আতোয়ার বলেন, ‘সরকারি দলের কতিপয় নেতা ও প্রভাবশালী ব্যক্তি বংশী নদী এবং এর তীর দখলের উৎসব চালিয়েছেন, এখন তার খোসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ ব্যবসায়ীদের।’
আওয়ামী লীগের আরেক নেতা ও জনপ্রতিনিধির থেকে ডালের মিল কিনে বিপাকে পড়েছেন বিকাশ সাহা। প্রায় এক কোটি টাকায় কয়েক মাস আগে তিনি মিলটি কেনেন। নদীর তীরে খাসজমিতে নির্মাণ করায় তাঁর মিলটিও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বিকাশ সাহা বলেন, ‘আমি জেনেশুনেই মিলটি কিনেছিলাম। আমার কপাল খারাপ, তাই সরকার ভেঙে দিয়েছে।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবুল কালাম মোহাম্মদ মনসুরের কাছ থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকায় একটি দোকানের দখল কিনে নিয়েছিলেন চাল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম। এক যুগের বেশি সময় আগে খাসজমি দখল করে মনসুর সেখানে আধা পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেন। গত রোববার ওই ঘরও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দখলদারদের অধিকাংশই প্রভাবশালী। আমরা মনে করতাম, এই বাজারে কোনো দিন উচ্ছেদ অভিযান চলবে না। এই বিশ্বাস থেকেই দোকানটি কিনেছিলাম।’
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে নামাবাজার এলাকায় বংশী নদী ও এর তীর দখল হয়ে আসছিল। গুটিকয়েক প্রভাবশালী পরিবার এ দখল প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রথমে তাঁরা আবর্জনা ফেলে নদী ভরাট করেন। পরে সেখানে টিনের ছাপরা তুলে খাসজমির দখল নিয়েছেন। এরপর কোনো বাধা না এলে সেখানে পাকা ও আধা পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। পরে সুযোগ বুঝে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে তাঁর দখল বিক্রি করেছেন।
বেলায়েত হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী জানান, উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার পর তাঁরা প্রভাবশালী দখলদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু উচ্ছেদ বন্ধে তাঁদের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাননি।
জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, নামাবাজার এলাকায় অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন সাভারের ইউএনও মাজহারুল ইসলাম। তাঁকে সহায়তা করেছেন জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম।
জেলা প্রশাসক বলেন, ৬২ দখলদারের তালিকা নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান নামে প্রশাসন। পরে ইউএনও মাজহারুল ইসলাম সরেজমিনে নকশা দেখে সব দখলদারকে উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। সেই অনুযায়ী অভিযান চলছে।
সার্বিক বিষয়ে ব্যারিস্টার বাকির হোসেন মৃধা বলেন, ‘দখলদার উচ্ছেদে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সদিচ্ছা রয়েছে। তবে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ ছাড়া উচ্ছেদ অভিযান শুরু হতো না।’
ইউএনও মাজহারুল ইসলাম গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নামাবাজার এলাকায় বংশী নদী এবং এর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে