রঞ্জন কুমার দে, শেরপুর (বগুড়া)
বগুড়ার শেরপুর খাতা-কলমে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও কাঙ্ক্ষিত নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত পৌরবাসী। দীর্ঘদিনেও সংস্কার না করায় কার্পেটিং উঠে গেছে পৌরসভার সিংহভাগ সড়কের। পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় খানাখন্দে ভরা রাস্তাগুলোতে সামান্য বৃষ্টিতেই জমে যায় পানি। যেখানে-সেখানে দেখা মেলে ময়লার ভাগাড়। এ অবস্থায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন পৌরবাসী।
পৌরসভা অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৮৭৬ সালের ১ এপ্রিল প্রায় সাড়ে ১০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত হয় বগুড়ার শেরপুর পৌরসভা। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৬ সালে ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীতকরণ করা হয়। বর্তমানে এ শহরে নয়টি ওয়ার্ডে প্রায় ৬২ হাজার লোকের বাস।
এখানে ১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ১১টি বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র, একটি সরকারি হাসপাতাল, প্রায় ৪০টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ২৭ কিলোমিটার রাস্তা ও চারটি হাট-বাজার রয়েছে।
রিকশাচালক খোকন দাস বলেন, ‘করোনা-পরবর্তী সময়ে কর্মহীন হয়ে রিকশা চালানো শুরু করি; কিন্তু ভাঙা রাস্তার কারণে অনেক সমস্যা হয়। ঘন ঘন রিকশা নষ্ট হয়ে যায়।’
উপজেলা সদর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আরাফাত রহমান বলেন, ভাঙা রাস্তার কারণে শিশুদের স্কুলে যাওয়া-আসা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও অসুস্থ লোকজনের চলাচলে খুবই কষ্ট হয়।
টাউন কলোনি এলাকার বাসিন্দা জামানে ফেরদৌস বলেন, পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বৃষ্টি ও ড্রেনের পানি একাকার হয়ে যায়। রাস্তাগুলো কর্দমাক্ত হওয়ায় হেঁটে চলাচল করা যায় না। দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে চলাচল করে অনেকেই চর্মরোগে আক্রান্ত হন।
উত্তর সাহাপাড়ার বাসিন্দা উদাস সাহা বলেন, ‘ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছ। এমনকি দিনেও ঘরে কয়েল জ্বালাতে হয়। আমরা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই।’
পৌরসভায় কোথাও নেই কোনো ডাস্টবিন। ফলে রাস্তার মোড়ে মোড়ে উন্মুক্ত স্থানগুলো ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। একদিকে দুর্গন্ধ, অন্যদিকে রোগজীবাণুর কারণে শহরের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে পরিবেশ প্রতিরক্ষা সংস্থার সভাপতি সোহাগ রায় বলেন, পৌর শহরের কমপক্ষে ৩৪টি স্থানে ময়লা-আবর্জনা স্তূপ করে রাখা হয়। এ ছাড়া পাড়ার মোড়ে মোড়ে নাগরিকেরা ময়লা ফেলেন। এতে শহরের সৌন্দর্যহানির পাশাপাশি নাগরিকদের অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। পৌর কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।
পৌরসভার এই বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করেছেন পৌর মেয়র জানে আলম খোকা। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১৬ বছর ধরে পৌর অবকাঠামোর উন্নয়ন না হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ কমাতে নানা উন্নয়ন পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মিউনিসিপ্যাল গভর্ন্যান্স অ্যান্ড সার্ভিসেস প্রজেক্টের (এমজিএসপি) আওতায় আমরা অন্তর্ভুক্ত হয়েছি। প্রকল্পের বরাদ্দ পেলেই রাস্তাগুলো সংস্কার করা হবে।’
বগুড়ার শেরপুর খাতা-কলমে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও কাঙ্ক্ষিত নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত পৌরবাসী। দীর্ঘদিনেও সংস্কার না করায় কার্পেটিং উঠে গেছে পৌরসভার সিংহভাগ সড়কের। পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় খানাখন্দে ভরা রাস্তাগুলোতে সামান্য বৃষ্টিতেই জমে যায় পানি। যেখানে-সেখানে দেখা মেলে ময়লার ভাগাড়। এ অবস্থায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন পৌরবাসী।
পৌরসভা অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৮৭৬ সালের ১ এপ্রিল প্রায় সাড়ে ১০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত হয় বগুড়ার শেরপুর পৌরসভা। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৬ সালে ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীতকরণ করা হয়। বর্তমানে এ শহরে নয়টি ওয়ার্ডে প্রায় ৬২ হাজার লোকের বাস।
এখানে ১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ১১টি বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র, একটি সরকারি হাসপাতাল, প্রায় ৪০টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ২৭ কিলোমিটার রাস্তা ও চারটি হাট-বাজার রয়েছে।
রিকশাচালক খোকন দাস বলেন, ‘করোনা-পরবর্তী সময়ে কর্মহীন হয়ে রিকশা চালানো শুরু করি; কিন্তু ভাঙা রাস্তার কারণে অনেক সমস্যা হয়। ঘন ঘন রিকশা নষ্ট হয়ে যায়।’
উপজেলা সদর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আরাফাত রহমান বলেন, ভাঙা রাস্তার কারণে শিশুদের স্কুলে যাওয়া-আসা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও অসুস্থ লোকজনের চলাচলে খুবই কষ্ট হয়।
টাউন কলোনি এলাকার বাসিন্দা জামানে ফেরদৌস বলেন, পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বৃষ্টি ও ড্রেনের পানি একাকার হয়ে যায়। রাস্তাগুলো কর্দমাক্ত হওয়ায় হেঁটে চলাচল করা যায় না। দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে চলাচল করে অনেকেই চর্মরোগে আক্রান্ত হন।
উত্তর সাহাপাড়ার বাসিন্দা উদাস সাহা বলেন, ‘ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছ। এমনকি দিনেও ঘরে কয়েল জ্বালাতে হয়। আমরা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই।’
পৌরসভায় কোথাও নেই কোনো ডাস্টবিন। ফলে রাস্তার মোড়ে মোড়ে উন্মুক্ত স্থানগুলো ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। একদিকে দুর্গন্ধ, অন্যদিকে রোগজীবাণুর কারণে শহরের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে পরিবেশ প্রতিরক্ষা সংস্থার সভাপতি সোহাগ রায় বলেন, পৌর শহরের কমপক্ষে ৩৪টি স্থানে ময়লা-আবর্জনা স্তূপ করে রাখা হয়। এ ছাড়া পাড়ার মোড়ে মোড়ে নাগরিকেরা ময়লা ফেলেন। এতে শহরের সৌন্দর্যহানির পাশাপাশি নাগরিকদের অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। পৌর কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।
পৌরসভার এই বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করেছেন পৌর মেয়র জানে আলম খোকা। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১৬ বছর ধরে পৌর অবকাঠামোর উন্নয়ন না হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ কমাতে নানা উন্নয়ন পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মিউনিসিপ্যাল গভর্ন্যান্স অ্যান্ড সার্ভিসেস প্রজেক্টের (এমজিএসপি) আওতায় আমরা অন্তর্ভুক্ত হয়েছি। প্রকল্পের বরাদ্দ পেলেই রাস্তাগুলো সংস্কার করা হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩৯ মিনিট আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে