দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি
খুলনার দাকোপ সদরের চালনায় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে সদর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। ফলে স্থানীয়রা দ্রুত বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সরেজমিনে চালনা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড-সংলগ্ন গোড়কাটি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, একটি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে বালু ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বাচ্চু। সেখান থেকে ২০০ ফুট দক্ষিণে চালনা মেরিনের পাশে বালু উত্তোলন করছেন নুরনবী ঢালী। তাঁরা উভয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ওয়াপদা রাস্তার ওপরে পাইপ বসিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করেছেন।
ফলে চালনা, পোদ্দারগঞ্জ ও দাকোপ সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার যাত্রীদের রাস্তায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে এসব ব্যারিকেডের জন্য ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। এ ছাড়া অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে নদীভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। প্রতিনিয়ত ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে নতুন এলাকা। পরিবেশের ভারসাম্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে।
বালু উত্তোলনের বিষয়ে নুরনবী ঢালী বলেন, ‘আমরা বালু উত্তোলন করছি না। বালুমহাল থেকে বালু কিনে এনে এখানে রেখেছি। বালু কিনে আনার কাগজপত্র রয়েছে।’ এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, ‘আমি দাকোপের কোনো নদী থেকে বালু তুলছি না। আমি বটিয়াঘাটা থেকে বালু এনে এখানে বিক্রি করছি।’
ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় সরকারিভাবে কোনো বালুমহাল নেই। কিন্তু স্থানীয় একটি চক্র দীর্ঘদিন বিভিন্ন নদ-নদী ও খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করছে। তারা উপজেলার কাজীবাছা, পশুর, চুনকুড়ি, ঢাকী নদী এবং পাউবোর বেড়িবাঁধের ভেতরে বিভিন্ন খাল থেকে অবৈধভাবে শ্যালো বা ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি ও বালু উত্তোলন করছে।
চালনা পৌর এলাকার সিহাব আহমেদ বলেন, ‘দাকোপের বিভিন্ন স্থানে বালু ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করে আসছে। তাদের কেউ কিছু বলতে গেলে তারা বলে এটা আমার কাজ না, এটা ক্ষমতাসীন দলের জনৈক নেতার কাজ। ফলে আমরা সাধারণ মানুষ কিছু বলতে সাহস পাই না।’
সিহাব আহমেদ আরও বলেন, ‘চালনা সদরে এখন অন্তত দুটি জায়গায় বালু উত্তোলন চলছে। আর নতুন আরেকটি স্থানে বালু উত্তোলনের প্রস্তুতি চলছে। ফলে যানবাহনসহ মানুষের চলাচলের অসুবিধা হচ্ছে। আমি দ্রুত এসব বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ডিসি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
চালনা বাজারের ভ্যানচালক হাসেম শেখ বলেন, ‘চালনা থেকে পোদ্দারগঞ্জ যাওয়ার পথে রাস্তাটি এমনিতেই নদীতে চলে গেছে। রাস্তার বেশির ভাগই খানাখন্দ। তারপর আবার বালু তোলার জন্য রাস্তায় দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড। যার ফলে ভ্যান চালাতে অনেক অসুবিধা হচ্ছে। মাঝেমধ্যে ঘটছে দুর্ঘটনা। কিছু বলতে গেলে তারা ভয়ভীতি দেখায়।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিন্টু বিশ্বাস বলেন, ‘আমার কাছে খবর আসলে সঙ্গে সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিছুদিন আগে অভিযান পরিচালনা করে বেশ কয়েকজন বালু ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছি। দ্রুতই অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
খুলনার দাকোপ সদরের চালনায় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে সদর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। ফলে স্থানীয়রা দ্রুত বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সরেজমিনে চালনা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড-সংলগ্ন গোড়কাটি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, একটি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে বালু ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বাচ্চু। সেখান থেকে ২০০ ফুট দক্ষিণে চালনা মেরিনের পাশে বালু উত্তোলন করছেন নুরনবী ঢালী। তাঁরা উভয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ওয়াপদা রাস্তার ওপরে পাইপ বসিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করেছেন।
ফলে চালনা, পোদ্দারগঞ্জ ও দাকোপ সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার যাত্রীদের রাস্তায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে এসব ব্যারিকেডের জন্য ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। এ ছাড়া অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে নদীভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। প্রতিনিয়ত ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে নতুন এলাকা। পরিবেশের ভারসাম্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে।
বালু উত্তোলনের বিষয়ে নুরনবী ঢালী বলেন, ‘আমরা বালু উত্তোলন করছি না। বালুমহাল থেকে বালু কিনে এনে এখানে রেখেছি। বালু কিনে আনার কাগজপত্র রয়েছে।’ এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, ‘আমি দাকোপের কোনো নদী থেকে বালু তুলছি না। আমি বটিয়াঘাটা থেকে বালু এনে এখানে বিক্রি করছি।’
ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় সরকারিভাবে কোনো বালুমহাল নেই। কিন্তু স্থানীয় একটি চক্র দীর্ঘদিন বিভিন্ন নদ-নদী ও খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করছে। তারা উপজেলার কাজীবাছা, পশুর, চুনকুড়ি, ঢাকী নদী এবং পাউবোর বেড়িবাঁধের ভেতরে বিভিন্ন খাল থেকে অবৈধভাবে শ্যালো বা ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি ও বালু উত্তোলন করছে।
চালনা পৌর এলাকার সিহাব আহমেদ বলেন, ‘দাকোপের বিভিন্ন স্থানে বালু ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করে আসছে। তাদের কেউ কিছু বলতে গেলে তারা বলে এটা আমার কাজ না, এটা ক্ষমতাসীন দলের জনৈক নেতার কাজ। ফলে আমরা সাধারণ মানুষ কিছু বলতে সাহস পাই না।’
সিহাব আহমেদ আরও বলেন, ‘চালনা সদরে এখন অন্তত দুটি জায়গায় বালু উত্তোলন চলছে। আর নতুন আরেকটি স্থানে বালু উত্তোলনের প্রস্তুতি চলছে। ফলে যানবাহনসহ মানুষের চলাচলের অসুবিধা হচ্ছে। আমি দ্রুত এসব বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ডিসি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
চালনা বাজারের ভ্যানচালক হাসেম শেখ বলেন, ‘চালনা থেকে পোদ্দারগঞ্জ যাওয়ার পথে রাস্তাটি এমনিতেই নদীতে চলে গেছে। রাস্তার বেশির ভাগই খানাখন্দ। তারপর আবার বালু তোলার জন্য রাস্তায় দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড। যার ফলে ভ্যান চালাতে অনেক অসুবিধা হচ্ছে। মাঝেমধ্যে ঘটছে দুর্ঘটনা। কিছু বলতে গেলে তারা ভয়ভীতি দেখায়।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিন্টু বিশ্বাস বলেন, ‘আমার কাছে খবর আসলে সঙ্গে সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিছুদিন আগে অভিযান পরিচালনা করে বেশ কয়েকজন বালু ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছি। দ্রুতই অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে