Ajker Patrika

রাজবাড়ী হাসপাতাল: ৪ বার মেয়াদ বাড়িয়েও নির্মাণকাজ শেষ হয়নি

মো. শামীম রেজা, রাজবাড়ী
Thumbnail image

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল ১০০ থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ২০২০ সালে শুরু হয় নতুন ভবন নির্মাণের কাজ। ২০২১ সালের জুনে এই কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু চার দফা মেয়াদ বাড়িয়েও শেষ হয়নি। এদিকে নতুন ভবন না হওয়ায় পুরোনো ভবনে দ্বিগুণের বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে লোকবলসংকটও। ফলে নানা কারণে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হয় রোগীদের। 

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, নির্মাণাধীন আটতলা ভবনটির অবকাঠামো নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ভেতরে-বাইরে দরজা, জানালার অনেক কাজ বাকি এখনো। বাকি রয়েছে বৈদ্যুতিকসহ লিফট স্থাপনের কাজও।

পুরোনো ভবনে গিয়ে দেখা যায়, বহির্বিভাগে শত শত রোগী চিকিৎসার জন্য সারিবদ্ধ দাঁড়িয়ে আছে। রোগীর ভিড়ে পা ফেলানোর জায়গা নেই। কেউ ওষুধ নিচ্ছে, কেউ চিকিৎসককে দেখাবে বলে দাঁড়িয়ে আছে। অন্তর্বিভাগে রোগীতে পরিপূর্ণ। জায়গা না থাকায় হাসপাতালের বারান্দায় কেউ কেউ বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছে।

বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা নেওয়া শহীদ মোল্লা নামের একজন রোগী বলেন, ‘ঘাড়ে অসহ্য ব্যথা নিয়ে সকালে ভর্তি হয়েছি। শয্যা পাইনি। তাই বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছি। কিন্তু মানুষের চলাচল এবং দুর্গন্ধের কারণে অনেক সমস্যা হচ্ছে।’

হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, হাসপাতালে শয্যা মাত্র ১০০। অথচ প্রতিদিন রোগী আসে দুই শতাধিক। যে কারণে বাধ্য হয়ে হাসপাতালের বারান্দায় শয্যা পেতে ওয়ার্ড বানাতে হয়েছে। বারান্দায় ওয়ার্ড করায় সবার চলাফেরা করতে অনেক সমস্যা হয়। 

রাজবাড়ী গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন আটতলা ভবন নির্মাণের কাজ করছে জিকেবিপিএল ও এসসিএল নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। ২০২১ সালের জুন মাসে নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করার কথা থাকলেও পরপর তিনবার মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ সময় বাড়িয়ে চলতি বছরের জুন মাসে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু এবারেও ভবন নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়নি। যে কারণে আগস্ট মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে কাজের মেয়াদ।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, ‘১০০ শয্যার হাসপাতালে রোগীদের প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হতে হয়। অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগে তাদের অনেক কষ্ট করতে হয়। জায়গার অভাবে তাদের গরমের মধ্যে বারান্দায় থাকতে হচ্ছে। আড়াই শ শয্যা হাসপাতাল ভবনের কাজ শেষ হলে রোগীদের ভোগান্তি কমে যাবে। আমরাও লোকবল বেশি পাব।’ 

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী সাজন সাহা বলেন, ‘কাজ প্রায় শেষের দিকে। এখন রং, বিদ্যুৎ, টাইলসসহ আনুষঙ্গিক কাজ চলছে। কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোনো গাফিলতি নেই। আশা করছি, এবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারব।’

রাজবাড়ী গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, আড়াই শ শয্যার হাসপাতালের ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ভেতরে কিছু কাজ বাকি আছে। রাস্তা ও নালা নির্মাণের কাজ চলছে। করোনার কারণে কিছুদিন কাজ বন্ধ ছিল। এ ছাড়া প্রথমে ছয়তলা ভবন করার কথা থাকলেও পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আটতলা ভবন করার চাহিদা দেয়। এ কারণে নকশা পরিবর্তন করতে হয়েছে। সময়মতো নির্মাণসামগ্রী না পাওয়াও দেরি হওয়ার একটি কারণ ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারী সহকর্মীর সঙ্গে রাতযাপন: হাইটেক পার্কের ডিডি আতিক বরখাস্ত

বাংলাদেশসহ ৩ দেশে উন্নয়ন সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত সুইজারল্যান্ডের

বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের পদত্যাগ

পদ্মা সেতু ও ড. ইউনূসকে নিয়ে ভারত থেকে শেখ হাসিনার ভাষণ! ভাইরাল ভিডিওর পেছনের ঘটনা জানুন

২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন কর্মসূচি শুরু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত