সৌগত বসু, ঢাকা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী নির্বাচিত সংসদ সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশ, অর্থাৎ ৬৬ শতাংশই ব্যবসায়ী। নির্বাচিত ২৯৮ জন প্রার্থীর মধ্যে কমপক্ষে ১৯৭ জন এই পেশার। রাজনীতিবিদ রয়েছেন ২৭ জন, যা নির্বাচিতদের ৯ শতাংশ। আইনজীবী নির্বাচিত হয়েছেন ২৪ জন বা ৮ শতাংশ। এ ছাড়া কৃষি খাতে আয় করেন এমন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ১৪ জন, চিকিৎসক ১২ জন, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ৬ জন এবং শিক্ষক আছেন ৫ জন। নির্বাচিত এসব প্রার্থীর হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) তথ্য বলছে, একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যদের মধ্যে ৬১ শতাংশ ছিলেন ব্যবসায়ী, ১৩ শতাংশ আইনজীবী, ২১ শতাংশ অন্যান্য পেশার এবং ৫ শতাংশ রাজনীতিক ছিলেন। আর প্রথম জাতীয় সংসদে মাত্র ১৮ শতাংশ ছিলেন ব্যবসায়ী।
সংসদে ব্যবসায়ীদের এমন উল্লেখযোগ্য হারে সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা বা প্রজ্ঞার ওপর নির্ভর করে ব্যবসায়ীদের রাজনীতিতে আসা নির্ধারিত হয় না। নির্ধারিত হয় তাঁদের ব্যবসায়িক শক্তির বলে।
হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১৯৭ জন ব্যবসায়ীর মধ্যে সালমান এফ রহমান, এ কে আজাদ, গোলাম দস্তগীর গাজী, কাজী নাবিল আহমেদ, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সাঈদ খোকন, ওয়াকিল উদ্দিন, আবদুস সালাম মূর্শেদী, শাহরিয়ার আলম, তাজুল ইসলাম, সেলিম ওসমান, টিপু মুনশি, সাধন চন্দ্র মজুমদার উল্লেখযোগ্য।
নতুন সংসদে পেশায় রাজনীতিবিদ আছেন রাশেদ খান মেনন, জি এম কাদের, মতিয়া চৌধুরী, আ স ম ফিরোজ, তোফায়েল আহমেদ, উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস সহিদ, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ময়েজ উদ্দিন শরীফ প্রমুখ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের হলফনামায় নিজেকে বেসরকারি চাকরিজীবী উল্লেখ করেছেন।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এখন ব্যবসা আর রাজনীতি একাকার হয়ে গেছে। যেটা ব্যবসা, সেটাই রাজনীতি। তাঁরা (সংসদ সদস্য) জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁদের অবস্থানকে ব্যবসায়িক সুবিধা অর্জনের ক্ষেত্র হিসেবে দেখেন। এতে করে সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার কোনো প্রতিফলন হয় না। এতে করে যাঁরা মূলধারার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের ব্যবসায়িক প্রতিপত্তি না থাকায় দিন দিন কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন।
এদিকে দ্বাদশ সংসদে পেশায় চিকিৎসক নির্বাচিত হয়েছেন শিশুবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ, নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত, অর্থোপেডিক অধ্যাপক আ ফ ম রুহুল হক, ডা. হামিদুল হক খন্দকার প্রমুখ। ক্রিকেটার হিসেবে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন সাকিব আল হাসান। জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা হলফনামায় নিজের পেশা উল্লেখ করেছেন রাজনীতিবিদ।
এবার পেশায় আইনজীবী আছেন আনিসুল হক, শ ম রেজাউল করিম, বীরেন শিকদার, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রমুখ। হলফনামায় সমাজসেবক হিসেবে পেশা উল্লেখ করেছেন প্রয়াত মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্ত। আব্দুল লতিফ পেশা উল্লেখ করেছেন গবেষক ও লেখক। অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন আবুল কালাম আজাদ, সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, ড. মোহাম্মদ সাদিক প্রমুখ। পেশায় সম্মানী ভাতা লিখেছেন আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার।
এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের এভাবে সংসদে উঠে আসা রাজনীতির জন্য ভালো নয়। এতে একধরনের গোষ্ঠীস্বার্থ উদ্ধার হচ্ছে। তারা যে আইন প্রণয়ন করবে সেটিও একটি গোষ্ঠীকে কেন্দ্র করেই করবে। সেখানে একটি গোষ্ঠী সুবিধা পাবে। তাঁদের কারণে তৃণমূল থেকে উঠে আসা রাজনীতিকেরা বিলুপ্ত হচ্ছে। এটি দেশের জনগণের জন্য ক্ষতিকর বিষয়।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী নির্বাচিত সংসদ সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশ, অর্থাৎ ৬৬ শতাংশই ব্যবসায়ী। নির্বাচিত ২৯৮ জন প্রার্থীর মধ্যে কমপক্ষে ১৯৭ জন এই পেশার। রাজনীতিবিদ রয়েছেন ২৭ জন, যা নির্বাচিতদের ৯ শতাংশ। আইনজীবী নির্বাচিত হয়েছেন ২৪ জন বা ৮ শতাংশ। এ ছাড়া কৃষি খাতে আয় করেন এমন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ১৪ জন, চিকিৎসক ১২ জন, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ৬ জন এবং শিক্ষক আছেন ৫ জন। নির্বাচিত এসব প্রার্থীর হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) তথ্য বলছে, একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যদের মধ্যে ৬১ শতাংশ ছিলেন ব্যবসায়ী, ১৩ শতাংশ আইনজীবী, ২১ শতাংশ অন্যান্য পেশার এবং ৫ শতাংশ রাজনীতিক ছিলেন। আর প্রথম জাতীয় সংসদে মাত্র ১৮ শতাংশ ছিলেন ব্যবসায়ী।
সংসদে ব্যবসায়ীদের এমন উল্লেখযোগ্য হারে সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা বা প্রজ্ঞার ওপর নির্ভর করে ব্যবসায়ীদের রাজনীতিতে আসা নির্ধারিত হয় না। নির্ধারিত হয় তাঁদের ব্যবসায়িক শক্তির বলে।
হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১৯৭ জন ব্যবসায়ীর মধ্যে সালমান এফ রহমান, এ কে আজাদ, গোলাম দস্তগীর গাজী, কাজী নাবিল আহমেদ, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সাঈদ খোকন, ওয়াকিল উদ্দিন, আবদুস সালাম মূর্শেদী, শাহরিয়ার আলম, তাজুল ইসলাম, সেলিম ওসমান, টিপু মুনশি, সাধন চন্দ্র মজুমদার উল্লেখযোগ্য।
নতুন সংসদে পেশায় রাজনীতিবিদ আছেন রাশেদ খান মেনন, জি এম কাদের, মতিয়া চৌধুরী, আ স ম ফিরোজ, তোফায়েল আহমেদ, উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস সহিদ, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ময়েজ উদ্দিন শরীফ প্রমুখ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের হলফনামায় নিজেকে বেসরকারি চাকরিজীবী উল্লেখ করেছেন।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এখন ব্যবসা আর রাজনীতি একাকার হয়ে গেছে। যেটা ব্যবসা, সেটাই রাজনীতি। তাঁরা (সংসদ সদস্য) জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁদের অবস্থানকে ব্যবসায়িক সুবিধা অর্জনের ক্ষেত্র হিসেবে দেখেন। এতে করে সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার কোনো প্রতিফলন হয় না। এতে করে যাঁরা মূলধারার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের ব্যবসায়িক প্রতিপত্তি না থাকায় দিন দিন কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন।
এদিকে দ্বাদশ সংসদে পেশায় চিকিৎসক নির্বাচিত হয়েছেন শিশুবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ, নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত, অর্থোপেডিক অধ্যাপক আ ফ ম রুহুল হক, ডা. হামিদুল হক খন্দকার প্রমুখ। ক্রিকেটার হিসেবে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন সাকিব আল হাসান। জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা হলফনামায় নিজের পেশা উল্লেখ করেছেন রাজনীতিবিদ।
এবার পেশায় আইনজীবী আছেন আনিসুল হক, শ ম রেজাউল করিম, বীরেন শিকদার, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রমুখ। হলফনামায় সমাজসেবক হিসেবে পেশা উল্লেখ করেছেন প্রয়াত মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্ত। আব্দুল লতিফ পেশা উল্লেখ করেছেন গবেষক ও লেখক। অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন আবুল কালাম আজাদ, সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, ড. মোহাম্মদ সাদিক প্রমুখ। পেশায় সম্মানী ভাতা লিখেছেন আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার।
এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের এভাবে সংসদে উঠে আসা রাজনীতির জন্য ভালো নয়। এতে একধরনের গোষ্ঠীস্বার্থ উদ্ধার হচ্ছে। তারা যে আইন প্রণয়ন করবে সেটিও একটি গোষ্ঠীকে কেন্দ্র করেই করবে। সেখানে একটি গোষ্ঠী সুবিধা পাবে। তাঁদের কারণে তৃণমূল থেকে উঠে আসা রাজনীতিকেরা বিলুপ্ত হচ্ছে। এটি দেশের জনগণের জন্য ক্ষতিকর বিষয়।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে