মতিয়ার রহমান মিঞা, মধুখালী (ফরিদপুর)
ফরিদপুরের মধুখালীতে কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী মো. জসীম দুই বন্ধু সাজ্জাদ ও মামুনকে নিয়ে শখের বশে করেছিলেন বল সুন্দরী ও কাশ্মীরি কুলের বাগান। প্রায় ৫০ শতাংশ জমিতে রোপণ করেছিলেন ৩৫০টি কুলের চারা। বল সুন্দরী ও কাশ্মীরি আপেল কুলের এ বাগান দেখতে প্রায় নিয়মিত লোকজন ভিড় করছেন। এ কুলের বাগানটি উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের গড়াই নদীর ধারে ফুলবাড়ী মাঠে অবস্থিত।
মো. জসীম কলেজের শিক্ষার্থী। একই এলাকার রাকিবের বাগান দেখে কুল চাষে উদ্বুদ্ধ হন জসীম ও তাঁর বন্ধুরা। জসীম বলেন, অনেক আগে থেকেই কৃষির প্রতি তাঁর বেশ আগ্রহ ছিল। রাকিবের বাগান দেখে কুল চাষে আগ্রহী হন। বিষয়টি মা–বাবাকে জানালে তাঁরা উৎসাহের পাশাপাশি অর্থ ও জমির ব্যবস্থা করেন।
পরে গোপালগঞ্জ থেকে কাশ্মীরি আপেল কুল, বল সুন্দরী আপেল কুলের ৩৫০টি চারা সংগ্রহ করেন। এরপর কামারখালী গড়াই নদীর ধারে ফুলবাড়ী মাঠে নিজেদের ৫০ শতাংশ জমিতে ৬ ফুট দূরত্ব রেখে ৩৫০টি চারা রোপণ করেন।
এখন পর্যন্ত এই বাগানে তাঁর ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। মাত্র সাত মাস পরই গাছগুলোতে কুল আসে। এখন প্রতিটি গাছ কুলের ভারে নুয়ে পড়েছে। প্রথমে শখ থাকলেও এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ করার ইচ্ছে তাঁর। বাগান দেখে জসীম নিজেই অভিভূত। আশপাশের এলাকার লোকজন আগ্রহ নিয়ে যান বাগান দেখতে।
বাগানে কোনো রোগবালাই দেখা দিলে কামারখালী ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আজিজুল হকের পরামর্শ নিয়ে ও সঠিক পরিচর্যা করেন। এক মাস পরপর গাছে ওষুধ ছিটাতে হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রথম দিকে তাঁর বাগান থেকে ১১০ টাকা কেজি ও পরে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রয় করছেন। এ পর্যন্ত ১০ হাজার টাকার কুল বিক্রি হয়েছে। এক সপ্তাহ পরে পুরোদমে বাগানের কুল বিক্রির উপযোগী হবে। এ বাগান থেকে প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন বলে আশা করেন তিনি।
শিক্ষিত বেকার তরুণ-যুবকদের উদ্দেশ্যে জসীম বলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি ছোট ছোট উদ্যোগ নিয়ে স্বাবলম্বী হওয়া যায়। প্রয়োজনে তরুণ-যুবকদের এ কাজে তিনি সহযোগিতা করবেন।
তিনি বলেন, কুল চাষে শ্রম ও পুঁজি কম লাগে, লাভ হয় বেশি। প্রতিটি কুল গাছ তিন বছর ভালো ফল দেয়। এই কুল সুস্বাদু হওয়ায় মিনি আপেল নামে পরিচিত পেয়েছে, যার বাজারদর বেশি থাকায় বেশি লাভ করা যায়। এই কুল চাষে প্রতি বিঘায় ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে তিন বছরে তিন থেকে চার লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। তিনি অনেক দূর থেকে চারা সংগ্রহ করায় খরচ একটু বেশি হয়েছে।
কামারখালী ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক বলেন, কলেজপড়ুয়া ছেলের কৃষির প্রতি ঝোঁক দেখে তিনি খুশি। শিক্ষিত বেকার যুবকেরা এ ধরনের উদ্যোগ নিয়ে স্বাবলম্বী হতে পারেন। শখের কাশ্মীরিসহ উন্নত জাতের আপেল কুলের চাষ করলেও জসীমের বাগানে এখন বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষ হচ্ছে। তাঁর এই কুল চাষ দেখে অনেক যুবক কৃষিতে আগ্রহী হচ্ছেন। তা ছাড়া তিনি ওই কুল বাগান পরিদর্শন ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন। প্রয়োজনে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সার্বিক সহযোগিতার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। কৃষি অফিসের মাধ্যমে শিক্ষিত বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ঋণের সহায়তা করলে অনেক যুবকই জসীমের মতো ফলের চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।
ফরিদপুরের মধুখালীতে কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী মো. জসীম দুই বন্ধু সাজ্জাদ ও মামুনকে নিয়ে শখের বশে করেছিলেন বল সুন্দরী ও কাশ্মীরি কুলের বাগান। প্রায় ৫০ শতাংশ জমিতে রোপণ করেছিলেন ৩৫০টি কুলের চারা। বল সুন্দরী ও কাশ্মীরি আপেল কুলের এ বাগান দেখতে প্রায় নিয়মিত লোকজন ভিড় করছেন। এ কুলের বাগানটি উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের গড়াই নদীর ধারে ফুলবাড়ী মাঠে অবস্থিত।
মো. জসীম কলেজের শিক্ষার্থী। একই এলাকার রাকিবের বাগান দেখে কুল চাষে উদ্বুদ্ধ হন জসীম ও তাঁর বন্ধুরা। জসীম বলেন, অনেক আগে থেকেই কৃষির প্রতি তাঁর বেশ আগ্রহ ছিল। রাকিবের বাগান দেখে কুল চাষে আগ্রহী হন। বিষয়টি মা–বাবাকে জানালে তাঁরা উৎসাহের পাশাপাশি অর্থ ও জমির ব্যবস্থা করেন।
পরে গোপালগঞ্জ থেকে কাশ্মীরি আপেল কুল, বল সুন্দরী আপেল কুলের ৩৫০টি চারা সংগ্রহ করেন। এরপর কামারখালী গড়াই নদীর ধারে ফুলবাড়ী মাঠে নিজেদের ৫০ শতাংশ জমিতে ৬ ফুট দূরত্ব রেখে ৩৫০টি চারা রোপণ করেন।
এখন পর্যন্ত এই বাগানে তাঁর ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। মাত্র সাত মাস পরই গাছগুলোতে কুল আসে। এখন প্রতিটি গাছ কুলের ভারে নুয়ে পড়েছে। প্রথমে শখ থাকলেও এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ করার ইচ্ছে তাঁর। বাগান দেখে জসীম নিজেই অভিভূত। আশপাশের এলাকার লোকজন আগ্রহ নিয়ে যান বাগান দেখতে।
বাগানে কোনো রোগবালাই দেখা দিলে কামারখালী ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আজিজুল হকের পরামর্শ নিয়ে ও সঠিক পরিচর্যা করেন। এক মাস পরপর গাছে ওষুধ ছিটাতে হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রথম দিকে তাঁর বাগান থেকে ১১০ টাকা কেজি ও পরে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রয় করছেন। এ পর্যন্ত ১০ হাজার টাকার কুল বিক্রি হয়েছে। এক সপ্তাহ পরে পুরোদমে বাগানের কুল বিক্রির উপযোগী হবে। এ বাগান থেকে প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন বলে আশা করেন তিনি।
শিক্ষিত বেকার তরুণ-যুবকদের উদ্দেশ্যে জসীম বলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি ছোট ছোট উদ্যোগ নিয়ে স্বাবলম্বী হওয়া যায়। প্রয়োজনে তরুণ-যুবকদের এ কাজে তিনি সহযোগিতা করবেন।
তিনি বলেন, কুল চাষে শ্রম ও পুঁজি কম লাগে, লাভ হয় বেশি। প্রতিটি কুল গাছ তিন বছর ভালো ফল দেয়। এই কুল সুস্বাদু হওয়ায় মিনি আপেল নামে পরিচিত পেয়েছে, যার বাজারদর বেশি থাকায় বেশি লাভ করা যায়। এই কুল চাষে প্রতি বিঘায় ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে তিন বছরে তিন থেকে চার লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। তিনি অনেক দূর থেকে চারা সংগ্রহ করায় খরচ একটু বেশি হয়েছে।
কামারখালী ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক বলেন, কলেজপড়ুয়া ছেলের কৃষির প্রতি ঝোঁক দেখে তিনি খুশি। শিক্ষিত বেকার যুবকেরা এ ধরনের উদ্যোগ নিয়ে স্বাবলম্বী হতে পারেন। শখের কাশ্মীরিসহ উন্নত জাতের আপেল কুলের চাষ করলেও জসীমের বাগানে এখন বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষ হচ্ছে। তাঁর এই কুল চাষ দেখে অনেক যুবক কৃষিতে আগ্রহী হচ্ছেন। তা ছাড়া তিনি ওই কুল বাগান পরিদর্শন ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন। প্রয়োজনে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সার্বিক সহযোগিতার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। কৃষি অফিসের মাধ্যমে শিক্ষিত বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ঋণের সহায়তা করলে অনেক যুবকই জসীমের মতো ফলের চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৫ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪