নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ময়মনসিংহ জুট মিলের দাম ১৯৯৩ সালে হিসাব করা হয়েছিল ৮৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। ১৯৯৮ সালে ওই সম্পত্তি পাটকলটির শ্রমিক-কর্মচারী সমবায় সমিতির কাছে বিক্রি করা হয়েছিল ১১ কোটি ২ লাখ টাকায়। তবে মূল্য নিরূপণের ২১ বছর পরও একই টাকায় ওই সম্পত্তি বিক্রি করা হয় একটি প্রতিষ্ঠানকে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন চলে আইনি লড়াই। অবশেষে ওই সম্পত্তির মালিকানা সরকারের বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সম্পত্তি নিয়ে তিনটি রুল একসঙ্গে শুনানি করে গত ২৯ আগস্ট রায় দেন বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ। রায়ে আব্বাস অ্যাসোসিয়েটস ও শামীম এন্টারপ্রাইজ প্রোপার্টিজ লিমিটেডের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি বাতিল ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই সম্পত্তির মালিকানা সরকারকে ন্যস্ত করা হয়। রায়ে ওই মিলের দখলে থাকা শামীম এন্টারপ্রাইজকে ছয় মাসের মধ্যে দখল হস্তান্তর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে ওই জুট মিলের মূল্য দেখানো হয়েছিল প্রায় ১০০ কোটি টাকা। সে সময় মিলটি চালু রাখার স্বার্থে সরকার মাত্র ১১ কোটি টাকায় ময়মনসিংহ জুট মিলস শ্রমিক-কর্মচারী কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতিকে দেয়। ১০ বছরেও কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় সরকার ২০১৪ সালে মিলটি অধিগ্রহণ করে ১১ কোটি টাকার চুক্তিতে শামীম এন্টারপ্রাইজকে দেয়। শুনানি শেষে হাইকোর্ট উভয়ের দাবি বাতিল করে ওই সম্পত্তি সরকারের বলে রায় দেন। ওই সম্পত্তির বর্তমান মূল্য ৫০০ কোটি টাকার বেশি।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জে অবস্থিত সরকারি মালিকানাধীন ময়মনসিংহ জুট মিল বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায় ১৯৭৪ সালের ৯ মে। তবে পাট খাত সংস্কার কর্মসূচির আওতায় এটি লে অফ ঘোষণা করা হয় ১৯৯৩ সালের ১৩ মার্চ এবং ২৭ এপ্রিল চূড়ান্তভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। মিলের জমির পরিমাণ ছিল ৬৩ দশমিক ১৮১ একর। মিলটির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৯ হাজার ৫০০ টন। শ্রমিক-কর্মচারী ছিলেন ২ হাজার ৩০৬ জন। মিলটি বন্ধ ঘোষণার সময় পাট মন্ত্রণালয়ের সিএ ফার্মের মূল্যায়ন অনুযায়ী মোট সম্পদের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৮৩ কোটি ৮৭ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। ওই সময় এর দায় ছিল ৭০ কোটি ৪৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। সরকার বিক্রির উদ্যোগ নিলে নিলামে ১৯৯৬ সালের ৭ আগস্ট ১১ কোটি ২ লাখ টাকা দর ওঠে। তবে মিলটি বিক্রি হয়নি। পরে পাটকলটির শ্রমিক-কর্মচারী কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতির কাছে ১১ কোটি ২ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। শর্ত ছিল, ১ কোটি ৪৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা নগদ এবং অবশিষ্ট অর্থ ১০ বছরে ১০টি সমান কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। ওই সমিতি চুক্তি অনুযায়ী কিস্তি পরিশোধ করতে না পেরে মেসার্স আব্বাস অ্যাসোসিয়েটসের স্বত্বাধিকারী আব্বাস উল্লাহর কাছে ৮০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে। আব্বাস উল্লাহ ওই ৮০ শতাংশের মূল্য পরিশোধের আবেদন করেন। তবে ২০০৬ সালের ২০ জুন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় তাঁকে চিঠিতে জানায়, সরকারের পাওনা যৌথ ক্রেতাদের পৃথকভাবে পরিশোধের সুযোগ নেই।
এদিকে ২০০৬ সালে আব্বাস উল্লাহ ৮০ শতাংশ শেয়ার বুঝিয়ে দিতে রিট করলে রুল দেন হাইকোর্ট। রুল নিষ্পত্তি করে ২০০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি রায়ে হাইকোর্ট আব্বাস উল্লাহকে ৮০ ভাগ সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দেন। পরে আব্বাস উল্লাহর বিরুদ্ধে নথি জালিয়াতির অভিযোগ এনে সমবায় সমিতি ওই রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করে। রিভিউ আবেদন শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২০ মে রায়ে হাইকোর্ট আগের রায় বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে ২০১২ সালে আপিল করেন আব্বাস। ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি আপিল বিভাগ হাইকোর্টকে পুনরায় শুনানি করে ছয় মাসের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় চুক্তি অনুযায়ী টাকা পরিশোধ না করায় সরকার ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট মিলটি অধিগ্রহণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। একই দিনে আরেকটি প্রজ্ঞাপনে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মিলটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা এবং সরকারি পাওনা আদায়ের স্বার্থে শামীম এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের অনুমতি দেয়। সেই সঙ্গে আব্বাস অ্যাসোসিয়েটসের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি বাতিল করার অনুমতি দেয়। তবে অধিগ্রহণ এবং শামীম এন্টারপ্রাইজকে সম্পত্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আব্বাস সম্পূরক আবেদন করলে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আব্বাসের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা তিনটি রুল সম্প্রতি একসঙ্গে শুনানি করে রায় দেন আদালত।
ময়মনসিংহ জুট মিলের দাম ১৯৯৩ সালে হিসাব করা হয়েছিল ৮৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। ১৯৯৮ সালে ওই সম্পত্তি পাটকলটির শ্রমিক-কর্মচারী সমবায় সমিতির কাছে বিক্রি করা হয়েছিল ১১ কোটি ২ লাখ টাকায়। তবে মূল্য নিরূপণের ২১ বছর পরও একই টাকায় ওই সম্পত্তি বিক্রি করা হয় একটি প্রতিষ্ঠানকে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন চলে আইনি লড়াই। অবশেষে ওই সম্পত্তির মালিকানা সরকারের বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সম্পত্তি নিয়ে তিনটি রুল একসঙ্গে শুনানি করে গত ২৯ আগস্ট রায় দেন বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ। রায়ে আব্বাস অ্যাসোসিয়েটস ও শামীম এন্টারপ্রাইজ প্রোপার্টিজ লিমিটেডের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি বাতিল ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই সম্পত্তির মালিকানা সরকারকে ন্যস্ত করা হয়। রায়ে ওই মিলের দখলে থাকা শামীম এন্টারপ্রাইজকে ছয় মাসের মধ্যে দখল হস্তান্তর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে ওই জুট মিলের মূল্য দেখানো হয়েছিল প্রায় ১০০ কোটি টাকা। সে সময় মিলটি চালু রাখার স্বার্থে সরকার মাত্র ১১ কোটি টাকায় ময়মনসিংহ জুট মিলস শ্রমিক-কর্মচারী কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতিকে দেয়। ১০ বছরেও কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় সরকার ২০১৪ সালে মিলটি অধিগ্রহণ করে ১১ কোটি টাকার চুক্তিতে শামীম এন্টারপ্রাইজকে দেয়। শুনানি শেষে হাইকোর্ট উভয়ের দাবি বাতিল করে ওই সম্পত্তি সরকারের বলে রায় দেন। ওই সম্পত্তির বর্তমান মূল্য ৫০০ কোটি টাকার বেশি।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জে অবস্থিত সরকারি মালিকানাধীন ময়মনসিংহ জুট মিল বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায় ১৯৭৪ সালের ৯ মে। তবে পাট খাত সংস্কার কর্মসূচির আওতায় এটি লে অফ ঘোষণা করা হয় ১৯৯৩ সালের ১৩ মার্চ এবং ২৭ এপ্রিল চূড়ান্তভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। মিলের জমির পরিমাণ ছিল ৬৩ দশমিক ১৮১ একর। মিলটির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৯ হাজার ৫০০ টন। শ্রমিক-কর্মচারী ছিলেন ২ হাজার ৩০৬ জন। মিলটি বন্ধ ঘোষণার সময় পাট মন্ত্রণালয়ের সিএ ফার্মের মূল্যায়ন অনুযায়ী মোট সম্পদের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৮৩ কোটি ৮৭ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। ওই সময় এর দায় ছিল ৭০ কোটি ৪৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। সরকার বিক্রির উদ্যোগ নিলে নিলামে ১৯৯৬ সালের ৭ আগস্ট ১১ কোটি ২ লাখ টাকা দর ওঠে। তবে মিলটি বিক্রি হয়নি। পরে পাটকলটির শ্রমিক-কর্মচারী কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতির কাছে ১১ কোটি ২ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। শর্ত ছিল, ১ কোটি ৪৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা নগদ এবং অবশিষ্ট অর্থ ১০ বছরে ১০টি সমান কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। ওই সমিতি চুক্তি অনুযায়ী কিস্তি পরিশোধ করতে না পেরে মেসার্স আব্বাস অ্যাসোসিয়েটসের স্বত্বাধিকারী আব্বাস উল্লাহর কাছে ৮০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে। আব্বাস উল্লাহ ওই ৮০ শতাংশের মূল্য পরিশোধের আবেদন করেন। তবে ২০০৬ সালের ২০ জুন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় তাঁকে চিঠিতে জানায়, সরকারের পাওনা যৌথ ক্রেতাদের পৃথকভাবে পরিশোধের সুযোগ নেই।
এদিকে ২০০৬ সালে আব্বাস উল্লাহ ৮০ শতাংশ শেয়ার বুঝিয়ে দিতে রিট করলে রুল দেন হাইকোর্ট। রুল নিষ্পত্তি করে ২০০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি রায়ে হাইকোর্ট আব্বাস উল্লাহকে ৮০ ভাগ সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দেন। পরে আব্বাস উল্লাহর বিরুদ্ধে নথি জালিয়াতির অভিযোগ এনে সমবায় সমিতি ওই রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করে। রিভিউ আবেদন শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২০ মে রায়ে হাইকোর্ট আগের রায় বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে ২০১২ সালে আপিল করেন আব্বাস। ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি আপিল বিভাগ হাইকোর্টকে পুনরায় শুনানি করে ছয় মাসের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় চুক্তি অনুযায়ী টাকা পরিশোধ না করায় সরকার ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট মিলটি অধিগ্রহণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। একই দিনে আরেকটি প্রজ্ঞাপনে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মিলটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা এবং সরকারি পাওনা আদায়ের স্বার্থে শামীম এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের অনুমতি দেয়। সেই সঙ্গে আব্বাস অ্যাসোসিয়েটসের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি বাতিল করার অনুমতি দেয়। তবে অধিগ্রহণ এবং শামীম এন্টারপ্রাইজকে সম্পত্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আব্বাস সম্পূরক আবেদন করলে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আব্বাসের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা তিনটি রুল সম্প্রতি একসঙ্গে শুনানি করে রায় দেন আদালত।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৫ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪