বেলাল হোসাইন, রামগড় (খাগড়াছড়ি)
নানা ধরনের ফলমূল ও মৌসুমি সবজির জন্য খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার পরিচিতি দেশজুড়ে। কিন্তু রামগড়ে হিমাগার না থাকায় প্রতি বছর নষ্ট হচ্ছে লাখ লাখ টাকার মৌসুমি ফল ও সবজি। এ উপজেলার প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় কৃষকেরা অতিকষ্টে বিভিন্ন তরিতরকারি ও ফলমূল উৎপাদন করছেন। কিন্তু মজুত করে রাখার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে কম মূল্যে এসব কৃষি পণ্য বিক্রি করতে হয়। এতে কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
কৃষকদের দাবি, রামগড় উপজেলায় একটি হিমাগার স্থাপন করা হলে তাঁরা তাঁদের উৎপাদিত মৌসুমি সবজি ও ফল সেখানে রাখতে পারবেন। এতে তাঁরা এসব পণ্যের ন্যায্য মূল্য যেমন পাবেন তেমনি বিপুল পরিমাণ সবজি ও ফল নষ্ট হওয়ার হাত থেকেও রক্ষা পাবেন।
রামগড় উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর প্রায় ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ২৩ থেকে ২৫ হাজার মেট্রিক টন মৌসুমি ফল উৎপন্ন হয়। তা ছাড়া সবজি উৎপন্ন হয় এর থেকে অনেক বেশি। উপজেলায় কৃষকদের উৎপাদিত তরি-তরকারি ও ফল-মূলের মধ্যে রয়েছে, আলু, মিষ্টি আলু, আদা, কাঁচা মরিচ, হলুদ, টমেটো, শসা বেগুন, কুমড়া। ফলমূলের মধ্যে কলা, আনারস, পেঁপে, কাঁঠাল ও আমসহ অনেক ফল। এসব কাঁচামাল সাধারণত পচনশীল হওয়ায় সংরক্ষণ করার প্রয়োজন পড়ে।
রামগড় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী আহমেদ বলেন, এ বছর সবজির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। বেশির ভাগ কৃষক মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই ফসল উৎপাদনে মাঠে নেমেছিলেন। যার কারণে ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। তা ছাড়া এই এলাকায় যে পরিমাণ মৌসুমি ফল উৎপাদন হয় এতে জেম, জেলি, জুস ও বিভিন্ন প্রকার আচারের কারখানা করা যায় অনায়াসে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, এলাকায় এখনো এই ধরনের কারখানা গড়ে ওঠেনি। কাঁঠাল, আনারস, লিচু, আমসহ বিভিন্ন ফল প্রক্রিয়াজাত করে সারা বছরই সংরক্ষণ সম্ভব। এমনকি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা যায় সংরক্ষিত ফলের রস।
রামগড় পৌরসভার মহামুনি এলাকার কৃষক বাহার উদ্দীন বলেন, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন বেশি হয়েছে অনেক। কিন্তু ফসলের ন্যায্য মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না। তার মতে সবাই বাজারে একসঙ্গে ফসল বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। এতে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় ফসল দ্রুত বিক্রি করতে হয়। ফসল সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা বা হিমাগার না থাকায় সস্তায় বিক্রি করতে হয়। এতে কৃষিপণ্যের দাম দিন দিন নিম্নমুখী হচ্ছে।
স্থানীয় আরও কয়েকজন ফল ব্যবসায়ী বলেন, রামগড়ে হিমাগার না থাকায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফল নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে বাধ্য হয়ে কম দামে পাইকারি বিক্রি করে দিতে হয়। এতে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তাঁরা। তাঁরা আরও বলেন, রামগড়ের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী উপজেলা গুইমারা, মাটিরাঙ্গা ও মানিকছড়ির যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো থাকায় হিমাগার স্থাপন হলে সেখানকার ব্যবসায়ীরাও উৎপাদিত ফলমূল হিমাগারে সংরক্ষণ করতে পারবেন।
রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল বলেন, মৌসুমি ফল ও সবজির জন্য রামগড়ের সুখ্যাতি রয়েছে। কিন্তু হিমাগার না থাকায় কৃষক তাঁদের ন্যায্য মূল্য পায় না। সরকারিভাবে হিমাগার স্থাপনের জন্য তিনি চেষ্টা করবেন। তা ছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগে কেউ হিমাগার স্থাপন করতে চাইলে তিনি সর্বাত্মক সহায়তা করবেন বলে জানান।
রামগড় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব ত্রিপুরা বলেন, হিমাগারের অভাবে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে না। দিনের শুরুতে কৃষিপণ্যের দাম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম পড়ে যায়। বর্তমান সরকার কৃষকদের স্বার্থে কাজ করছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরও বলেন, হিমাগার না থাকার বিষয়টি খাগড়াছড়ি আসনের সাংসদ কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরাকে জানাবেন। এবং হিমাগার স্থাপনে তিনি সর্বাত্মক সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস দেন।
নানা ধরনের ফলমূল ও মৌসুমি সবজির জন্য খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার পরিচিতি দেশজুড়ে। কিন্তু রামগড়ে হিমাগার না থাকায় প্রতি বছর নষ্ট হচ্ছে লাখ লাখ টাকার মৌসুমি ফল ও সবজি। এ উপজেলার প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় কৃষকেরা অতিকষ্টে বিভিন্ন তরিতরকারি ও ফলমূল উৎপাদন করছেন। কিন্তু মজুত করে রাখার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে কম মূল্যে এসব কৃষি পণ্য বিক্রি করতে হয়। এতে কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
কৃষকদের দাবি, রামগড় উপজেলায় একটি হিমাগার স্থাপন করা হলে তাঁরা তাঁদের উৎপাদিত মৌসুমি সবজি ও ফল সেখানে রাখতে পারবেন। এতে তাঁরা এসব পণ্যের ন্যায্য মূল্য যেমন পাবেন তেমনি বিপুল পরিমাণ সবজি ও ফল নষ্ট হওয়ার হাত থেকেও রক্ষা পাবেন।
রামগড় উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর প্রায় ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ২৩ থেকে ২৫ হাজার মেট্রিক টন মৌসুমি ফল উৎপন্ন হয়। তা ছাড়া সবজি উৎপন্ন হয় এর থেকে অনেক বেশি। উপজেলায় কৃষকদের উৎপাদিত তরি-তরকারি ও ফল-মূলের মধ্যে রয়েছে, আলু, মিষ্টি আলু, আদা, কাঁচা মরিচ, হলুদ, টমেটো, শসা বেগুন, কুমড়া। ফলমূলের মধ্যে কলা, আনারস, পেঁপে, কাঁঠাল ও আমসহ অনেক ফল। এসব কাঁচামাল সাধারণত পচনশীল হওয়ায় সংরক্ষণ করার প্রয়োজন পড়ে।
রামগড় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী আহমেদ বলেন, এ বছর সবজির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। বেশির ভাগ কৃষক মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই ফসল উৎপাদনে মাঠে নেমেছিলেন। যার কারণে ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। তা ছাড়া এই এলাকায় যে পরিমাণ মৌসুমি ফল উৎপাদন হয় এতে জেম, জেলি, জুস ও বিভিন্ন প্রকার আচারের কারখানা করা যায় অনায়াসে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, এলাকায় এখনো এই ধরনের কারখানা গড়ে ওঠেনি। কাঁঠাল, আনারস, লিচু, আমসহ বিভিন্ন ফল প্রক্রিয়াজাত করে সারা বছরই সংরক্ষণ সম্ভব। এমনকি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা যায় সংরক্ষিত ফলের রস।
রামগড় পৌরসভার মহামুনি এলাকার কৃষক বাহার উদ্দীন বলেন, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন বেশি হয়েছে অনেক। কিন্তু ফসলের ন্যায্য মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না। তার মতে সবাই বাজারে একসঙ্গে ফসল বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। এতে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় ফসল দ্রুত বিক্রি করতে হয়। ফসল সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা বা হিমাগার না থাকায় সস্তায় বিক্রি করতে হয়। এতে কৃষিপণ্যের দাম দিন দিন নিম্নমুখী হচ্ছে।
স্থানীয় আরও কয়েকজন ফল ব্যবসায়ী বলেন, রামগড়ে হিমাগার না থাকায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফল নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে বাধ্য হয়ে কম দামে পাইকারি বিক্রি করে দিতে হয়। এতে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তাঁরা। তাঁরা আরও বলেন, রামগড়ের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী উপজেলা গুইমারা, মাটিরাঙ্গা ও মানিকছড়ির যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো থাকায় হিমাগার স্থাপন হলে সেখানকার ব্যবসায়ীরাও উৎপাদিত ফলমূল হিমাগারে সংরক্ষণ করতে পারবেন।
রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল বলেন, মৌসুমি ফল ও সবজির জন্য রামগড়ের সুখ্যাতি রয়েছে। কিন্তু হিমাগার না থাকায় কৃষক তাঁদের ন্যায্য মূল্য পায় না। সরকারিভাবে হিমাগার স্থাপনের জন্য তিনি চেষ্টা করবেন। তা ছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগে কেউ হিমাগার স্থাপন করতে চাইলে তিনি সর্বাত্মক সহায়তা করবেন বলে জানান।
রামগড় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব ত্রিপুরা বলেন, হিমাগারের অভাবে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে না। দিনের শুরুতে কৃষিপণ্যের দাম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম পড়ে যায়। বর্তমান সরকার কৃষকদের স্বার্থে কাজ করছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরও বলেন, হিমাগার না থাকার বিষয়টি খাগড়াছড়ি আসনের সাংসদ কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরাকে জানাবেন। এবং হিমাগার স্থাপনে তিনি সর্বাত্মক সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস দেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে