শাইখ সিরাজ
বেশ কয়েক বছর ধরেই মোবাইল ফোন ব্যবহারে নতুন এক বিড়ম্বনা শুরু হয়েছে। ফোন ধরে বিভিন্ন কোম্পানির বিপণনের লোকদের কথা শুনতে হয়। সময়-অসময়ে কল। প্রতিদিন বহু টেক্সট মেসেজ তো আছেই। হঠাৎ হঠাৎ কল।
ব্যাংক থেকে শুরু করে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ইনস্যুরেন্স, হাউজিং বা রিয়েল এস্টেট, প্লট, ফ্ল্যাট, ফিক্সড ডিপোজিট, ক্রেডিট কার্ড, এই কার্ড, সেই কার্ড, হাজারো রকমের সুবিধার প্রলোভনের কল। হয়তো জরুরি কোনো কাজে আছি, বেজে উঠল ফোন। ভদ্রোচিতভাবে সালাম দিয়ে ইনিয়ে-বিনিয়ে নানা কথা বলে একপর্যায়ে এসে বাণিজ্যিক আলাপটি শুরু করল।
এতে যে কাজটি করছিলাম, তাতে আর মনোযোগ রাখা যায় না। হঠাৎই বিরক্তির উদ্রেক করে। তাদের কথাগুলোর জবাব দেওয়াও কঠিন।এমনকি কথা চালিয়ে যাওয়াও মুশকিল। ফোন কেটে দেওয়ার মতো অভ্যাসও নেই। সব মিলিয়ে এ এক নতুন ধরনের বেকায়দা।
মাঝে মাঝেই বিষয়গুলো নিয়ে আমার সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সকাল থেকে নানা কাজে থাকতে হয়। আজকের যুগে সকালে ফোন খোলার পর নিজের প্রয়োজনেই অসংখ্য কল করতে হয়। আবার প্রয়োজনীয় মানুষের ফোন ধরে কথা বলার বিষয় তো আছেই। কিন্তু এর মধ্যেই যদি এসব বিরক্তিকর ‘কল’ সামলাতে হয়, তাহলে মানুষের মাথা ঠিক থাকবে কীভাবে? আমি জানি না, আমাদের মতো যাঁরা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে আছেন বা সারা দিন মানুষ নিয়ে কারবার করেন, তাঁরা কীভাবে এগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করেন? প্রশ্ন জাগে, তাঁরা এই আকস্মিক ‘কল’ ও অজস্র টেক্সট মেসেজ পান কি না।
খোঁজখবর করে জানলাম, ফোন কোম্পানি থেকে ‘প্লাটিনাম’, ‘স্টার’ বা ‘আইকন’ গ্রাহকদের নাম ও নম্বরের তালিকা নিয়ে কোম্পানিগুলো যথেচ্ছ ব্যবহার করে। আবার যাদের ফোনে বেশি ‘কল’ আসে-যায়, এমন নম্বরকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে পৃথকভাবে বাছাই করার ব্যবস্থাও রয়েছে। সেই নম্বরগুলো বিশেষ নম্বর হিসেবে সরবরাহ করা হয় কল সেন্টার বা বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে। এগুলো তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের একটি অংশ। এর জন্য তারা টাকা নিয়ে ‘চটকদার’ কথা বলার মতো ছেলেমেয়ে রেখেছে। তাঁদের একটি নির্দিষ্ট সময় ও কর্মসূচি ঠিক করে দেওয়া আছে, সেই অনুযায়ী তাঁরা দায়িত্ব পালন করেন। মানুষকে বিরক্ত করাই একটি করপোরেট দায়িত্ব (?)—কী এক আজব সময়ে আছি আমরা!
আমি প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫টি অবাঞ্ছিত কল এবং ২০ থেকে ২৫টি টেক্সট মেসেজ পাই। জানি ফোন সেটে নম্বর ব্লক করার একটি সুযোগ রয়েছে। কিন্তু দেখি একেকবার একেকটি নম্বর থেকে কল আসে। চিন্তা করি, আমার ফোন নম্বর আমি কাকে কাকে দিয়েছি। খুব বেশি মানুষের কাছে তো আমার নম্বর নেই। তারপর ভাবি গুরুত্বপূর্ণ কেউ হবেন হয়তো। কিন্তু ফোন ধরেই সেই বিড়ম্বনা।
আমি বরাবরই একটি ফোন ব্যবহার করি। একাধিক ফোন ব্যবহারের উদ্যোগও নিয়েছি। কিন্তু একটি ফোনই সামাল দিয়ে উঠতে পারি না। এখন থেকে বছর ১০-১২ আগে আমি একবার ফোন নম্বরই পাল্টে ফেলেছিলাম নানা রকম অবাঞ্ছিত ফোনকলের অত্যাচারে। এখন আর ফোন নম্বর বদলানোর সুযোগ নেই। জানলাম, ফোন নম্বর বদলিয়েও রেহাই পাওয়ার সুযোগ নেই। ফোন কোম্পানিগুলোই এ ধরনের বাণিজ্যিক কারবারিদের সহায়ক।
আমার মতো আরও বহু মানুষের নম্বর এভাবে বিপণনভিত্তিক ‘কল সেন্টার’গুলোয় তারা কীভাবে বা কোন শর্তে সরবরাহ করে, তা আমি জানি না, তবে নিশ্চয়ই এখানে কোনো বাণিজ্যিক লেনদেন রয়েছে। কিন্তু আমার দৃষ্টিতে আমার ফোন নম্বরটি গড়পড়তা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার এ কাজটি মোটেও শোভন নয়, এমনকি একধরনের অপরাধ।
যাঁরা এ ধরনের কল করেন, এমন অনেক তরুণ-তরুণীর সঙ্গে আমি কথা বলেছি। জিজ্ঞাসা করেছি, আপনি জেনেবুঝে আমাকে ফোন করেছেন কি না। তাঁরা বলেন, ‘জি স্যার, আপনার নাম-পরিচয় জেনেই ফোন করেছি।’ তখন আর বলার কিছুই থাকে না। আমার ব্যস্ততার মধ্যে এ ধরনের একটি ‘কল’ অবাঞ্ছিত হিসেবে জানালে তাঁরা বলেন, ‘স্যার, এটি আমাদের জব, কিছু করার নেই। আমাদের কোম্পানি থেকে একটি টার্গেট দেওয়া আছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই টার্গেট আমাকে পূরণ করতেই হবে। অনেকেই বিব্রত ও বিরক্ত হন। এটিও আমরা জানি।’ অদ্ভুত এক বিষয়। এ যেন একধরনের জুলুম!
চলমান আধুনিক সময়ে যখন পণ্য বিপণনে ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমে মানুষের সুযোগ-সুবিধার কথা চিন্তা করা হয়, কোনোভাবেই কাউকে হয়রানি না করার কথা বলা হয়, তখন জোর করে ফোনে বাক্যবিনিময়ের এ কারবারটি কোন ধরনের শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে, প্রশ্ন জাগে।
কে জানে, আমরা হয়তো একটা সন্ধিক্ষণে আছি। হয়তো পরবর্তী সময়ে এ অবস্থার পরিবর্তন আসবে। কিন্তু আমাদের মোবাইল ফোন কালচারের দুই দশক পূর্তির পরও আমরা কেন এর ব্যবহারের আদবকেতা আয়ত্তে আনতে পারছি না, সেটাই বিস্ময়ের ব্যাপার।
বিষয়টি নিয়ে দু-একটি ফোন ও ইন্টারনেট প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলেছি। জেনেছি, বর্তমান সময়ে ফোন কোম্পানিগুলোর বিপণন ও প্রচার বিষয়ে এসএমএসের একটি বাণিজ্য রয়েছে। তারা যেকোনো প্রতিষ্ঠান ও পণ্যের প্রচারের জন্য তাদের গুরুত্বপূর্ণ গ্রাহকের নম্বরগুলোয় খুদে বার্তা পাঠানোর দায়িত্বটি নিয়ে নেয়। এ জন্য রীতিমতো একটি ব্যবসাও প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। বিনা অনুমতিতে একজনের মোবাইলে যথেষ্ট এসএমএস পাঠানোর প্রশ্নে তারা সম্পূর্ণ স্বাধীন ও বেপরোয়া।
অন্যদিকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় দায়িত্বশীলদের নম্বর, যাঁরা ফোন ব্যবহার বেশি করেন, তাঁদের নম্বরসহ বাণিজ্যের প্রশ্নে কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকের নম্বরগুলো সংগ্রহ ও সরবরাহ করার জন্যও একটি ব্যবসায়ী শ্রেণি রয়েছে, তারা বাণিজ্যিক ভিত্তিতেই কাজগুলো করছে।
আমি মনে করি, এ ব্যাপারে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি অথরিটি বিটিআরসির অনেক করণীয় আছে। তারা এ বিষয়টি আমলে নিয়ে বেআইনি তৎপরতাগুলো বন্ধের জন্য পদক্ষেপ নিতে পারে। বোধ করি, বিষয়টি খোদ টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীও উপলব্ধি করে থাকতে পারেন। কারও বাড়িতে অনধিকার প্রবেশের মতোই কারও নম্বরে অনধিকার প্রবেশের ব্যাপারে অবশ্যই নিয়মনীতি রয়েছে।বিষয়টির আরও গভীরে গিয়ে তলিয়ে দেখে এ ব্যাপারে একটি কার্যকর ও গ্রহণযোগ্য উদ্যোগ নেওয়া হবে—সেই প্রত্যাশা করছি।
লেখক: পরিচালক ও বার্তাপ্রধান, চ্যানেল আই
বেশ কয়েক বছর ধরেই মোবাইল ফোন ব্যবহারে নতুন এক বিড়ম্বনা শুরু হয়েছে। ফোন ধরে বিভিন্ন কোম্পানির বিপণনের লোকদের কথা শুনতে হয়। সময়-অসময়ে কল। প্রতিদিন বহু টেক্সট মেসেজ তো আছেই। হঠাৎ হঠাৎ কল।
ব্যাংক থেকে শুরু করে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ইনস্যুরেন্স, হাউজিং বা রিয়েল এস্টেট, প্লট, ফ্ল্যাট, ফিক্সড ডিপোজিট, ক্রেডিট কার্ড, এই কার্ড, সেই কার্ড, হাজারো রকমের সুবিধার প্রলোভনের কল। হয়তো জরুরি কোনো কাজে আছি, বেজে উঠল ফোন। ভদ্রোচিতভাবে সালাম দিয়ে ইনিয়ে-বিনিয়ে নানা কথা বলে একপর্যায়ে এসে বাণিজ্যিক আলাপটি শুরু করল।
এতে যে কাজটি করছিলাম, তাতে আর মনোযোগ রাখা যায় না। হঠাৎই বিরক্তির উদ্রেক করে। তাদের কথাগুলোর জবাব দেওয়াও কঠিন।এমনকি কথা চালিয়ে যাওয়াও মুশকিল। ফোন কেটে দেওয়ার মতো অভ্যাসও নেই। সব মিলিয়ে এ এক নতুন ধরনের বেকায়দা।
মাঝে মাঝেই বিষয়গুলো নিয়ে আমার সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সকাল থেকে নানা কাজে থাকতে হয়। আজকের যুগে সকালে ফোন খোলার পর নিজের প্রয়োজনেই অসংখ্য কল করতে হয়। আবার প্রয়োজনীয় মানুষের ফোন ধরে কথা বলার বিষয় তো আছেই। কিন্তু এর মধ্যেই যদি এসব বিরক্তিকর ‘কল’ সামলাতে হয়, তাহলে মানুষের মাথা ঠিক থাকবে কীভাবে? আমি জানি না, আমাদের মতো যাঁরা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে আছেন বা সারা দিন মানুষ নিয়ে কারবার করেন, তাঁরা কীভাবে এগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করেন? প্রশ্ন জাগে, তাঁরা এই আকস্মিক ‘কল’ ও অজস্র টেক্সট মেসেজ পান কি না।
খোঁজখবর করে জানলাম, ফোন কোম্পানি থেকে ‘প্লাটিনাম’, ‘স্টার’ বা ‘আইকন’ গ্রাহকদের নাম ও নম্বরের তালিকা নিয়ে কোম্পানিগুলো যথেচ্ছ ব্যবহার করে। আবার যাদের ফোনে বেশি ‘কল’ আসে-যায়, এমন নম্বরকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে পৃথকভাবে বাছাই করার ব্যবস্থাও রয়েছে। সেই নম্বরগুলো বিশেষ নম্বর হিসেবে সরবরাহ করা হয় কল সেন্টার বা বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে। এগুলো তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের একটি অংশ। এর জন্য তারা টাকা নিয়ে ‘চটকদার’ কথা বলার মতো ছেলেমেয়ে রেখেছে। তাঁদের একটি নির্দিষ্ট সময় ও কর্মসূচি ঠিক করে দেওয়া আছে, সেই অনুযায়ী তাঁরা দায়িত্ব পালন করেন। মানুষকে বিরক্ত করাই একটি করপোরেট দায়িত্ব (?)—কী এক আজব সময়ে আছি আমরা!
আমি প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫টি অবাঞ্ছিত কল এবং ২০ থেকে ২৫টি টেক্সট মেসেজ পাই। জানি ফোন সেটে নম্বর ব্লক করার একটি সুযোগ রয়েছে। কিন্তু দেখি একেকবার একেকটি নম্বর থেকে কল আসে। চিন্তা করি, আমার ফোন নম্বর আমি কাকে কাকে দিয়েছি। খুব বেশি মানুষের কাছে তো আমার নম্বর নেই। তারপর ভাবি গুরুত্বপূর্ণ কেউ হবেন হয়তো। কিন্তু ফোন ধরেই সেই বিড়ম্বনা।
আমি বরাবরই একটি ফোন ব্যবহার করি। একাধিক ফোন ব্যবহারের উদ্যোগও নিয়েছি। কিন্তু একটি ফোনই সামাল দিয়ে উঠতে পারি না। এখন থেকে বছর ১০-১২ আগে আমি একবার ফোন নম্বরই পাল্টে ফেলেছিলাম নানা রকম অবাঞ্ছিত ফোনকলের অত্যাচারে। এখন আর ফোন নম্বর বদলানোর সুযোগ নেই। জানলাম, ফোন নম্বর বদলিয়েও রেহাই পাওয়ার সুযোগ নেই। ফোন কোম্পানিগুলোই এ ধরনের বাণিজ্যিক কারবারিদের সহায়ক।
আমার মতো আরও বহু মানুষের নম্বর এভাবে বিপণনভিত্তিক ‘কল সেন্টার’গুলোয় তারা কীভাবে বা কোন শর্তে সরবরাহ করে, তা আমি জানি না, তবে নিশ্চয়ই এখানে কোনো বাণিজ্যিক লেনদেন রয়েছে। কিন্তু আমার দৃষ্টিতে আমার ফোন নম্বরটি গড়পড়তা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার এ কাজটি মোটেও শোভন নয়, এমনকি একধরনের অপরাধ।
যাঁরা এ ধরনের কল করেন, এমন অনেক তরুণ-তরুণীর সঙ্গে আমি কথা বলেছি। জিজ্ঞাসা করেছি, আপনি জেনেবুঝে আমাকে ফোন করেছেন কি না। তাঁরা বলেন, ‘জি স্যার, আপনার নাম-পরিচয় জেনেই ফোন করেছি।’ তখন আর বলার কিছুই থাকে না। আমার ব্যস্ততার মধ্যে এ ধরনের একটি ‘কল’ অবাঞ্ছিত হিসেবে জানালে তাঁরা বলেন, ‘স্যার, এটি আমাদের জব, কিছু করার নেই। আমাদের কোম্পানি থেকে একটি টার্গেট দেওয়া আছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই টার্গেট আমাকে পূরণ করতেই হবে। অনেকেই বিব্রত ও বিরক্ত হন। এটিও আমরা জানি।’ অদ্ভুত এক বিষয়। এ যেন একধরনের জুলুম!
চলমান আধুনিক সময়ে যখন পণ্য বিপণনে ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমে মানুষের সুযোগ-সুবিধার কথা চিন্তা করা হয়, কোনোভাবেই কাউকে হয়রানি না করার কথা বলা হয়, তখন জোর করে ফোনে বাক্যবিনিময়ের এ কারবারটি কোন ধরনের শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে, প্রশ্ন জাগে।
কে জানে, আমরা হয়তো একটা সন্ধিক্ষণে আছি। হয়তো পরবর্তী সময়ে এ অবস্থার পরিবর্তন আসবে। কিন্তু আমাদের মোবাইল ফোন কালচারের দুই দশক পূর্তির পরও আমরা কেন এর ব্যবহারের আদবকেতা আয়ত্তে আনতে পারছি না, সেটাই বিস্ময়ের ব্যাপার।
বিষয়টি নিয়ে দু-একটি ফোন ও ইন্টারনেট প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলেছি। জেনেছি, বর্তমান সময়ে ফোন কোম্পানিগুলোর বিপণন ও প্রচার বিষয়ে এসএমএসের একটি বাণিজ্য রয়েছে। তারা যেকোনো প্রতিষ্ঠান ও পণ্যের প্রচারের জন্য তাদের গুরুত্বপূর্ণ গ্রাহকের নম্বরগুলোয় খুদে বার্তা পাঠানোর দায়িত্বটি নিয়ে নেয়। এ জন্য রীতিমতো একটি ব্যবসাও প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। বিনা অনুমতিতে একজনের মোবাইলে যথেষ্ট এসএমএস পাঠানোর প্রশ্নে তারা সম্পূর্ণ স্বাধীন ও বেপরোয়া।
অন্যদিকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় দায়িত্বশীলদের নম্বর, যাঁরা ফোন ব্যবহার বেশি করেন, তাঁদের নম্বরসহ বাণিজ্যের প্রশ্নে কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকের নম্বরগুলো সংগ্রহ ও সরবরাহ করার জন্যও একটি ব্যবসায়ী শ্রেণি রয়েছে, তারা বাণিজ্যিক ভিত্তিতেই কাজগুলো করছে।
আমি মনে করি, এ ব্যাপারে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি অথরিটি বিটিআরসির অনেক করণীয় আছে। তারা এ বিষয়টি আমলে নিয়ে বেআইনি তৎপরতাগুলো বন্ধের জন্য পদক্ষেপ নিতে পারে। বোধ করি, বিষয়টি খোদ টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীও উপলব্ধি করে থাকতে পারেন। কারও বাড়িতে অনধিকার প্রবেশের মতোই কারও নম্বরে অনধিকার প্রবেশের ব্যাপারে অবশ্যই নিয়মনীতি রয়েছে।বিষয়টির আরও গভীরে গিয়ে তলিয়ে দেখে এ ব্যাপারে একটি কার্যকর ও গ্রহণযোগ্য উদ্যোগ নেওয়া হবে—সেই প্রত্যাশা করছি।
লেখক: পরিচালক ও বার্তাপ্রধান, চ্যানেল আই
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে