কামরুল হাসান জনি, মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় আনারসের আবাদ বেড়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। ক্রেতা ও পাইকারের কাছে পাহাড়ের আনারসের কদর রয়েছে। এতে দিন দিন চাষের পরিধিও বাড়ছে। তবে কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন চাষিরা।
একসময় মাটিরাঙ্গায় তেমন আনারসের চাষ হতো না। বর্তমানে পাহাড়ের আনারসের চাহিদার থাকায় কৃষকদের চাষে আগ্রহ বেড়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে উপজেলার পাহাড়ি এলাকার প্রায় ৯০ হেক্টর জমিতে আনারসের চাষ হচ্ছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ২০ মেট্রিক টন পর্যন্ত ফল উৎপাদন হচ্ছে। এতে মোট ১ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন আনারস উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। অন্তত ৪০ জন চাষি ও উদ্যোক্তা এর সঙ্গে জড়িত আছেন।
উপজেলার সদর ইউনিয়ন, রসুলপুর, তাইন্দং ও গোমতী এলাকায় পাহাড়ি পতিত জমিতে ক্যালেন্ডার ও জলঢুপিসহ বিভিন্ন জাতের আনারসের আবাদ হচ্ছে। স্থানীয় বাজারে প্রতিটি ২০ থেকে ৩০ টাকা হলেও শহুরে এলাকায় ৭০ থেকে ৮০ টাকা করে আনারস বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতিটি ১২ থেকে ১৫ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করেন চাষিরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার রসুলপুর পাহাড়ি টিলায় চাষ হয়েছে আনারস। ফলনও হয়েছে আশানুরূপ। নিকটবর্তী এলাকার বাসিন্দা ও উদ্যোক্তারা এ আনারস চাষ করেছেন। ভালো ফলনের পরও দাম নিয়ে শঙ্কা করছেন তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েক বছর আগেও পাহাড়ে প্রচুর জমি পতিত পড়ে থাকত। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যরা জুম চাষ করতেন। দিন দিন পাহাড়ে লোকসংখ্যা বাড়ছে। কর্মসংস্থানের প্রয়োজনে পাহাড়ি ও বাঙালিরা পতিত জমিতে পুরোদমে আনারসের চাষ করছেন।
উদ্যোক্তা শাহজালাল কাজল বলেন, ‘বাজারে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ থাকায় আমরা প্রকৃত দাম পাই না। তাই আনারস বাজারে ওঠানোর আগে প্রশাসনিকভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার অনুরোধ করছি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা খায়রুল আলম বলেন, ‘মৌসুমি ফল আনারস পুষ্টির বেশ বড় একটি উৎস। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। এসব উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। দেহে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এই ফল।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তন্ময় দত্ত বলেন, ‘বর্তমানে পাহাড়ের আনারসের কদর বেড়েছে। তাই দামও বেড়েছে। দাম পাওয়ার ক্ষেত্রে কৃষক সংগঠন জরুরি। পাশাপাশি সংরক্ষণাগার নির্মাণ করা প্রয়োজন। কৃষকেরা দলবদ্ধ হয়ে সরাসরি যদি ঢাকার বাজারে যোগাযোগ করেন, তাহলে ভালো দাম পাবেন।’
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় আনারসের আবাদ বেড়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। ক্রেতা ও পাইকারের কাছে পাহাড়ের আনারসের কদর রয়েছে। এতে দিন দিন চাষের পরিধিও বাড়ছে। তবে কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন চাষিরা।
একসময় মাটিরাঙ্গায় তেমন আনারসের চাষ হতো না। বর্তমানে পাহাড়ের আনারসের চাহিদার থাকায় কৃষকদের চাষে আগ্রহ বেড়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে উপজেলার পাহাড়ি এলাকার প্রায় ৯০ হেক্টর জমিতে আনারসের চাষ হচ্ছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ২০ মেট্রিক টন পর্যন্ত ফল উৎপাদন হচ্ছে। এতে মোট ১ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন আনারস উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। অন্তত ৪০ জন চাষি ও উদ্যোক্তা এর সঙ্গে জড়িত আছেন।
উপজেলার সদর ইউনিয়ন, রসুলপুর, তাইন্দং ও গোমতী এলাকায় পাহাড়ি পতিত জমিতে ক্যালেন্ডার ও জলঢুপিসহ বিভিন্ন জাতের আনারসের আবাদ হচ্ছে। স্থানীয় বাজারে প্রতিটি ২০ থেকে ৩০ টাকা হলেও শহুরে এলাকায় ৭০ থেকে ৮০ টাকা করে আনারস বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতিটি ১২ থেকে ১৫ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করেন চাষিরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার রসুলপুর পাহাড়ি টিলায় চাষ হয়েছে আনারস। ফলনও হয়েছে আশানুরূপ। নিকটবর্তী এলাকার বাসিন্দা ও উদ্যোক্তারা এ আনারস চাষ করেছেন। ভালো ফলনের পরও দাম নিয়ে শঙ্কা করছেন তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েক বছর আগেও পাহাড়ে প্রচুর জমি পতিত পড়ে থাকত। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যরা জুম চাষ করতেন। দিন দিন পাহাড়ে লোকসংখ্যা বাড়ছে। কর্মসংস্থানের প্রয়োজনে পাহাড়ি ও বাঙালিরা পতিত জমিতে পুরোদমে আনারসের চাষ করছেন।
উদ্যোক্তা শাহজালাল কাজল বলেন, ‘বাজারে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ থাকায় আমরা প্রকৃত দাম পাই না। তাই আনারস বাজারে ওঠানোর আগে প্রশাসনিকভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার অনুরোধ করছি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা খায়রুল আলম বলেন, ‘মৌসুমি ফল আনারস পুষ্টির বেশ বড় একটি উৎস। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। এসব উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। দেহে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এই ফল।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তন্ময় দত্ত বলেন, ‘বর্তমানে পাহাড়ের আনারসের কদর বেড়েছে। তাই দামও বেড়েছে। দাম পাওয়ার ক্ষেত্রে কৃষক সংগঠন জরুরি। পাশাপাশি সংরক্ষণাগার নির্মাণ করা প্রয়োজন। কৃষকেরা দলবদ্ধ হয়ে সরাসরি যদি ঢাকার বাজারে যোগাযোগ করেন, তাহলে ভালো দাম পাবেন।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে