সম্পাদকীয়
একটা ঘটনা ঘটেছে গত শুক্রবার রাতে। রংপুরের পীরগাছায়। সদর ইউনিয়নের তালুকইসাদ দাঁড়ারপাড় গ্রামে এক পুলিশ কর্মকর্তা ফজল হকের বাড়িতে বসেছিল বিয়ের আসর। বিয়ে ছিল তাঁর মেয়ের। বিয়েবাড়িতে আনন্দ হবে, হইহল্লা হবে—এটাই তো স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু হয়েছে উল্টোটা!
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ইচ্ছার বিরুদ্ধে মেয়েকে বিয়ে দিচ্ছিলেন ফজল হক। বিয়ের কনে ব্যাপারটার সুরাহা করতে পারেননি বলেই হয়তো নিজের বাবার গলায় ছুরি বসিয়ে দেন। এই সম্পাদকীয় লেখা পর্যন্ত ফজল হক গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। কনেকে আটক করা হয়েছে। তিনিসহ জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরিবারের অন্য সদস্যদের। ঘটনা এতটুকুই।
এখন হয়তো তদন্ত অনুযায়ী বিচার হবে, বিধান মোতাবেক শাস্তি হবে। অথচ এসবের ভিড়ে চাপা পড়ে যাবে মনস্তত্ত্বের বিষয়টি!
আমরা নাটক-সিনেমায় দেখি ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দিতে গেলে কত উদ্ভট কাণ্ডই না করে বসে নায়ক-নায়িকা। বাস্তবেও যে এমন সব অঘটন ঘটান কেউ কেউ, তার একটা উদাহরণ হতে পারে ফজল হকের মেয়ের কাণ্ডটি। তিনি যেটা করেছেন, অপরাধ হিসেবে তা যেমন মেনে নেওয়া যায় না, তেমনি তাঁর বাবা যে কাজটি মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে করতে যাচ্ছিলেন, সেটাও তো মেনে নেওয়া অনুচিত।
হতে পারে মেয়েটির অন্য কাউকে ভালো লাগে। কিংবা সেটা না-ও হতে পারে। হতে পারে তাঁর জন্য নির্বাচিত পাত্রকে পছন্দ হয়নি। কিংবা হতে পারে তিনি বিয়ের জন্য প্রস্তুতই ছিলেন না। মূল কথা, মেয়েটির এই বিয়েতে সম্মতি ছিল না। এসব বিষয় খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।
আমরা নিজের পোশাক, খাবার ইত্যাদি নিজের পছন্দমাফিক বেছে নিতে পারি। তাহলে জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কেন অন্যের ইচ্ছায় নিতে হবে? বিয়ের ব্যাপারে মা-বাবা কিংবা পরিবারের সদস্যরা তাঁদের মতামত দিতে পারেন কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি তো শুধু বর বা কনের এখতিয়ার। কারণ, একজন মানুষের সঙ্গে সারা জীবন পথ চলতে হলে যে সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ হতে হয়, তা কোনো ছোটখাটো ব্যাপার নয়। একে অন্যের প্রতি যত্নশীল হওয়া, একে অন্যের পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব দেওয়া, একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া—এগুলো বেজায় কঠিন পরীক্ষা। এসবে উতরে যেতে না পারলে সাংসারিক ও মানসিক অশান্তি লেগেই থাকে, যা কারও কাছেই কাঙ্ক্ষিত নয়।
আসলে আমাদের দেশে জীবনসঙ্গী খুঁজে নেওয়ার ব্যাপারটি সহজ প্রক্রিয়ায় করা হয় না। জটিল বলেই কারও ইচ্ছার বিরুদ্ধে চাপিয়ে দেওয়া হয় এ ধরনের সিদ্ধান্ত; বিশেষ করে পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজ সব সময়ই চেয়েছে নারীর ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে, চেয়েছে নারীর ইচ্ছাকে গলা টিপে মেরে ফেলতে। যুগ এগিয়েছে, সঙ্গে কতিপয় নারী—তা অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু বড় সংখ্যক পিছিয়ে থাকা নারীকে আরও পিছিয়ে নিতে এখনো তাঁদের ইচ্ছাকে হত্যা করা বন্ধ হচ্ছে না।
পুরুষতান্ত্রিকতা থেকে মুক্তি পেতে শুধু নারীকে নয়, পুরুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। এমন পুরুষ নিশ্চয়ই আছেন?
একটা ঘটনা ঘটেছে গত শুক্রবার রাতে। রংপুরের পীরগাছায়। সদর ইউনিয়নের তালুকইসাদ দাঁড়ারপাড় গ্রামে এক পুলিশ কর্মকর্তা ফজল হকের বাড়িতে বসেছিল বিয়ের আসর। বিয়ে ছিল তাঁর মেয়ের। বিয়েবাড়িতে আনন্দ হবে, হইহল্লা হবে—এটাই তো স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু হয়েছে উল্টোটা!
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ইচ্ছার বিরুদ্ধে মেয়েকে বিয়ে দিচ্ছিলেন ফজল হক। বিয়ের কনে ব্যাপারটার সুরাহা করতে পারেননি বলেই হয়তো নিজের বাবার গলায় ছুরি বসিয়ে দেন। এই সম্পাদকীয় লেখা পর্যন্ত ফজল হক গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। কনেকে আটক করা হয়েছে। তিনিসহ জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরিবারের অন্য সদস্যদের। ঘটনা এতটুকুই।
এখন হয়তো তদন্ত অনুযায়ী বিচার হবে, বিধান মোতাবেক শাস্তি হবে। অথচ এসবের ভিড়ে চাপা পড়ে যাবে মনস্তত্ত্বের বিষয়টি!
আমরা নাটক-সিনেমায় দেখি ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দিতে গেলে কত উদ্ভট কাণ্ডই না করে বসে নায়ক-নায়িকা। বাস্তবেও যে এমন সব অঘটন ঘটান কেউ কেউ, তার একটা উদাহরণ হতে পারে ফজল হকের মেয়ের কাণ্ডটি। তিনি যেটা করেছেন, অপরাধ হিসেবে তা যেমন মেনে নেওয়া যায় না, তেমনি তাঁর বাবা যে কাজটি মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে করতে যাচ্ছিলেন, সেটাও তো মেনে নেওয়া অনুচিত।
হতে পারে মেয়েটির অন্য কাউকে ভালো লাগে। কিংবা সেটা না-ও হতে পারে। হতে পারে তাঁর জন্য নির্বাচিত পাত্রকে পছন্দ হয়নি। কিংবা হতে পারে তিনি বিয়ের জন্য প্রস্তুতই ছিলেন না। মূল কথা, মেয়েটির এই বিয়েতে সম্মতি ছিল না। এসব বিষয় খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।
আমরা নিজের পোশাক, খাবার ইত্যাদি নিজের পছন্দমাফিক বেছে নিতে পারি। তাহলে জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কেন অন্যের ইচ্ছায় নিতে হবে? বিয়ের ব্যাপারে মা-বাবা কিংবা পরিবারের সদস্যরা তাঁদের মতামত দিতে পারেন কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি তো শুধু বর বা কনের এখতিয়ার। কারণ, একজন মানুষের সঙ্গে সারা জীবন পথ চলতে হলে যে সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ হতে হয়, তা কোনো ছোটখাটো ব্যাপার নয়। একে অন্যের প্রতি যত্নশীল হওয়া, একে অন্যের পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব দেওয়া, একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া—এগুলো বেজায় কঠিন পরীক্ষা। এসবে উতরে যেতে না পারলে সাংসারিক ও মানসিক অশান্তি লেগেই থাকে, যা কারও কাছেই কাঙ্ক্ষিত নয়।
আসলে আমাদের দেশে জীবনসঙ্গী খুঁজে নেওয়ার ব্যাপারটি সহজ প্রক্রিয়ায় করা হয় না। জটিল বলেই কারও ইচ্ছার বিরুদ্ধে চাপিয়ে দেওয়া হয় এ ধরনের সিদ্ধান্ত; বিশেষ করে পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজ সব সময়ই চেয়েছে নারীর ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে, চেয়েছে নারীর ইচ্ছাকে গলা টিপে মেরে ফেলতে। যুগ এগিয়েছে, সঙ্গে কতিপয় নারী—তা অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু বড় সংখ্যক পিছিয়ে থাকা নারীকে আরও পিছিয়ে নিতে এখনো তাঁদের ইচ্ছাকে হত্যা করা বন্ধ হচ্ছে না।
পুরুষতান্ত্রিকতা থেকে মুক্তি পেতে শুধু নারীকে নয়, পুরুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। এমন পুরুষ নিশ্চয়ই আছেন?
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে