মাগুরা প্রতিনিধি
সাম্প্রতিক সময়ে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ঠেকাতে সতর্কতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। মাগুরা জেলায় এখন পর্যন্ত এই ধরন শনাক্ত হয়নি। পাশের জেলা যশোরে তিনজনের শরীরে এই ধরন শনাক্ত হওয়ায় গত মঙ্গলবার জেলায় সতর্কতামূলক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলকসহ ঘরের বাইরে প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া যাবে না। সেই সঙ্গে করোনার টিকা যাঁরা নেননি, তাঁদের টিকা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে এই গণবিজ্ঞপ্তিতে। মাগুরার জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম স্বাক্ষরিত এই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় গত মঙ্গলবার সকালে।
এতে আরও বলা হয়, করোনার টিকা ছাড়া ঘরের বাইরে কাউকে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন থেকে একটি মাইকিং ও করা হয় জেলা শহরে। গণবিজ্ঞপ্তি জারির পরও মাগুরায় বিভিন্ন হাটবাজার ও জনসমাগম স্থলে অনেককেই মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। তবে টিকা নিয়েছেন এমন অনেককে পাওয়া গেছে।
সালাম মোল্লা নামের এক পথচারী বলেন, ‘ব্যাংক গিয়েছিলাম। সেখানে তো প্রচুর মানুষের ভিড়। আবার রাস্তায় ভিড়। কেউ মাস্ক পরছে না। আমি একা মাস্ক ব্যবহার করলে কী হবে বলেন? রাস্তায় অভিযান দিলে দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে।’
মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াছীন কবীর বলেন, ‘মাস্ক ছাড়া ও টিকা ছাড়া বাইরে ঘোরার সতর্কতা জারি রয়েছে। মানুষকে সচেতন হতে হবে। নিজেকে নিরাপদসহ পরিবারকে যারা ভালো রাখতে চায় তারা আশা করি এটা মেনে চলবে। প্রশাসনিক ভাবে এখন পর্যন্ত কাউকে জরিমানা করা হয়নি। তবে পরিস্থিতি ভিন্ন হলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে। এ মুহূর্তে গণবিজ্ঞপ্তি অনুসারে মাগুরাবাসীর সচেতনতা জরুরি।’
এ প্রসঙ্গে মাগুরা সিভিল সাজন চিকিৎসক শহীদুল্লাহ দেওয়ান আজকের পত্রিকাকে মুঠোফোনে জানান, মাগুরার মোট জনসংখ্যা যদি ১১ লাখ পরিসংখ্যান অফিসের তথ্য অনুসারে। আমরা বর্তমান টিকা দিচ্ছি অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষকে টার্গেট করে। ইতিমধ্যে এই ভাগের ৫৩ শতাংশ শেষ করতে পেরেছি। জনসংখ্যার বাকি ৪ লাখ মানুষকে নিয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ করোনাকে কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে জনসংখ্যার বড় একটা অংশকে টিকার আওতায় আনতে হবে। না হলে বিপদ কিন্তু রয়েই যাচ্ছে। আমরা যদি বাকি এই ৪ লাখ মানুষের মাঝে ২ লাখকে টিকা দিতে পারি তবে কিন্তু আমাদের সামাজিক যে বলয় করোনার বিরুদ্ধ অনেকটাই তৈরি হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে ফাইজারের টিকা ১২ বছরের শিক্ষার্থীসহ মোট ২২ হাজার জন শিক্ষার্থীকে টিকা দিতে পেরেছি আমরা।
বুস্টার ডোজ বিষয়ে এই চিকিৎসক জানান, বর্তমান ৬০ বছর যাদের বয়স তাঁদের এই টিকার ডোজটি দেওয়া হচ্ছে। কয়েক দিনে ভেতর আরও ফাইজারের টিকা চলে আসবে। তখন শিক্ষার্থীসহ বুস্টার ডোজটি ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে আমরা গতিশীল করব।
তিনি আরও বলেন, ‘মাগুরা এখন পর্যন্ত নিরাপদ। ওমিক্রনের রোগী আমরা পাইনি। তবে যশোরে কয়েকজনের নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে শুনছি। ভয়ের কিছু নেই। আমরা স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্ক আছি। ওমক্রিন বা ডেলটা অথবা ডেলটা প্লাস এগুলো সবই যেন আক্রান্তদের জটিল পর্যায়ে না নেয় সেটা আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে এ জন্য টিকা নিয়ে যারা আছেন এবং এর বাইরে যারা ঘোরাঘুরি করছেন তাঁদের নিজে থেকে সচেতন হতে হবে।’
মাগুরা সিভিল সাজন কার্যালয় থেকে জানা যায়, মাগুরায় করোনায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৯১ জন। করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৪১৫৮ জনের। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় একজন রোগী শনাক্ত দেখানো হয়েছে এবং তাঁর ওমিক্রনের কোনো উপসর্গ নেই। বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ঠেকাতে সতর্কতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। মাগুরা জেলায় এখন পর্যন্ত এই ধরন শনাক্ত হয়নি। পাশের জেলা যশোরে তিনজনের শরীরে এই ধরন শনাক্ত হওয়ায় গত মঙ্গলবার জেলায় সতর্কতামূলক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলকসহ ঘরের বাইরে প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া যাবে না। সেই সঙ্গে করোনার টিকা যাঁরা নেননি, তাঁদের টিকা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে এই গণবিজ্ঞপ্তিতে। মাগুরার জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম স্বাক্ষরিত এই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় গত মঙ্গলবার সকালে।
এতে আরও বলা হয়, করোনার টিকা ছাড়া ঘরের বাইরে কাউকে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন থেকে একটি মাইকিং ও করা হয় জেলা শহরে। গণবিজ্ঞপ্তি জারির পরও মাগুরায় বিভিন্ন হাটবাজার ও জনসমাগম স্থলে অনেককেই মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। তবে টিকা নিয়েছেন এমন অনেককে পাওয়া গেছে।
সালাম মোল্লা নামের এক পথচারী বলেন, ‘ব্যাংক গিয়েছিলাম। সেখানে তো প্রচুর মানুষের ভিড়। আবার রাস্তায় ভিড়। কেউ মাস্ক পরছে না। আমি একা মাস্ক ব্যবহার করলে কী হবে বলেন? রাস্তায় অভিযান দিলে দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে।’
মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াছীন কবীর বলেন, ‘মাস্ক ছাড়া ও টিকা ছাড়া বাইরে ঘোরার সতর্কতা জারি রয়েছে। মানুষকে সচেতন হতে হবে। নিজেকে নিরাপদসহ পরিবারকে যারা ভালো রাখতে চায় তারা আশা করি এটা মেনে চলবে। প্রশাসনিক ভাবে এখন পর্যন্ত কাউকে জরিমানা করা হয়নি। তবে পরিস্থিতি ভিন্ন হলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে। এ মুহূর্তে গণবিজ্ঞপ্তি অনুসারে মাগুরাবাসীর সচেতনতা জরুরি।’
এ প্রসঙ্গে মাগুরা সিভিল সাজন চিকিৎসক শহীদুল্লাহ দেওয়ান আজকের পত্রিকাকে মুঠোফোনে জানান, মাগুরার মোট জনসংখ্যা যদি ১১ লাখ পরিসংখ্যান অফিসের তথ্য অনুসারে। আমরা বর্তমান টিকা দিচ্ছি অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষকে টার্গেট করে। ইতিমধ্যে এই ভাগের ৫৩ শতাংশ শেষ করতে পেরেছি। জনসংখ্যার বাকি ৪ লাখ মানুষকে নিয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ করোনাকে কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে জনসংখ্যার বড় একটা অংশকে টিকার আওতায় আনতে হবে। না হলে বিপদ কিন্তু রয়েই যাচ্ছে। আমরা যদি বাকি এই ৪ লাখ মানুষের মাঝে ২ লাখকে টিকা দিতে পারি তবে কিন্তু আমাদের সামাজিক যে বলয় করোনার বিরুদ্ধ অনেকটাই তৈরি হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে ফাইজারের টিকা ১২ বছরের শিক্ষার্থীসহ মোট ২২ হাজার জন শিক্ষার্থীকে টিকা দিতে পেরেছি আমরা।
বুস্টার ডোজ বিষয়ে এই চিকিৎসক জানান, বর্তমান ৬০ বছর যাদের বয়স তাঁদের এই টিকার ডোজটি দেওয়া হচ্ছে। কয়েক দিনে ভেতর আরও ফাইজারের টিকা চলে আসবে। তখন শিক্ষার্থীসহ বুস্টার ডোজটি ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে আমরা গতিশীল করব।
তিনি আরও বলেন, ‘মাগুরা এখন পর্যন্ত নিরাপদ। ওমিক্রনের রোগী আমরা পাইনি। তবে যশোরে কয়েকজনের নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে শুনছি। ভয়ের কিছু নেই। আমরা স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্ক আছি। ওমক্রিন বা ডেলটা অথবা ডেলটা প্লাস এগুলো সবই যেন আক্রান্তদের জটিল পর্যায়ে না নেয় সেটা আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে এ জন্য টিকা নিয়ে যারা আছেন এবং এর বাইরে যারা ঘোরাঘুরি করছেন তাঁদের নিজে থেকে সচেতন হতে হবে।’
মাগুরা সিভিল সাজন কার্যালয় থেকে জানা যায়, মাগুরায় করোনায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৯১ জন। করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৪১৫৮ জনের। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় একজন রোগী শনাক্ত দেখানো হয়েছে এবং তাঁর ওমিক্রনের কোনো উপসর্গ নেই। বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে