জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
২০২৩ সালের জুনেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানোর ঘোষণা দিয়ে রেখেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। এ জন্য পুরোনো কালুরঘাট সেতুকে সংস্কার করতে হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো—সেতুটির সংস্কারকাজ ২০২৪ সালের আগে শেষ হওয়া সম্ভব নয়। ফলে ২০২৪-এর আগে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ট্রেন চালু করাও সম্ভব হবে না।
কালুরঘাট সেতুতে বর্তমানে যেসব ট্রেন যায়, সেগুলোর এক্সেল লোড ১১ দশমিক ৯৬ টন। কিন্তু রেলওয়ে কক্সবাজারে যে ট্রেন নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে, তার ইঞ্জিন ১৫ এক্সেল লোডের। যেহেতু কর্ণফুলী নদীতে নতুন রেলসেতু করা অনেক সময়ের ব্যাপার, তাই পুরোনো সেতুটি সংস্কার করে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালাতে চায় রেলওয়ে। এ জন্য ২০০১ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা এই সেতুর ওপর দিয়ে ১৫ এক্সেল লোডের ট্রেন চালানো যায় কি না, তা যাচাই করতে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বারস্থ হয় রেলওয়ে।
২০২১ সালের অক্টোবরে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের পর্যবেক্ষক দল সেতুটি পরিদর্শন করে। তারপর এই সেতু দিয়ে ভারবাহী ট্রেন চালানো যাবে কি না, গেলেও কীভাবে সংস্কার করতে হবে—সেই পরামর্শ দিতে ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চান বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও পর্যবেক্ষক দলের প্রধান ড. এ এফ এম সাইফুল আমিন। এ নিয়ে রেলের দফায় দফায় বৈঠক শেষে সম্প্রতি ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকার বিনিময়ে পরামর্শ দিতে রাজি হন তাঁরা।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বুয়েটের বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করেছেন। তবে প্রতিবেদন পেতে ছয় থেকে আট মাস সময় লাগবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর বুয়েটের পরামর্শ অনুযায়ী কালুরঘাট সেতুটি সংস্কারের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করতে হবে। এরপর শুরু হবে সংস্কারকাজ। সব মিলিয়ে এক বছরের বেশি সময় লেগে যেতে পারে।
এ বিষয়ে কালুরঘাট সেতুর ফোকাল পারসন ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুয়েট কয়েক ধাপে আমাদের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রথম প্রতিবেদনটি জানুয়ারিতে এবং দ্বিতীয় ধাপে এপ্রিলে প্রতিবেদন পাব। সব মিলিয়ে বুয়েটের প্রতিবেদন পেতে ছয় মাস লাগবে। তারপর সংস্কারের জন্য আরও এক বছর লাগবে। সে হিসাবে কালুরঘাট সেতু সম্পূর্ণ প্রস্তুত হবে ২০২৪ সালের মধ্যে।’
কালুরঘাট সেতু সংস্কার সময়সাপেক্ষ হলেও দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. মফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ২০২৩ সালের জুনের মধ্যেই কাজ শেষ করে এই রুটে ট্রেন চালাতে পারব।’
জুনের মধ্যে ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী
আগামী জুনের মধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন চালু হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। গতকাল প্রকল্প পরিদর্শনের সময় কক্সবাজারের আইকনিক স্টেশনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে ৬০ কিলোমিটার রেললাইন বসানো শেষ। আশা করা যাচ্ছে, নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আগামী বছর জুনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে। তখন সারা দেশ থেকে ট্রেন সরাসরি কক্সবাজারে যাবে।
২০২৩ সালের জুনেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানোর ঘোষণা দিয়ে রেখেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। এ জন্য পুরোনো কালুরঘাট সেতুকে সংস্কার করতে হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো—সেতুটির সংস্কারকাজ ২০২৪ সালের আগে শেষ হওয়া সম্ভব নয়। ফলে ২০২৪-এর আগে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ট্রেন চালু করাও সম্ভব হবে না।
কালুরঘাট সেতুতে বর্তমানে যেসব ট্রেন যায়, সেগুলোর এক্সেল লোড ১১ দশমিক ৯৬ টন। কিন্তু রেলওয়ে কক্সবাজারে যে ট্রেন নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে, তার ইঞ্জিন ১৫ এক্সেল লোডের। যেহেতু কর্ণফুলী নদীতে নতুন রেলসেতু করা অনেক সময়ের ব্যাপার, তাই পুরোনো সেতুটি সংস্কার করে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালাতে চায় রেলওয়ে। এ জন্য ২০০১ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা এই সেতুর ওপর দিয়ে ১৫ এক্সেল লোডের ট্রেন চালানো যায় কি না, তা যাচাই করতে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বারস্থ হয় রেলওয়ে।
২০২১ সালের অক্টোবরে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের পর্যবেক্ষক দল সেতুটি পরিদর্শন করে। তারপর এই সেতু দিয়ে ভারবাহী ট্রেন চালানো যাবে কি না, গেলেও কীভাবে সংস্কার করতে হবে—সেই পরামর্শ দিতে ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চান বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও পর্যবেক্ষক দলের প্রধান ড. এ এফ এম সাইফুল আমিন। এ নিয়ে রেলের দফায় দফায় বৈঠক শেষে সম্প্রতি ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকার বিনিময়ে পরামর্শ দিতে রাজি হন তাঁরা।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বুয়েটের বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করেছেন। তবে প্রতিবেদন পেতে ছয় থেকে আট মাস সময় লাগবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর বুয়েটের পরামর্শ অনুযায়ী কালুরঘাট সেতুটি সংস্কারের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করতে হবে। এরপর শুরু হবে সংস্কারকাজ। সব মিলিয়ে এক বছরের বেশি সময় লেগে যেতে পারে।
এ বিষয়ে কালুরঘাট সেতুর ফোকাল পারসন ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুয়েট কয়েক ধাপে আমাদের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রথম প্রতিবেদনটি জানুয়ারিতে এবং দ্বিতীয় ধাপে এপ্রিলে প্রতিবেদন পাব। সব মিলিয়ে বুয়েটের প্রতিবেদন পেতে ছয় মাস লাগবে। তারপর সংস্কারের জন্য আরও এক বছর লাগবে। সে হিসাবে কালুরঘাট সেতু সম্পূর্ণ প্রস্তুত হবে ২০২৪ সালের মধ্যে।’
কালুরঘাট সেতু সংস্কার সময়সাপেক্ষ হলেও দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. মফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ২০২৩ সালের জুনের মধ্যেই কাজ শেষ করে এই রুটে ট্রেন চালাতে পারব।’
জুনের মধ্যে ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী
আগামী জুনের মধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন চালু হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। গতকাল প্রকল্প পরিদর্শনের সময় কক্সবাজারের আইকনিক স্টেশনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে ৬০ কিলোমিটার রেললাইন বসানো শেষ। আশা করা যাচ্ছে, নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আগামী বছর জুনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে। তখন সারা দেশ থেকে ট্রেন সরাসরি কক্সবাজারে যাবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৪ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪