অরূপ রায়, সাভার
উচ্ছেদের এক সপ্তাহের মধ্যে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফুটপাত ছাড়িয়ে সড়কের ওপর হকাররা বসে গেছেন। তা ছাড়া সড়কের দুই পাশেই যথেচ্ছভাবে ভাড়াচালিত ব্যক্তিগত গাড়ি, লেগুনা ও মাইক্রোবাস দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। এতে আবার দুর্ভোগে পড়েছে পথচারীরা।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কয়েক হাজার হকার সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উভয় পাশের ফুটপাত ও মহাসড়কের ওপর পসরা সাজিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন। এসব হকারের কাছ থেকে বিভিন্ন সংগঠনের নামে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হতো। সম্প্রতি পুলিশ অভিযান চালিয়ে হকারদের উচ্ছেদ করে দেয়।
উচ্ছেদের পর হকারদের পক্ষ থেকে তাঁদের পুনর্বাসনের দাবি ওঠে। এ অবস্থায় স্থানীয় সংসদ সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, সাভার পৌরসভার মেয়র আব্দুল গনি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম গত মঙ্গলবার বাসস্ট্যান্ড এলাকা পরিদর্শনে যান। এ সময় তাঁরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি খাসজমিতে হকারদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দেন। আনুষ্ঠানিকতা ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে ওই জমি হকারদের কাছে হস্তান্তরের আগে বাসস্ট্যান্ড এলাকা হকারমুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পর গত বুধবার সকাল থেকে হকাররা আবার ফুটপাত দখল করে নেন।
গত বুধবার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে হকারদের ফুটপাত ছাড়িয়ে সড়কের ওপর বসে থাকতে দেখা যায়। অনেকে আবার ফুটপাতের একপাশে দোকান আর অন্যপাশে বেঞ্চ ফেলে ক্রেতার বসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এসব কারণে পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাদের গা ঘেঁষে চলতে দেখা যায়।
বিপণিবিতান সিটি সেন্টারের পাশের পদচারী-সেতুর সামনে দোকান নিয়ে বসেছেন সিরাজ মিয়া নামের এক হকার। ফুটপাতের ওপর চুল্লি বসিয়ে বড় কড়াইয়ে গরম তেলে চপ, শিঙাড়া ও পুরি ভেজে বিক্রি করছিলেন তিনি। তাঁর সেসব খাবার খেতে কখনো ফুটপাত আবার
কখনো সেতুর সামনে ভিড় জমাচ্ছিল মানুষ। ভিড়ের কারণে পথচারীদের ফুটপাত ও সেতু ব্যবহার করতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল।
পথচারীদের ভোগান্তি কমাতে দোকান সরিয়ে নেওয়া যায় কি না, জানতে চাইলে সিরাজ মিয়া বলেন, ‘যারা বহাইছে তাগো গিয়া জিজ্ঞাসা করেন গা। আমার কাছে কইয়া কোনো লাভ অইবো না। তা ছাড়া সবার মতো আমিও নেতাগো প্রতিদিন ২০০ টাকা কইরা জাগার ভাড়া দিই। আমি সরমু কেন।’
ঝালমুড়ি বিক্রেতা বাবুল হোসেন বলেন, ‘ফুটপাতে দোকানদারি কইরা আমরা কোনোরকমে খাইয়া-পইরা বাঁইচা আছি। আমাগো পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না কইরা উঠাইয়া দিলে আমরা না খাইয়া মইরা যামু।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক হকার বলেন, তাঁরা পথচারীদের চলাচলের পথ রেখেই ব্যবসা করতে চান। কিন্তু টাকার বিনিময়ে নেতারা তাঁদের যত্রতত্র বসিয়ে দেন; যাতে দিন শেষে মোটা অঙ্কের টাকা তাঁদের পকেটে যায়।
ফুটপাতের পাশের বিপণিবিতান রাজ্জাক প্লাজার এক ব্যবসায়ী বলেন, হকাররা ফুটপাত ও সড়কের ওপর পসরা সাজিয়ে বসার কারণে পথচারীসহ তাঁরা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারেন না। ভিড় ঠেলে অনেক ক্রেতা তাঁদের বিপণিবিতানসহ আশপাশের বিপণিবিতানে আসতে চান না। এ কারণে তাঁদের বিক্রি কমে গেছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার তৃণমূল হকার্স লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, আপাতত ফুটপাতের পাশে এক সারি করে হকারদের বসতে বলা হয়েছে। এতে মন্ত্রীরও সম্মতি রয়েছে। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হলেই সব হকার ফুটপাত ছেড়ে দেবেন।
হকারদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, কোনো হকারের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া হয় না। কেউ বলে থাকলে তাঁরা অন্য কোনো দল বা গ্রুপের।
জানতে চাইলে সাভার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন কারকুন বলেন, উচ্ছেদের পর হকারদের কেউ কেউ গোপনে বসতে পারেন। তাঁদের আবার উচ্ছেদ করা হবে। এ বিষয়ে ইউএনও মাজহারুল ইসলাম বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বাসস্ট্যান্ড এলাকার খাসজমিতে হকারদের পুনর্বাসন করার প্রস্তাব দিয়েছেন। আনুষ্ঠানিকতা ও আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ওই জমিতে হকারদের ব্যবসা করার সুযোগ করে দেওয়া হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, হকারদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাঁরা কোনোভাবেই ফুটপাত ও মহাসড়কে বসতে পারবেন না।
উচ্ছেদের এক সপ্তাহের মধ্যে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফুটপাত ছাড়িয়ে সড়কের ওপর হকাররা বসে গেছেন। তা ছাড়া সড়কের দুই পাশেই যথেচ্ছভাবে ভাড়াচালিত ব্যক্তিগত গাড়ি, লেগুনা ও মাইক্রোবাস দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। এতে আবার দুর্ভোগে পড়েছে পথচারীরা।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কয়েক হাজার হকার সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উভয় পাশের ফুটপাত ও মহাসড়কের ওপর পসরা সাজিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন। এসব হকারের কাছ থেকে বিভিন্ন সংগঠনের নামে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হতো। সম্প্রতি পুলিশ অভিযান চালিয়ে হকারদের উচ্ছেদ করে দেয়।
উচ্ছেদের পর হকারদের পক্ষ থেকে তাঁদের পুনর্বাসনের দাবি ওঠে। এ অবস্থায় স্থানীয় সংসদ সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, সাভার পৌরসভার মেয়র আব্দুল গনি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম গত মঙ্গলবার বাসস্ট্যান্ড এলাকা পরিদর্শনে যান। এ সময় তাঁরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি খাসজমিতে হকারদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দেন। আনুষ্ঠানিকতা ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে ওই জমি হকারদের কাছে হস্তান্তরের আগে বাসস্ট্যান্ড এলাকা হকারমুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পর গত বুধবার সকাল থেকে হকাররা আবার ফুটপাত দখল করে নেন।
গত বুধবার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে হকারদের ফুটপাত ছাড়িয়ে সড়কের ওপর বসে থাকতে দেখা যায়। অনেকে আবার ফুটপাতের একপাশে দোকান আর অন্যপাশে বেঞ্চ ফেলে ক্রেতার বসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এসব কারণে পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাদের গা ঘেঁষে চলতে দেখা যায়।
বিপণিবিতান সিটি সেন্টারের পাশের পদচারী-সেতুর সামনে দোকান নিয়ে বসেছেন সিরাজ মিয়া নামের এক হকার। ফুটপাতের ওপর চুল্লি বসিয়ে বড় কড়াইয়ে গরম তেলে চপ, শিঙাড়া ও পুরি ভেজে বিক্রি করছিলেন তিনি। তাঁর সেসব খাবার খেতে কখনো ফুটপাত আবার
কখনো সেতুর সামনে ভিড় জমাচ্ছিল মানুষ। ভিড়ের কারণে পথচারীদের ফুটপাত ও সেতু ব্যবহার করতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল।
পথচারীদের ভোগান্তি কমাতে দোকান সরিয়ে নেওয়া যায় কি না, জানতে চাইলে সিরাজ মিয়া বলেন, ‘যারা বহাইছে তাগো গিয়া জিজ্ঞাসা করেন গা। আমার কাছে কইয়া কোনো লাভ অইবো না। তা ছাড়া সবার মতো আমিও নেতাগো প্রতিদিন ২০০ টাকা কইরা জাগার ভাড়া দিই। আমি সরমু কেন।’
ঝালমুড়ি বিক্রেতা বাবুল হোসেন বলেন, ‘ফুটপাতে দোকানদারি কইরা আমরা কোনোরকমে খাইয়া-পইরা বাঁইচা আছি। আমাগো পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না কইরা উঠাইয়া দিলে আমরা না খাইয়া মইরা যামু।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক হকার বলেন, তাঁরা পথচারীদের চলাচলের পথ রেখেই ব্যবসা করতে চান। কিন্তু টাকার বিনিময়ে নেতারা তাঁদের যত্রতত্র বসিয়ে দেন; যাতে দিন শেষে মোটা অঙ্কের টাকা তাঁদের পকেটে যায়।
ফুটপাতের পাশের বিপণিবিতান রাজ্জাক প্লাজার এক ব্যবসায়ী বলেন, হকাররা ফুটপাত ও সড়কের ওপর পসরা সাজিয়ে বসার কারণে পথচারীসহ তাঁরা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারেন না। ভিড় ঠেলে অনেক ক্রেতা তাঁদের বিপণিবিতানসহ আশপাশের বিপণিবিতানে আসতে চান না। এ কারণে তাঁদের বিক্রি কমে গেছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার তৃণমূল হকার্স লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, আপাতত ফুটপাতের পাশে এক সারি করে হকারদের বসতে বলা হয়েছে। এতে মন্ত্রীরও সম্মতি রয়েছে। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হলেই সব হকার ফুটপাত ছেড়ে দেবেন।
হকারদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, কোনো হকারের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া হয় না। কেউ বলে থাকলে তাঁরা অন্য কোনো দল বা গ্রুপের।
জানতে চাইলে সাভার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন কারকুন বলেন, উচ্ছেদের পর হকারদের কেউ কেউ গোপনে বসতে পারেন। তাঁদের আবার উচ্ছেদ করা হবে। এ বিষয়ে ইউএনও মাজহারুল ইসলাম বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বাসস্ট্যান্ড এলাকার খাসজমিতে হকারদের পুনর্বাসন করার প্রস্তাব দিয়েছেন। আনুষ্ঠানিকতা ও আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ওই জমিতে হকারদের ব্যবসা করার সুযোগ করে দেওয়া হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, হকারদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাঁরা কোনোভাবেই ফুটপাত ও মহাসড়কে বসতে পারবেন না।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে