নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
টানা চারবার নির্বাচনে জিতে সংসদ সদস্য হয়েছেন জুনাইদ আহমেদ পলক। এর মধ্যে শেষ দুই মেয়াদের ধারাবাহিকতায় এবারও তিনি সরকারের মন্ত্রিসভায় স্থান পেলেন। দায়িত্বও একই, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী।
নতুন করে একই দায়িত্ব নিয়ে পলক চ্যালেঞ্জ মনে করছেন প্রযুক্তিনির্ভর জীবনব্যবস্থা তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলাকে। এ ছাড়া তরুণদের জন্য স্মার্ট কর্মসংস্থান সৃষ্টিও চ্যালেঞ্জ বলে জানান তিনি। গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তাঁর কাজের পরিকল্পনার কথা জানান।
জুনাইদ আহমেদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশই বদলে দিয়েছে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির গতিপথ। এখন আমাদের নতুন চ্যালেঞ্জ ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। স্মার্ট বাংলাদেশ হবে প্রযুক্তিনির্ভর জীবনব্যবস্থা, যেখানে নাগরিকসেবা থেকে শুরু করে সবকিছুই জনগণ স্মার্টলি করতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ। এগুলো হচ্ছে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট সোসাইটি। এই চার স্তম্ভের প্রতিটি বাস্তবায়নে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আইসিটি বিভাগ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: আইসিটি ২০৪১’ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করেছে। এই মাস্টারপ্ল্যান
অনুসারে ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যক্রমকে সম্প্রসারিত করার পাশাপাশি নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ ও তাঁর বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এই চার স্তম্ভের বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
এ ছাড়া তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিও বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন জুনাইদ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বছরে শ্রমশক্তিতে ২০ লাখ নতুন মুখ যুক্ত হওয়ার বিপরীতে আনুষ্ঠানিক খাতে কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয় মাত্র ২ লাখ। অনানুষ্ঠানিক খাতে বাকিদের বড় অংশটির কাজের সুযোগ থাকলেও কর্মসংস্থান সৃষ্টি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ।’
জুনাইদ আহমেদ আরও বলেন, ‘আমার পরিকল্পনা হলো অল্প সময়ের মধ্যে এক লাখেরও বেশি যুবককে ডিজিটাল দক্ষতাসম্পন্ন মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা, যাতে তাদের স্থানীয় ও বৈশ্বিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এটি কেবল বেকারত্ব সমস্যার সমাধানই করবে না; বরং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়তা করবে। এ ছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে কমপক্ষে এক লাখ স্টার্টআপ তৈরিরও পরিকল্পনা রয়েছে।’
কোন কোন কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করতে চান—এমন প্রশ্নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাশ্রয়ী মূল্যে এবং নির্ভরযোগ্য ব্রডব্যান্ড সংযোগ প্রদান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে পাঁচ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় এবং এক লাখেরও বেশি যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, ফাইভজি প্রযুক্তি চালু এবং সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন ডিজিটাল পরিষেবা নিশ্চিত করা আমার কাজের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে।’ এর বাইরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দপ্তর ও সংস্থাকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা এবং আইসিটি ও টেলিকম খাতকে বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় খাত হিসেবে গড়ে তুলতে চান তিনি।
দেশের তরুণ সমাজকে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করারও পরামর্শ দেন জুনাইদ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘তরুণ সমাজের প্রতি আমার পরামর্শ হচ্ছে, ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করুন, যেমন এআই, মেশিন লার্নিং, বিগ ডেটা অ্যানালিটিকস, সাইবার সিকিউরিটি, আইওটি এবং এ জাতীয় অন্য দক্ষতা। দক্ষ হোন, উদ্ভাবনী হোন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য স্মার্ট অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ করুন।’
টানা চারবার নির্বাচনে জিতে সংসদ সদস্য হয়েছেন জুনাইদ আহমেদ পলক। এর মধ্যে শেষ দুই মেয়াদের ধারাবাহিকতায় এবারও তিনি সরকারের মন্ত্রিসভায় স্থান পেলেন। দায়িত্বও একই, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী।
নতুন করে একই দায়িত্ব নিয়ে পলক চ্যালেঞ্জ মনে করছেন প্রযুক্তিনির্ভর জীবনব্যবস্থা তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলাকে। এ ছাড়া তরুণদের জন্য স্মার্ট কর্মসংস্থান সৃষ্টিও চ্যালেঞ্জ বলে জানান তিনি। গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তাঁর কাজের পরিকল্পনার কথা জানান।
জুনাইদ আহমেদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশই বদলে দিয়েছে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির গতিপথ। এখন আমাদের নতুন চ্যালেঞ্জ ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। স্মার্ট বাংলাদেশ হবে প্রযুক্তিনির্ভর জীবনব্যবস্থা, যেখানে নাগরিকসেবা থেকে শুরু করে সবকিছুই জনগণ স্মার্টলি করতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ। এগুলো হচ্ছে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট সোসাইটি। এই চার স্তম্ভের প্রতিটি বাস্তবায়নে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আইসিটি বিভাগ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: আইসিটি ২০৪১’ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করেছে। এই মাস্টারপ্ল্যান
অনুসারে ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যক্রমকে সম্প্রসারিত করার পাশাপাশি নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ ও তাঁর বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এই চার স্তম্ভের বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
এ ছাড়া তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিও বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন জুনাইদ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বছরে শ্রমশক্তিতে ২০ লাখ নতুন মুখ যুক্ত হওয়ার বিপরীতে আনুষ্ঠানিক খাতে কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয় মাত্র ২ লাখ। অনানুষ্ঠানিক খাতে বাকিদের বড় অংশটির কাজের সুযোগ থাকলেও কর্মসংস্থান সৃষ্টি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ।’
জুনাইদ আহমেদ আরও বলেন, ‘আমার পরিকল্পনা হলো অল্প সময়ের মধ্যে এক লাখেরও বেশি যুবককে ডিজিটাল দক্ষতাসম্পন্ন মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা, যাতে তাদের স্থানীয় ও বৈশ্বিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এটি কেবল বেকারত্ব সমস্যার সমাধানই করবে না; বরং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়তা করবে। এ ছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে কমপক্ষে এক লাখ স্টার্টআপ তৈরিরও পরিকল্পনা রয়েছে।’
কোন কোন কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করতে চান—এমন প্রশ্নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাশ্রয়ী মূল্যে এবং নির্ভরযোগ্য ব্রডব্যান্ড সংযোগ প্রদান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে পাঁচ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় এবং এক লাখেরও বেশি যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, ফাইভজি প্রযুক্তি চালু এবং সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন ডিজিটাল পরিষেবা নিশ্চিত করা আমার কাজের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে।’ এর বাইরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দপ্তর ও সংস্থাকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা এবং আইসিটি ও টেলিকম খাতকে বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় খাত হিসেবে গড়ে তুলতে চান তিনি।
দেশের তরুণ সমাজকে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করারও পরামর্শ দেন জুনাইদ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘তরুণ সমাজের প্রতি আমার পরামর্শ হচ্ছে, ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করুন, যেমন এআই, মেশিন লার্নিং, বিগ ডেটা অ্যানালিটিকস, সাইবার সিকিউরিটি, আইওটি এবং এ জাতীয় অন্য দক্ষতা। দক্ষ হোন, উদ্ভাবনী হোন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য স্মার্ট অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ করুন।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে