রফিকুল ইসলাম, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)
চলনবিল-অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বোরো ধান গোলায় তোলার সময় আঘাত হানা ঝড়বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে বাজারে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি মণে দর বেড়েছে প্রায় ৩০০ টাকা।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে তাড়াশে ২২ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে কৃষকেরা নতুন ধান বিক্রি শুরু করেছেন। চলতি সপ্তাহে সব ধরনের ধানের দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে মিনিকেট চালের যে ধান প্রতি মণ ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তার দাম এখন ১ হাজার ৪০০ টাকা। এ ছাড়া মণপ্রতি কাটারিভোগ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪৫০, ব্রি-২৮ ও হিরা ৬০০ থেকে ৮৫০, সুফলতা ৭০০ থেকে ১ হাজার, ব্রি-২৯ ধান ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ২৫০ ও ব্রি-৯০ ধান ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬৮৫ টাকায় পৌঁছেছে।
তবে ধানের এমন দাম বাড়ার পরও উৎপাদন খরচ উঠবে না বলে দাবি করেছেন কৃষকেরা। তাঁরা জানান, ঝড়ে ক্ষতির পাশাপাশি ডুবে যাওয়া ধান কেটে আনতে শ্রমিকদের অতিরিক্ত মজুরি দিতে হয়েছে।
উপজেলার দীঘি সগুনা গ্রামের কৃষক হাসেম আলী জানান, তিনি এ বছর সাড়ে সাত বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছিলেন। ফলনও হয়েছিল ভালো। কিন্তু ধান কাটার আগ মুহূর্তে কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও ঝড়ে গাছ নুয়ে পড়ে এবং জমিতে পানি জমে যায়। তারপর মেলেনি কৃষিশ্রমিক। কয়েক দিন ঘুরে প্রায় অর্ধেক ধান পারিশ্রমিক দিয়ে তবেই জমির ধান কাটাতে পেরেছেন।
কৃষক হাসেম বলেন, আগে কাটা ও মাড়াইয়ের মজুরি বাদে প্রায় ১৫০ মণ ধান তাঁর গোলায় মজুত থাকত। কিন্তু এ বছর অবশিষ্ট রয়েছে ৭০ থেকে ৮০ মণ। এই ধান আবাদ করতে বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছিল ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা। এখন বাজারে ধানের দাম বেশি হলেও তাঁর খুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই। কেননা যে ধান মজুত আছে, তা বিক্রি করে উৎপাদন খরচ উঠবে না।
উপজেলার বিনসাড়া হাটে আসা মহাজন সেলিম সিকদার জানান, গত ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রতি মণ ধানে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা দাম বেড়েছে। কৃষকেরা বৈরী আবহাওয়ার কারণে উচ্চ মূল্যে ধান কাটতে বাধ্য হয়েছেন। এ কারণে বিশেষ করে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত ধানের অর্ধেকও মজুত করতে পারেননি। ফলে এই অঞ্চলে দাম আরও বাড়তে পারে।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুন্নার লুনা বলেন, এ বছর বোরো মৌসুমে বৃষ্টিপাত আর ঝড়-বাতাসে পাকা ধানের বেশ ক্ষতি হয়েছে, তার ওপর ধানকাটা শ্রমিকের সংকট তো আছেই। স্থানীয় হাটবাজারে ধানের দাম ওঠানামা করে। তারপরও ধানের দাম বেশি হওয়ায় অনেক কৃষক লাভবান হবেন।
চলনবিল-অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বোরো ধান গোলায় তোলার সময় আঘাত হানা ঝড়বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে বাজারে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি মণে দর বেড়েছে প্রায় ৩০০ টাকা।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে তাড়াশে ২২ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে কৃষকেরা নতুন ধান বিক্রি শুরু করেছেন। চলতি সপ্তাহে সব ধরনের ধানের দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে মিনিকেট চালের যে ধান প্রতি মণ ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তার দাম এখন ১ হাজার ৪০০ টাকা। এ ছাড়া মণপ্রতি কাটারিভোগ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪৫০, ব্রি-২৮ ও হিরা ৬০০ থেকে ৮৫০, সুফলতা ৭০০ থেকে ১ হাজার, ব্রি-২৯ ধান ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ২৫০ ও ব্রি-৯০ ধান ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬৮৫ টাকায় পৌঁছেছে।
তবে ধানের এমন দাম বাড়ার পরও উৎপাদন খরচ উঠবে না বলে দাবি করেছেন কৃষকেরা। তাঁরা জানান, ঝড়ে ক্ষতির পাশাপাশি ডুবে যাওয়া ধান কেটে আনতে শ্রমিকদের অতিরিক্ত মজুরি দিতে হয়েছে।
উপজেলার দীঘি সগুনা গ্রামের কৃষক হাসেম আলী জানান, তিনি এ বছর সাড়ে সাত বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছিলেন। ফলনও হয়েছিল ভালো। কিন্তু ধান কাটার আগ মুহূর্তে কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও ঝড়ে গাছ নুয়ে পড়ে এবং জমিতে পানি জমে যায়। তারপর মেলেনি কৃষিশ্রমিক। কয়েক দিন ঘুরে প্রায় অর্ধেক ধান পারিশ্রমিক দিয়ে তবেই জমির ধান কাটাতে পেরেছেন।
কৃষক হাসেম বলেন, আগে কাটা ও মাড়াইয়ের মজুরি বাদে প্রায় ১৫০ মণ ধান তাঁর গোলায় মজুত থাকত। কিন্তু এ বছর অবশিষ্ট রয়েছে ৭০ থেকে ৮০ মণ। এই ধান আবাদ করতে বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছিল ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা। এখন বাজারে ধানের দাম বেশি হলেও তাঁর খুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই। কেননা যে ধান মজুত আছে, তা বিক্রি করে উৎপাদন খরচ উঠবে না।
উপজেলার বিনসাড়া হাটে আসা মহাজন সেলিম সিকদার জানান, গত ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রতি মণ ধানে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা দাম বেড়েছে। কৃষকেরা বৈরী আবহাওয়ার কারণে উচ্চ মূল্যে ধান কাটতে বাধ্য হয়েছেন। এ কারণে বিশেষ করে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত ধানের অর্ধেকও মজুত করতে পারেননি। ফলে এই অঞ্চলে দাম আরও বাড়তে পারে।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুন্নার লুনা বলেন, এ বছর বোরো মৌসুমে বৃষ্টিপাত আর ঝড়-বাতাসে পাকা ধানের বেশ ক্ষতি হয়েছে, তার ওপর ধানকাটা শ্রমিকের সংকট তো আছেই। স্থানীয় হাটবাজারে ধানের দাম ওঠানামা করে। তারপরও ধানের দাম বেশি হওয়ায় অনেক কৃষক লাভবান হবেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১০ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪