কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
কাউখালী উত্তর বাজারে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তা সংস্কার ও নালা (ড্রেন) নির্মাণের কাজ এমনিতেই চলছিল ধীরগতিতে। চার বছর আগে শুরু হয়ে ইতিমধ্যে কাজ হয়েছে আংশিক। এখন কাজ বন্ধ রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে ব্যবসায়ী ও পথচারীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অর্থ না পাওয়ায় কাজ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।
বাজারের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এভাবে খোলা নালায় মশার জন্ম হচ্ছে। রাস্তা সংস্কারকাজ শেষ না করায় লোকজনের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। এতে ক্রেতার অভাবে তাঁদের ব্যবসা খারাপ যাচ্ছে। তা ছাড়া প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত নালা নির্মাণ ও রাস্তা সংস্কারের জন্য জলবায়ু তহবিলের বরাদ্দে ২০১৭ সালের ৯ ডিসেম্বর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। কিন্তু দক্ষিণ বাজার থেকে মধ্য বাজার পর্যন্ত কাজ শুরু করা হয় পরের বছর, ২০১৯ সালে। উত্তর বাজার পর্যন্ত রাস্তা ও ড্রেনের কাজ গত বছর শুরু হয়। আংশিক কাজ করে ফেলে রেখেছেন ঠিকাদার। এ ছাড়া ডাকবাংলো থেকে উত্তর বাজার পর্যন্ত রাস্তার পাশে নালা নির্মাণকাজ শুরুই করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এদিকে মধ্য বাজার থেকে শুরু করে উত্তর বাজার পর্যন্ত রাস্তা ও নালার কাজ বাস্তবায়ন করেন স্থানীয় ঠিকাদার গিয়াস উদ্দিন পলাশ। নালা নির্মাণ করা হলেও তাতে কোনো ঢাকনা দেওয়া হয়নি। এ কারণে ওই নালায় মশার জন্ম হচ্ছে।
অগ্রণী ব্যাংক থেকে উত্তর বাজার পর্যন্ত ভাঙা রাস্তা সংস্কারের কাজ ঠিকাদার ফেলে রেখেছেন প্রায় বছর ধরে। এতে বাজারে আসা-যাওয়া করতে ক্রেতাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অপরদিকে দোকানের সামনে ঢাকনাবিহীন নালা থাকায় দুর্গন্ধে টিকতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। এরপর আছে মশার উপদ্রব।
ব্যবসায়ী শাহ মোহাম্মদ কাইয়ুম ও সাকিল হোসেনসহ অনেকে বলেন, নালায় ঢাকনা না থাকায় তাঁরা দোকান খুলে বসে থাকলেও, ক্রেতারা ঝুঁকি নিয়ে ভেতরে আসেন না। এ কারণে দোকান ভাড়াসহ আনুষঙ্গিক খরচ জোগাতে তাঁদের হিমশিম খেতে হয়। আর এই নালা থেকে পানি নিষ্কাশন হতে না পারায় দুর্গন্ধ আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। এসব এলাকার মানুষ ও পথচারী মশা-মাছির উপদ্রবে অতিষ্ঠ। নতুন রাস্তা নির্মাণ করার জন্য পুরোনো রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় খুঁড়ে রাখা হয়। এতে দুর্ভোগের মাত্রা আরও বেড়ে গেছে। বন্দরের বিকল্প রাস্তা না থাকায় রিকশা ও গাড়ি চলাচলসহ স্কুল, কলেজ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সব কাজকর্মের জন্য রাস্তাটি একমাত্র ভরসা।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজ করা গিয়াস উদ্দিন পলাশ বলেন, ‘কাজল এন্টার প্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজ করছে। ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ড্রেন ও রাস্তা সংস্কারকাজ হচ্ছে। তবে অর্থ না পাওয়ায় কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলেই আমরা আবার দ্রুত কাজ শুরু করব।
উপজেলা প্রকৌশলী ইমতিয়াজ হোসেন রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খালেদা খাতুন রেখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জনসাধারণ ও বাজারের ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগের বিষয়টি দুঃখজনক। উপজেলা প্রকৌশলীকে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
কাউখালী উত্তর বাজারে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তা সংস্কার ও নালা (ড্রেন) নির্মাণের কাজ এমনিতেই চলছিল ধীরগতিতে। চার বছর আগে শুরু হয়ে ইতিমধ্যে কাজ হয়েছে আংশিক। এখন কাজ বন্ধ রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে ব্যবসায়ী ও পথচারীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অর্থ না পাওয়ায় কাজ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।
বাজারের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এভাবে খোলা নালায় মশার জন্ম হচ্ছে। রাস্তা সংস্কারকাজ শেষ না করায় লোকজনের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। এতে ক্রেতার অভাবে তাঁদের ব্যবসা খারাপ যাচ্ছে। তা ছাড়া প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত নালা নির্মাণ ও রাস্তা সংস্কারের জন্য জলবায়ু তহবিলের বরাদ্দে ২০১৭ সালের ৯ ডিসেম্বর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। কিন্তু দক্ষিণ বাজার থেকে মধ্য বাজার পর্যন্ত কাজ শুরু করা হয় পরের বছর, ২০১৯ সালে। উত্তর বাজার পর্যন্ত রাস্তা ও ড্রেনের কাজ গত বছর শুরু হয়। আংশিক কাজ করে ফেলে রেখেছেন ঠিকাদার। এ ছাড়া ডাকবাংলো থেকে উত্তর বাজার পর্যন্ত রাস্তার পাশে নালা নির্মাণকাজ শুরুই করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এদিকে মধ্য বাজার থেকে শুরু করে উত্তর বাজার পর্যন্ত রাস্তা ও নালার কাজ বাস্তবায়ন করেন স্থানীয় ঠিকাদার গিয়াস উদ্দিন পলাশ। নালা নির্মাণ করা হলেও তাতে কোনো ঢাকনা দেওয়া হয়নি। এ কারণে ওই নালায় মশার জন্ম হচ্ছে।
অগ্রণী ব্যাংক থেকে উত্তর বাজার পর্যন্ত ভাঙা রাস্তা সংস্কারের কাজ ঠিকাদার ফেলে রেখেছেন প্রায় বছর ধরে। এতে বাজারে আসা-যাওয়া করতে ক্রেতাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অপরদিকে দোকানের সামনে ঢাকনাবিহীন নালা থাকায় দুর্গন্ধে টিকতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। এরপর আছে মশার উপদ্রব।
ব্যবসায়ী শাহ মোহাম্মদ কাইয়ুম ও সাকিল হোসেনসহ অনেকে বলেন, নালায় ঢাকনা না থাকায় তাঁরা দোকান খুলে বসে থাকলেও, ক্রেতারা ঝুঁকি নিয়ে ভেতরে আসেন না। এ কারণে দোকান ভাড়াসহ আনুষঙ্গিক খরচ জোগাতে তাঁদের হিমশিম খেতে হয়। আর এই নালা থেকে পানি নিষ্কাশন হতে না পারায় দুর্গন্ধ আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। এসব এলাকার মানুষ ও পথচারী মশা-মাছির উপদ্রবে অতিষ্ঠ। নতুন রাস্তা নির্মাণ করার জন্য পুরোনো রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় খুঁড়ে রাখা হয়। এতে দুর্ভোগের মাত্রা আরও বেড়ে গেছে। বন্দরের বিকল্প রাস্তা না থাকায় রিকশা ও গাড়ি চলাচলসহ স্কুল, কলেজ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সব কাজকর্মের জন্য রাস্তাটি একমাত্র ভরসা।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজ করা গিয়াস উদ্দিন পলাশ বলেন, ‘কাজল এন্টার প্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজ করছে। ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ড্রেন ও রাস্তা সংস্কারকাজ হচ্ছে। তবে অর্থ না পাওয়ায় কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলেই আমরা আবার দ্রুত কাজ শুরু করব।
উপজেলা প্রকৌশলী ইমতিয়াজ হোসেন রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খালেদা খাতুন রেখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জনসাধারণ ও বাজারের ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগের বিষয়টি দুঃখজনক। উপজেলা প্রকৌশলীকে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে