টিকার লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে বিতণ্ডার জেরে নাজিম খুন

বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭: ১৯
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮: ৫০

বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় নাজিম উদ্দিন খুনের মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি রিমন ওরফে ইমনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে ইমনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদিন ভোরে উপজেলার চকবোচাই গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া ২১ বছর বয়সী রিমন উপজেলার সোন্দাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা।

এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নাজিম খুনের ঘটনায় গাবতলী মডেল থানায় মামলা করা হয়। নিহত নাজিমের মা রাশিদা বেগম এ মামলা করেন। মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়।

অন্য আসামিরা হলেন উপজেলার তরফমেরু দক্ষিণপাড়া গ্রামের ইভান, ইরাশ, রেজাউল, আসিফ, রাব্বী, রকেট; সোন্দাবাড়ী গ্রামের রোহান, তৌহিদ, আল মাহমুদ, শ্রাবণ; চক কাতুলী গ্রামের রহিম বাদশা ও গোড়াদহ গ্রামের শাওন।

গত বুধবার সন্ধ্যায় গাবতলী উপজেলার দাঁড়াইল বাজার এলাকায় ছুরিকাঘাতের শিকার হন নাজিম। পরে ওই দিন রাত পৌনে ৯টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত নাজিম উপজেলার দাঁড়াইল তরফসরতাজ গ্রামের পূর্বপাড়া গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার গাবতলী পাইলট স্কুলের মাঠে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি চলছিল। ওই সময় নাজিমের প্রতিবেশী অন্তর নামের এক যুবকের সঙ্গে আসামি ইরাশের লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এ সময় অন্তর মোবাইল ফোনে নাজিমকে ঘটনাস্থলে আসতে বলেন। অন্তরের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ইরাশকে ধমক দেন নাজিম। এ সময় অভিযুক্ত ইরাশ, রিমনসহ অন্যরা নাজিমের ওপর ক্ষিপ্ত হন এবং তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

এরই জেরে বুধবার সন্ধ্যায় অভিযুক্তরা উপজেলার দাঁড়াইল বাজারে অবস্থান নেন। ওই সময় বাজার এলাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন নাজিম। বাড়ি ফেরার পথে নাজিমের পথ আটকিয়ে তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন আসামিরা। এ ছাড়া লোহার জিআই পাইপ ও রড দিয়েও তাঁকে মারধর করা হয়।

স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে শজিমেক হাসপাতালে পাঠান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক। শজিমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।

বগুড়ার ছিলিমপুর (মেডিকেল) পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. শামীম হোসেন জানান, শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাজিমের মৃত্যু হয়। তাঁর পেটের বাঁ পাশে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল।

গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রিমন ওরফে ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল শুক্রবার দুপুরে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত