আমনের আবাদ এখনো হয়নি ২ হাজার হেক্টরে

নুরুল আমীন রবীন, শরীয়তপুর
প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫: ০৭

শরীয়তপুরে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার ২ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে এখনো আমনের আবাদ করতে পারেননি কৃষকেরা। বৃষ্টি কম হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তবে কৃষি বিভাগ বলছে, এখনো বৃষ্টিপাতের পরিমাণ স্বাভাবিক হলে লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি চাষাবাদ সম্ভব। বৃষ্টির অভাবে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে আমনের সেচের জন্য সেচযন্ত্রের মাধ্যমে পানি দিচ্ছেন কৃষকেরা। ফলে ধানের আবাদে খরচ বাড়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় ১৮ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ২৯ আগস্ট পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে। নির্ধারিত সময়ে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় আবাদের পরিমাণ কমেছে ২ হাজার ২৩০ হেক্টর। শতাংশের হিসাবে যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ৪ শতাংশ কম। আর আমন ধানের ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৮ হাজার ৭৪ মেট্রিক টন। তবে বৃষ্টিপাতের অভাবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

চলতি বছর আগস্ট পর্যন্ত ৮ মাসে ৯৮১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে কৃষি বিভাগ, যা গত বছরের এই সময় পর্যন্ত ছিল ১ হাজার ২০১ মিলিমিটার। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ৮ মাসে গত বছরের তুলনায় ২২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। কৃষকের ফসলের মাঠে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৪৬টি সেচযন্ত্র চালু করেছেন কৃষকেরা। এই সংখ্যা প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেচ ব্যয়সহ সার ও কীটনাশকের মূল্য বৃদ্ধির কারণে কেজিতে ধানের উৎপাদন ১ টাকা পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে।
গোসাইরহাট উপজেলার আলওয়ালপুর ইউনিয়নের কৃষক হামিদ ঘরামী বলেন, ‘বৃষ্টির অভাবে এ বছর আমন বপন করতে পারিনি। ১৯ বিঘা জমির মধ্যে মাত্র ১৩ বিঘায় কোনো রকমের বোনা আমন লাগাইছি।’

জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি এলাকার কৃষক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘পানির অভাবে আমন লাগাইনি। এই বছর জমিন খালি পইড়া রইছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী আগাম শীতকালীন সবজি লাগানোর চিন্তা করতাছি।’শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুস সাত্তার বলেন, এখন পর্যন্ত আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হলেও, কৃষক এখনো আমন বপন ও রোপণ করছেন, তাই লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি অর্জন সম্ভব হবে। সেচের কারণে কৃষকের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে। বৃষ্টির অপেক্ষায় বসে না থেকে কৃষকদের সামান্য পরিমাণে সেচের ব্যবস্থা করে আমন রোপণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে আর সেচের প্রয়োজন হবে না। এ ছাড়া অনাবাদি জমিতে  শীতকালীন আগাম সবজি চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত