হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
রকেট হামলায় গত বুধবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইউক্রেনে আটকা পড়া বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের। এই ক্ষতি এড়ানো যেত বলে বলছেন অনেকেই।
মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, জাহাজ পরিচালনায় বিএসসির সার্বিক অব্যবস্থাপনার কারণে এই মৃত্যু ও রাষ্ট্রীয় মূল্যবান সম্পত্তি এমভি বাংলার সমৃদ্ধির চরম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যুদ্ধকবলিত অঞ্চল ঘোষণার পর তারা (বিএসসি) যদি সেখানে জাহাজটি না পাঠাত, তাহলে জাহাজটিকে এই দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হতো না।
যুদ্ধের ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে অথবা যুদ্ধাবস্থায় আছে—এমন দেশ বা বন্দরে যেতে জাহাজের মাস্টার, মালিক ও ব্যবস্থাপনাকারী বাধ্য নয়। কোনো বন্দরে অথবা দেশে যাওয়ার পর যদি এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা তৈরি হয়, তখন জাহাজটির বন্দর ত্যাগ করার স্বাধীনতা থাকে। এ ক্ষেত্রে চার্টারের (জাহাজ ভাড়া নেওয়া প্রতিষ্ঠান) নির্দেশ অগ্রাহ্য করলে তার জন্য জবাবদিহি করতে হবে না।
বিআইএমসিও কন্ট্রাক্ট অ্যান্ড ক্লজ অধ্যায়ের ওয়ার রিস্ক ক্লজ ফর টাইম চার্টারিং-২০১৩ ধারায় চার্টারিংয়ে থাকা জাহাজ ফিরিয়ে আনতে মালিকপক্ষকে এই স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। তবে ইউক্রেনে আটকা পড়া বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজ পরিচালনায় সেটি অনুসরণ করা হয়নি। এ কারণে জাহাজে রকেট হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন নাবিক হাদিসুর রহমান। সেই সঙ্গে পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে ৩৯ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজটি। ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন জাহাজের আরও ২৮ জন নাবিক।
এ ঘটনায় এখন প্রশ্ন উঠেছে, কার ভুলে এই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে? বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন নাকি ওই জাহাজে থাকা মাস্টারের ভুলে?
তবে বিএসসি থেকে দাবি করা হচ্ছে, ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছার পরপরই জাহাজটিকে ফেরত আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বন্দর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সেই নির্দেশনা পালন করতে পারেননি জাহাজের মাস্টার।
এর আগে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে বহির্নোঙরে অবস্থানরত অবস্থায় বাংলাদেশ সময় গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাহাজটি রকেট হামলার শিকার হয়। রকেট হামলার কারণে জাহাজের নেভিগেশন ব্রিজে আগুন ধরে যায়। ওই দুর্ঘটনায় জাহাজের তৃতীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসিদুর রহমান নিহত হন। পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে জাহাজটি। এরপর গত বৃহস্পতিবার রাতে জাহাজে থাকা বাকি ২৮ নাবিককে বন্দরের উপকূলে বাংকারে সরিয়ে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁদের পোল্যান্ডে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
৩৯ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজটি ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনকে বুঝিয়ে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন (সিএমসি)। তিন বছর আগে বিএসসির বহরে যুক্ত হওয়া জাহাজটি সম্প্রতি তিন মাসের জন্য ডেনমার্কের ডেলটা করপোরেশনের কাছে ভাড়া দেয় বিএসসি। ভাড়া দিলেও সংস্থাটি নিজেই জাহাজটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ছিল। তাই তারা চাইলেই চার্টার পার্টির নির্দেশনা অগ্রাহ্য করতে পারত।
কেননা চার্টার পাটি বিধি অনুযায়ী, কোনো জাহাজ কোম্পানি তার জাহাজের নিরাপত্তার জন্য যুদ্ধকবলিত এবং জলদস্যুপ্রবণ এলাকাতে জাহাজ গমনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি বা আরোপ করতে পারে। কিন্তু বিএসসি সেটি না করে ২১ ফেব্রুয়ারি জাহাজটিকে তুরস্ক থেকে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে যাওয়ার অনুমতি দেয়। অথচ তার সাত দিন আগে (১৫ ফেব্রুয়ারি) জয়েন্ট ওয়ার কমিটি জায়গাটিকে যুদ্ধকবলিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে। এই ক্ষেত্রে জাহাজমালিক কর্তৃপক্ষ বিএসসির পক্ষ থেকে কে জাহাজটিকে যুদ্ধকবলিত এলাকায় গমনের অনুমতি দিল? এটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে জাহাজটি বিএসসির নিজের প্রয়োজনে তৈরি করার পর কেন সেটি চার্টারে (ভাড়ায়) দেওয়া হয়েছে?
শুধু তা-ই নয়, জাহাজটি যুদ্ধকবলিত এলাকায় আটকে যাওয়ার পর এর নাবিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রেও গাফিলতি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাবিকেরা জানিয়েছেন, বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে আটকা পড়া নাবিকদের সরিয়ে আনার জন্য বিএসসি তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যে কারণে হাদিসুর রহমান প্রাণ হারিয়েছেন। জাহাজটি সেখানে আটকা পড়ার পরপরই বিএসসির উচিত ছিল নাবিকদের সরিয়ে নেওয়া। কিন্তু তারা সেটিও করেনি।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাখাওয়াত হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যুদ্ধকবলিত অঞ্চল ঘোষণার পর ইউক্রেনে জাহাজ পাঠানোটাই ভুল ছিল। যেই ভুলটি করেছে বিএসসি। তাই সাধারণ দৃষ্টিতেই বলা যায়, এই দায় বিএসসির। বিএসসি চাইলে জাহাজটি আটকা পড়ার পরদিনই নাবিকদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে পারত, কিন্তু তারা সেটি করেনি। এরপর যখন একজন নাবিক মারা গেলেন, তখন অন্যসব নাবিককে সরিয়ে আনা হলো।’
শাখাওয়াত হোসাইন আরও বলেন, ‘একই চার্টারের কাছে বিএসসির আরও একটি জাহাজ ছিল। তারা ওই জাহাজটি ইউক্রেনে নিতে চেয়েছিল, কিন্তু ২৬ ফেব্রুয়ারি বিএসসি তাদের ওই জাহাজটি সেখানে নিতে অনুমতি দেয়নি। এটি প্রমাণ করে চার্টারের নির্দেশনা বাতিল করার ক্ষমতা বিএসসির ছিল। কিন্তু তারা এমভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটির ক্ষেত্রে সেটি অনুসরণ করেনি। যেই কারণে আজ এ ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে বিএসসির নির্বাহী পরিচালক (বাণিজ্য) পীযূষ দত্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে পীযূষ দত্ত বলেন, ‘মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন এ ধরনের একটি অভিযোগ তুলেছে শুনেছি। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে আমার কিছু বলার নেই। বিষয়টি নিয়ে আমি আমাদের এমডির সঙ্গে কথা বলব। এরপর এ বিষয়ে আমরা আপনাদের জানাব।’
তবে গত বৃহস্পতিবার পীযূষ দত্ত আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, ‘চার্টার পার্টির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধের ঝুঁকির প্রিমিয়ায় নিয়ে ইনসুরাররা কোথাও যাওয়ার অনুমতি দিলে জাহাজের যুদ্ধকবলিত এলাকায় যেতে বাধা নেই। এরপরও জাহাজটি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছার পরই সেখান থেকে ফিরে আসার জন্য বলা হয়েছিল। বন্দর বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি জাহাজটি বের হওয়ার পথে মাইন পোঁতা থাকার খবর থাকায় সেটি সম্ভব হয়নি।’
রকেট হামলায় গত বুধবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইউক্রেনে আটকা পড়া বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের। এই ক্ষতি এড়ানো যেত বলে বলছেন অনেকেই।
মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, জাহাজ পরিচালনায় বিএসসির সার্বিক অব্যবস্থাপনার কারণে এই মৃত্যু ও রাষ্ট্রীয় মূল্যবান সম্পত্তি এমভি বাংলার সমৃদ্ধির চরম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যুদ্ধকবলিত অঞ্চল ঘোষণার পর তারা (বিএসসি) যদি সেখানে জাহাজটি না পাঠাত, তাহলে জাহাজটিকে এই দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হতো না।
যুদ্ধের ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে অথবা যুদ্ধাবস্থায় আছে—এমন দেশ বা বন্দরে যেতে জাহাজের মাস্টার, মালিক ও ব্যবস্থাপনাকারী বাধ্য নয়। কোনো বন্দরে অথবা দেশে যাওয়ার পর যদি এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা তৈরি হয়, তখন জাহাজটির বন্দর ত্যাগ করার স্বাধীনতা থাকে। এ ক্ষেত্রে চার্টারের (জাহাজ ভাড়া নেওয়া প্রতিষ্ঠান) নির্দেশ অগ্রাহ্য করলে তার জন্য জবাবদিহি করতে হবে না।
বিআইএমসিও কন্ট্রাক্ট অ্যান্ড ক্লজ অধ্যায়ের ওয়ার রিস্ক ক্লজ ফর টাইম চার্টারিং-২০১৩ ধারায় চার্টারিংয়ে থাকা জাহাজ ফিরিয়ে আনতে মালিকপক্ষকে এই স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। তবে ইউক্রেনে আটকা পড়া বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজ পরিচালনায় সেটি অনুসরণ করা হয়নি। এ কারণে জাহাজে রকেট হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন নাবিক হাদিসুর রহমান। সেই সঙ্গে পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে ৩৯ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজটি। ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন জাহাজের আরও ২৮ জন নাবিক।
এ ঘটনায় এখন প্রশ্ন উঠেছে, কার ভুলে এই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে? বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন নাকি ওই জাহাজে থাকা মাস্টারের ভুলে?
তবে বিএসসি থেকে দাবি করা হচ্ছে, ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছার পরপরই জাহাজটিকে ফেরত আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বন্দর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সেই নির্দেশনা পালন করতে পারেননি জাহাজের মাস্টার।
এর আগে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে বহির্নোঙরে অবস্থানরত অবস্থায় বাংলাদেশ সময় গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাহাজটি রকেট হামলার শিকার হয়। রকেট হামলার কারণে জাহাজের নেভিগেশন ব্রিজে আগুন ধরে যায়। ওই দুর্ঘটনায় জাহাজের তৃতীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসিদুর রহমান নিহত হন। পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে জাহাজটি। এরপর গত বৃহস্পতিবার রাতে জাহাজে থাকা বাকি ২৮ নাবিককে বন্দরের উপকূলে বাংকারে সরিয়ে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁদের পোল্যান্ডে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
৩৯ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজটি ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনকে বুঝিয়ে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন (সিএমসি)। তিন বছর আগে বিএসসির বহরে যুক্ত হওয়া জাহাজটি সম্প্রতি তিন মাসের জন্য ডেনমার্কের ডেলটা করপোরেশনের কাছে ভাড়া দেয় বিএসসি। ভাড়া দিলেও সংস্থাটি নিজেই জাহাজটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ছিল। তাই তারা চাইলেই চার্টার পার্টির নির্দেশনা অগ্রাহ্য করতে পারত।
কেননা চার্টার পাটি বিধি অনুযায়ী, কোনো জাহাজ কোম্পানি তার জাহাজের নিরাপত্তার জন্য যুদ্ধকবলিত এবং জলদস্যুপ্রবণ এলাকাতে জাহাজ গমনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি বা আরোপ করতে পারে। কিন্তু বিএসসি সেটি না করে ২১ ফেব্রুয়ারি জাহাজটিকে তুরস্ক থেকে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে যাওয়ার অনুমতি দেয়। অথচ তার সাত দিন আগে (১৫ ফেব্রুয়ারি) জয়েন্ট ওয়ার কমিটি জায়গাটিকে যুদ্ধকবলিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে। এই ক্ষেত্রে জাহাজমালিক কর্তৃপক্ষ বিএসসির পক্ষ থেকে কে জাহাজটিকে যুদ্ধকবলিত এলাকায় গমনের অনুমতি দিল? এটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে জাহাজটি বিএসসির নিজের প্রয়োজনে তৈরি করার পর কেন সেটি চার্টারে (ভাড়ায়) দেওয়া হয়েছে?
শুধু তা-ই নয়, জাহাজটি যুদ্ধকবলিত এলাকায় আটকে যাওয়ার পর এর নাবিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রেও গাফিলতি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাবিকেরা জানিয়েছেন, বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে আটকা পড়া নাবিকদের সরিয়ে আনার জন্য বিএসসি তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যে কারণে হাদিসুর রহমান প্রাণ হারিয়েছেন। জাহাজটি সেখানে আটকা পড়ার পরপরই বিএসসির উচিত ছিল নাবিকদের সরিয়ে নেওয়া। কিন্তু তারা সেটিও করেনি।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাখাওয়াত হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যুদ্ধকবলিত অঞ্চল ঘোষণার পর ইউক্রেনে জাহাজ পাঠানোটাই ভুল ছিল। যেই ভুলটি করেছে বিএসসি। তাই সাধারণ দৃষ্টিতেই বলা যায়, এই দায় বিএসসির। বিএসসি চাইলে জাহাজটি আটকা পড়ার পরদিনই নাবিকদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে পারত, কিন্তু তারা সেটি করেনি। এরপর যখন একজন নাবিক মারা গেলেন, তখন অন্যসব নাবিককে সরিয়ে আনা হলো।’
শাখাওয়াত হোসাইন আরও বলেন, ‘একই চার্টারের কাছে বিএসসির আরও একটি জাহাজ ছিল। তারা ওই জাহাজটি ইউক্রেনে নিতে চেয়েছিল, কিন্তু ২৬ ফেব্রুয়ারি বিএসসি তাদের ওই জাহাজটি সেখানে নিতে অনুমতি দেয়নি। এটি প্রমাণ করে চার্টারের নির্দেশনা বাতিল করার ক্ষমতা বিএসসির ছিল। কিন্তু তারা এমভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটির ক্ষেত্রে সেটি অনুসরণ করেনি। যেই কারণে আজ এ ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে বিএসসির নির্বাহী পরিচালক (বাণিজ্য) পীযূষ দত্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে পীযূষ দত্ত বলেন, ‘মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন এ ধরনের একটি অভিযোগ তুলেছে শুনেছি। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে আমার কিছু বলার নেই। বিষয়টি নিয়ে আমি আমাদের এমডির সঙ্গে কথা বলব। এরপর এ বিষয়ে আমরা আপনাদের জানাব।’
তবে গত বৃহস্পতিবার পীযূষ দত্ত আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, ‘চার্টার পার্টির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধের ঝুঁকির প্রিমিয়ায় নিয়ে ইনসুরাররা কোথাও যাওয়ার অনুমতি দিলে জাহাজের যুদ্ধকবলিত এলাকায় যেতে বাধা নেই। এরপরও জাহাজটি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছার পরই সেখান থেকে ফিরে আসার জন্য বলা হয়েছিল। বন্দর বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি জাহাজটি বের হওয়ার পথে মাইন পোঁতা থাকার খবর থাকায় সেটি সম্ভব হয়নি।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে