বোরহান জাবেদ, চট্টগ্রাম থেকে
একটু আগে হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে ঢাকা ডমিনেটরস। বোলিংয়ে সর্বস্ব দিয়েও জয়ী দলে থাকা হয়নি তাসকিন আহমেদের। লো-স্কোরিং ম্যাচে তাঁর দুই পেস বোলিং সঙ্গী সালমান ইরশাদ আর আল আমিন হোসেন যে ওভারপ্রতি ৯.২০ ও ১২.৫০ রান করে দিয়েছেন। ১২৯ রানের লক্ষ্য দেওয়া ম্যাচে একটু বেশিই খরচে বোলিং।
সেখানে তাসকিনের ওভারপ্রতি ৩ রানও সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ঢাকাকে জেতাতে যথেষ্ট ছিল না। দুই স্পেলে নিজের ৪ ওভারের কোটা শেষ করেছেন তাসকিন। পাওয়ার প্লের প্রথম স্পেলে ঢাকার ব্যাটাররা তাঁর কাছ থেকে ৪ রানের বেশি নিতে পারেননি। ১৬তম ওভারে আবার যখন বোলিংয়ে ফেরেন, ম্যাচটা সিলেটের মুঠোয়। তাসকিনের প্রথম ৩ বলে ৩ রান, পরের বলে আরিফুল হকের সরাসরি থ্রোয়ে ইমাদ ওয়াসিম রানআউট। পঞ্চম বলে সিঙ্গেল, শেষ বলে বাই থেকে ৪ রান। তাসকিনের চোখে-মুখে স্বাভাবিকভাবেই হতাশা।
১৮তম ওভারে তাসকিন আরও চেপে ধরেন সিলেটকে। ঘণ্টায় টানা ১৪০ কিলোমিটারের ওপরে তোপ দাগলেন। আগুনে বোলিংয়ে দিলেন ৪ রান। এর মধ্যে প্রথম বলে গুরুত্বপূর্ণ মুশফিকের উইকেট তো আছেই। শেষ ২ ওভারে সিলেটের দরকার ২০ রান। টি-টোয়েন্টির বিবেচনায় কঠিন কিছু না, কিন্তু চট্টগ্রামে দিনের ম্যাচে ধারাবাহিক লো-স্কোর, কন্ডিশন আর ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় সিলেটের কাজটা সহজ ছিল না। ১৯তম ওভারে থিসেরা পেরারা আর আকবর আলী অবশ্য ম্যাচের আর কোনো নাটকীয়তা থাকতে দেননি। পাকিস্তানি পেসার সালমানের ওভারেই তুলে নেন ১৮ রান।
শেষ ওভারে সৌম্য সরকারকে ছক্কা মেরে ৪ বল আগেই ম্যাচের ইতি টানেন পেরারা। সিলেটের টানা পাঁচ জয়ের বিপরীতে ঢাকার টানা তিন হার। দুর্দান্ত বোলিং, তারপর এমন একটা সমাপ্তি; তাসকিনকে হতাশা ঘিরে ধরাই স্বাভাবিক ছিল। অথচ ম্যাচ শেষের খানিক পরেই তাসকিনের মুখেই কি না চওড়া হাসি। কারণ আছে নিশ্চয়ই। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব তাঁর অন্য সহকর্মীর থাকলেও ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে মাঠের দিকে যান কার্টলি অ্যামব্রোস। ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি দুই দলের ডাগআউটের মাঝামাঝি দাঁড়ালেন। বাংলাদেশে আসার পর নিজের কাজের বাইরে একটু ভিড়ে কমই আসছিলেন। যখনই এসেছেন ছবি শিকারিদের পাল্লায় পড়তে দেখা গেছে তাঁকে।
পুরস্কার বিতরণের পাশেই অ্যামব্রোসের সান্নিধ্যে এলেন তাসকিন। তাসকিনের মুখে চওড়া হাসির রহস্য সেখানেই। দুজনের আলাপন চলল মিনেট পাঁচেক। এর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সেই আলোচনার সঙ্গী হলেন মাশরাফি। দারুণ একটা ছবিও দাঁড়িয়ে গেল তাতে। এক পাশে মাশরাফি।
মাঝে অ্যামব্রোস। আরেক পাশে তাসকিন। দুই পাশে বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুই প্রজন্মের পেস বোলিংয়ের দুই সারথি। মাঝে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সোনালি যুগের স্বপ্নসারথি, বিশ্ব ক্রিকেটের ভয়ংকর পেস বোলারদের ছোট্ট তালিকার সবচেয়ে ওপরের একজন। এক ফ্রেমে ১ হাজার ৫১ আন্তর্জাতিক উইকেট।
এমন একজনকে কাছে পেয়ে নিশ্চয়ই বোলিং নিয়ে টোটকা নিতে ভোলেননি তাসকিন। বড় ভাইসুলভ মাশরাফির উপস্থিতি সেখানে হয়তো আরও সাহসের সঞ্চার করেছে তাঁকে। অমন একটা হারের পর মন ভালো করতে তাসকিন নিশ্চয়ই এর চেয়ে বেশি কিছু চাইতেন না!
অ্যামব্রোসের সঙ্গে কথা বলে তাসকিনের ভালো লাগলেও পয়েন্ট টেবিলে তাঁর দলের অবস্থান খুব একটা ভালো নয়। ৪ ম্যাচে মাত্র ১ জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে নিচের দিকেই অবস্থান ঢাকার। এখানে বিপরীত ছবি সিলেটে। মাশরাফির নেতৃত্বে তাদের জয়রথ ছুটছেই। ৫ ম্যাচে পূর্ণ ১০ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে সিলেট। জয়ের ধারা ধরে রাখতে পারলে চট্টগ্রামেই শেষ চারের কাজ প্রায় সেরে ফেলতে পারবেন মাশরাফিরা।
একটু আগে হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে ঢাকা ডমিনেটরস। বোলিংয়ে সর্বস্ব দিয়েও জয়ী দলে থাকা হয়নি তাসকিন আহমেদের। লো-স্কোরিং ম্যাচে তাঁর দুই পেস বোলিং সঙ্গী সালমান ইরশাদ আর আল আমিন হোসেন যে ওভারপ্রতি ৯.২০ ও ১২.৫০ রান করে দিয়েছেন। ১২৯ রানের লক্ষ্য দেওয়া ম্যাচে একটু বেশিই খরচে বোলিং।
সেখানে তাসকিনের ওভারপ্রতি ৩ রানও সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ঢাকাকে জেতাতে যথেষ্ট ছিল না। দুই স্পেলে নিজের ৪ ওভারের কোটা শেষ করেছেন তাসকিন। পাওয়ার প্লের প্রথম স্পেলে ঢাকার ব্যাটাররা তাঁর কাছ থেকে ৪ রানের বেশি নিতে পারেননি। ১৬তম ওভারে আবার যখন বোলিংয়ে ফেরেন, ম্যাচটা সিলেটের মুঠোয়। তাসকিনের প্রথম ৩ বলে ৩ রান, পরের বলে আরিফুল হকের সরাসরি থ্রোয়ে ইমাদ ওয়াসিম রানআউট। পঞ্চম বলে সিঙ্গেল, শেষ বলে বাই থেকে ৪ রান। তাসকিনের চোখে-মুখে স্বাভাবিকভাবেই হতাশা।
১৮তম ওভারে তাসকিন আরও চেপে ধরেন সিলেটকে। ঘণ্টায় টানা ১৪০ কিলোমিটারের ওপরে তোপ দাগলেন। আগুনে বোলিংয়ে দিলেন ৪ রান। এর মধ্যে প্রথম বলে গুরুত্বপূর্ণ মুশফিকের উইকেট তো আছেই। শেষ ২ ওভারে সিলেটের দরকার ২০ রান। টি-টোয়েন্টির বিবেচনায় কঠিন কিছু না, কিন্তু চট্টগ্রামে দিনের ম্যাচে ধারাবাহিক লো-স্কোর, কন্ডিশন আর ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় সিলেটের কাজটা সহজ ছিল না। ১৯তম ওভারে থিসেরা পেরারা আর আকবর আলী অবশ্য ম্যাচের আর কোনো নাটকীয়তা থাকতে দেননি। পাকিস্তানি পেসার সালমানের ওভারেই তুলে নেন ১৮ রান।
শেষ ওভারে সৌম্য সরকারকে ছক্কা মেরে ৪ বল আগেই ম্যাচের ইতি টানেন পেরারা। সিলেটের টানা পাঁচ জয়ের বিপরীতে ঢাকার টানা তিন হার। দুর্দান্ত বোলিং, তারপর এমন একটা সমাপ্তি; তাসকিনকে হতাশা ঘিরে ধরাই স্বাভাবিক ছিল। অথচ ম্যাচ শেষের খানিক পরেই তাসকিনের মুখেই কি না চওড়া হাসি। কারণ আছে নিশ্চয়ই। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব তাঁর অন্য সহকর্মীর থাকলেও ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে মাঠের দিকে যান কার্টলি অ্যামব্রোস। ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি দুই দলের ডাগআউটের মাঝামাঝি দাঁড়ালেন। বাংলাদেশে আসার পর নিজের কাজের বাইরে একটু ভিড়ে কমই আসছিলেন। যখনই এসেছেন ছবি শিকারিদের পাল্লায় পড়তে দেখা গেছে তাঁকে।
পুরস্কার বিতরণের পাশেই অ্যামব্রোসের সান্নিধ্যে এলেন তাসকিন। তাসকিনের মুখে চওড়া হাসির রহস্য সেখানেই। দুজনের আলাপন চলল মিনেট পাঁচেক। এর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সেই আলোচনার সঙ্গী হলেন মাশরাফি। দারুণ একটা ছবিও দাঁড়িয়ে গেল তাতে। এক পাশে মাশরাফি।
মাঝে অ্যামব্রোস। আরেক পাশে তাসকিন। দুই পাশে বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুই প্রজন্মের পেস বোলিংয়ের দুই সারথি। মাঝে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সোনালি যুগের স্বপ্নসারথি, বিশ্ব ক্রিকেটের ভয়ংকর পেস বোলারদের ছোট্ট তালিকার সবচেয়ে ওপরের একজন। এক ফ্রেমে ১ হাজার ৫১ আন্তর্জাতিক উইকেট।
এমন একজনকে কাছে পেয়ে নিশ্চয়ই বোলিং নিয়ে টোটকা নিতে ভোলেননি তাসকিন। বড় ভাইসুলভ মাশরাফির উপস্থিতি সেখানে হয়তো আরও সাহসের সঞ্চার করেছে তাঁকে। অমন একটা হারের পর মন ভালো করতে তাসকিন নিশ্চয়ই এর চেয়ে বেশি কিছু চাইতেন না!
অ্যামব্রোসের সঙ্গে কথা বলে তাসকিনের ভালো লাগলেও পয়েন্ট টেবিলে তাঁর দলের অবস্থান খুব একটা ভালো নয়। ৪ ম্যাচে মাত্র ১ জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে নিচের দিকেই অবস্থান ঢাকার। এখানে বিপরীত ছবি সিলেটে। মাশরাফির নেতৃত্বে তাদের জয়রথ ছুটছেই। ৫ ম্যাচে পূর্ণ ১০ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে সিলেট। জয়ের ধারা ধরে রাখতে পারলে চট্টগ্রামেই শেষ চারের কাজ প্রায় সেরে ফেলতে পারবেন মাশরাফিরা।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে