আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর
ঘিওরে পানিতে বন্যা সহিষ্ণু আমন ধান চাষে সফলতা এসেছে কৃষকের। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে উপজেলার কমপক্ষে দুই শতাধিক কৃষক এর সুফল পাবেন। বিলুপ্তপ্রায় কয়েক প্রজাতির ধান চাষে সফল হয়েছে উপজেলার নালী ইউনিয়নের কৃষকেরা।
জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকদের উদ্ভাবিত এই পদ্ধতিতে কৃষকেরা ক্ষতি কাটিয়ে লাভবান হবেন। বিলুপ্তপ্রায় বন্যা সহিষ্ণু ধান পানিতে ডুবলেও ফসল নষ্ট হয় কম। রোগবালাই ও পোকার আক্রমণ কম হয়। এ ধানের ফলনও হয় বেশি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার নিম্ন অঞ্চল খ্যাত নালী ইউনিয়নের কুন্দরিয়া, হেলাচিয়া, বাঠুইমুরী, নালী, গাংডুবী, দিয়াইল, কেল্লাই, মাশাইল, নিমতা গ্রামে গভীর পানিতে ধান চাষ করেছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, আমন ধান মূলত দুই প্রকার। রোপা আমন ও বোনা আমন। রোপা আমনের চারা প্রস্তুত করে শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে রোপণ করা হয়। এলাকা ভেদে কার্তিক-অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে পাকা ধান কাটা হয়ে থাকে।
গত বছর হঠাৎ বন্যার কারণে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। আমনের জাত সংগ্রহ করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। পরে স্থানীয় কৃষকেরা অন্যান্য জেলা থেকে বন্যা সহিষ্ণু এসব ধানের বীজ সংগ্রহ করেন।
বাঠইমুরী গ্রামের কৃষক মো. আজমত আলী (৬০) বলেন, ‘আমাদের কুন্দরিয়া ও হেলাচিয়া মাঠে ঘিওর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আমনের চাষ হয়। আমরা আমনের চাষ টিকিয়ে রাখছি। পাবনা জেলার কাশিনাথপুর হাট থেকে আমনের ভাওয়াইল্যা, জুল দিঘা ও মুল্লা দিঘা জাত কিনে আনা হয়।’
কুন্দরিয়া কৃষক সংগঠনের সভাপতি সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘অতীতে কুন্দরিয়ার মাঠে চার থেকে পাঁচটি জাতের আমন ধান চাষ হতো। আর আউশের ছিল তিন থেকে চারটি জাত।’
কৃষি উন্নয়ন ও প্রাণবৈচিত্র্য সংস্থার বারসিকের ঘিওর আঞ্চলিক কর্মকর্তা সুবীর সরকার বলেন, ‘বারসিক স্থানীয় জাত কৃষকের মধ্যে টিকিয়ে রাখার জন্য কৃষকদের নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে হঠাৎ বন্যা হওয়ায় আমনের দিঘা ও ভাওয়াইল্যা তেমন ভালো হচ্ছে না। ১৯৯৮ সালের বন্যার এখান কার জুলদিঘা, মুল্ল্যাদিঘা ও ভাওয়াইল্যার আসল জাত হারিয়ে যায়। এখন পাবনা ও ফরিদপুরের জাতের দিঘা চাষ হচ্ছে। আমন জাতের ধান গাংডুবী, ঠাটাংগা, দিয়াইল ও নিমতা গ্রামে কিছুটা দেখা যায়।’
বাঠইমুরী গ্রামের কৃষক শফিক মোল্লা (৬২) হোসেন বলেন, ‘জমিতে যেভাবে রাসায়নিক সার ব্যবহার হয়, যা খুবই ক্ষতিকর। জমির প্রাণ বাঁচাতে আমরা আমন জাতের ধান চাষ করি। এ বছর আমরা পাঁচ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত ধানের অবস্থা ভালো কোনো রোগবালাই আক্রমণ করে নাই। সপ্তাহ দু-এক পর ধানের শিষ বের হবে। আমরা আশা করছি, এ বছর ধান ভালো হবে।’
হেলাচিয়া গ্রামের কৃষক কিতাব আলী (৫৫) বলেন, ‘আমনের বরন, বাড়ইঝাক, কইতুরমনি, দিঘা, ভাওয়াইল্যা ধানের ভাত খেলে অসুখ-বিসুখ কম হয়। মানুষ বেশি ধান উৎপাদনের জন্য সার ও বিষ বেশি বেশি জমিতে দিয়ে থাকে—এতে জমির উর্বরাশক্তি কমে যাচ্ছে। মানুষের দেহে অসুখ-বিসুখ বেশি দেখা দিচ্ছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিপুল হোসেন বলেন, ‘উপজেলার নিম্নাঞ্চলে গভীর পানিতে আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। বিলুপ্তপ্রায় এমন কয়েকটি জাতের আমন ধান চাষে কৃষকেরাও খুশি। বর্তমান সরকার নদী ও খাল খননের মাধ্যমে নিম্ন অঞ্চলের বর্ষাকালের ফসল নষ্ট হওয়া কিছুটা হলেও কমে আসবে। কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত এসব অঞ্চলে কৃষকদের সমস্যার সমাধান ও তাঁদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছেন।’
ঘিওরে পানিতে বন্যা সহিষ্ণু আমন ধান চাষে সফলতা এসেছে কৃষকের। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে উপজেলার কমপক্ষে দুই শতাধিক কৃষক এর সুফল পাবেন। বিলুপ্তপ্রায় কয়েক প্রজাতির ধান চাষে সফল হয়েছে উপজেলার নালী ইউনিয়নের কৃষকেরা।
জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকদের উদ্ভাবিত এই পদ্ধতিতে কৃষকেরা ক্ষতি কাটিয়ে লাভবান হবেন। বিলুপ্তপ্রায় বন্যা সহিষ্ণু ধান পানিতে ডুবলেও ফসল নষ্ট হয় কম। রোগবালাই ও পোকার আক্রমণ কম হয়। এ ধানের ফলনও হয় বেশি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার নিম্ন অঞ্চল খ্যাত নালী ইউনিয়নের কুন্দরিয়া, হেলাচিয়া, বাঠুইমুরী, নালী, গাংডুবী, দিয়াইল, কেল্লাই, মাশাইল, নিমতা গ্রামে গভীর পানিতে ধান চাষ করেছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, আমন ধান মূলত দুই প্রকার। রোপা আমন ও বোনা আমন। রোপা আমনের চারা প্রস্তুত করে শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে রোপণ করা হয়। এলাকা ভেদে কার্তিক-অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে পাকা ধান কাটা হয়ে থাকে।
গত বছর হঠাৎ বন্যার কারণে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। আমনের জাত সংগ্রহ করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। পরে স্থানীয় কৃষকেরা অন্যান্য জেলা থেকে বন্যা সহিষ্ণু এসব ধানের বীজ সংগ্রহ করেন।
বাঠইমুরী গ্রামের কৃষক মো. আজমত আলী (৬০) বলেন, ‘আমাদের কুন্দরিয়া ও হেলাচিয়া মাঠে ঘিওর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আমনের চাষ হয়। আমরা আমনের চাষ টিকিয়ে রাখছি। পাবনা জেলার কাশিনাথপুর হাট থেকে আমনের ভাওয়াইল্যা, জুল দিঘা ও মুল্লা দিঘা জাত কিনে আনা হয়।’
কুন্দরিয়া কৃষক সংগঠনের সভাপতি সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘অতীতে কুন্দরিয়ার মাঠে চার থেকে পাঁচটি জাতের আমন ধান চাষ হতো। আর আউশের ছিল তিন থেকে চারটি জাত।’
কৃষি উন্নয়ন ও প্রাণবৈচিত্র্য সংস্থার বারসিকের ঘিওর আঞ্চলিক কর্মকর্তা সুবীর সরকার বলেন, ‘বারসিক স্থানীয় জাত কৃষকের মধ্যে টিকিয়ে রাখার জন্য কৃষকদের নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে হঠাৎ বন্যা হওয়ায় আমনের দিঘা ও ভাওয়াইল্যা তেমন ভালো হচ্ছে না। ১৯৯৮ সালের বন্যার এখান কার জুলদিঘা, মুল্ল্যাদিঘা ও ভাওয়াইল্যার আসল জাত হারিয়ে যায়। এখন পাবনা ও ফরিদপুরের জাতের দিঘা চাষ হচ্ছে। আমন জাতের ধান গাংডুবী, ঠাটাংগা, দিয়াইল ও নিমতা গ্রামে কিছুটা দেখা যায়।’
বাঠইমুরী গ্রামের কৃষক শফিক মোল্লা (৬২) হোসেন বলেন, ‘জমিতে যেভাবে রাসায়নিক সার ব্যবহার হয়, যা খুবই ক্ষতিকর। জমির প্রাণ বাঁচাতে আমরা আমন জাতের ধান চাষ করি। এ বছর আমরা পাঁচ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত ধানের অবস্থা ভালো কোনো রোগবালাই আক্রমণ করে নাই। সপ্তাহ দু-এক পর ধানের শিষ বের হবে। আমরা আশা করছি, এ বছর ধান ভালো হবে।’
হেলাচিয়া গ্রামের কৃষক কিতাব আলী (৫৫) বলেন, ‘আমনের বরন, বাড়ইঝাক, কইতুরমনি, দিঘা, ভাওয়াইল্যা ধানের ভাত খেলে অসুখ-বিসুখ কম হয়। মানুষ বেশি ধান উৎপাদনের জন্য সার ও বিষ বেশি বেশি জমিতে দিয়ে থাকে—এতে জমির উর্বরাশক্তি কমে যাচ্ছে। মানুষের দেহে অসুখ-বিসুখ বেশি দেখা দিচ্ছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিপুল হোসেন বলেন, ‘উপজেলার নিম্নাঞ্চলে গভীর পানিতে আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। বিলুপ্তপ্রায় এমন কয়েকটি জাতের আমন ধান চাষে কৃষকেরাও খুশি। বর্তমান সরকার নদী ও খাল খননের মাধ্যমে নিম্ন অঞ্চলের বর্ষাকালের ফসল নষ্ট হওয়া কিছুটা হলেও কমে আসবে। কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত এসব অঞ্চলে কৃষকদের সমস্যার সমাধান ও তাঁদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছেন।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে