সিলেট প্রতিনিধি
নানা শঙ্কা ও উদ্বেগের মধ্যেই সিলেটের ৩ উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচন। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় নিজ দলের ১৪ বিদ্রোহীর সঙ্গে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের। তাঁদের নিয়েই নৌকার প্রার্থীদের যত শঙ্কা।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার ইউনিয়নের ভোটার মুবিন খান বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচন হওয়ায় ভোট উৎসবমুখর হয়। তবে এখানে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থী থাকায় কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করছি আমরা।’
একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় উৎসবমুখর পরিবেশের পাশাপাশি প্রভাব প্রতিপত্তি বিস্তার নিয়ে দেখা দিয়েছে সহিংসতার শঙ্কাও। তবে বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ৫ ইউপি, গোয়াইনঘাট উপজেলার ৬ ইউপি এবং জৈন্তাপুর উপজেলার ৫ ইউপিতে তৃতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ হবে আজ। ১৬ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৯২ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৬৫ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৬২৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৫৪ কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ৩ লাখ ১০ হাজার ৬৫৫ জন ভোটার।
দল প্রকাশ্যে নির্বাচনে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্রের মোড়কে তৃতীয় ধাপের এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অন্তত ৩২ জন বিএনপি নেতা প্রার্থী হয়েছেন। দলীয় প্রতীক কিংবা প্রকাশ্যে কেউ বিএনপির ব্যানারে প্রচার-প্রচারণা না চালালেও তৃণমূল নেতারা ঠিকই আছেন ভোটের মাঠে। ফলে জয় পরাজয়ে বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠছেন বিএনপির এসব নেতা।
এদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীরা। তাঁদের নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের ১০ নেতাকে বহিষ্কারও করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন-গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, ফতেহপুর ইউপিতে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক, ডৌবাড়ি ইউপিতে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী এম নিজাম উদ্দিন, নন্দীরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম এবং উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও লেঙ্গুরা ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া রাসেল।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম ইউপিতে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান, জালালপুর ইউপিতে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ নেছারুল হক বুস্তান, মোগলাবাজার ইউপিতে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সাইস্তা, মোগলাবাজার ইউপিতে আরেক বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শামিনুল হক শেবুল, দাউদপুর ইউপিতে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম আলম এবং জৈন্তপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউপিতে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুর রশিদ।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান বলেন, ‘তৃণমূলের পছন্দের ভিত্তিতেই সব প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের পছন্দে প্রার্থী মনোনয়নের পরও যাঁরা বিদ্রোহী হয়েছেন তাঁদের পদসহ বহিষ্কার করেছি। আর কখনো তাঁরা দলেও ফিরতে পারবেন না। বহিষ্কার করে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি।’
সিলেট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান বলেন, স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থীরা কিছু প্রভাব প্রতিপত্তি খাটাতে চান। তবে প্রশাসন কাউকেই কোনো সুযোগ দেবে না।
নানা শঙ্কা ও উদ্বেগের মধ্যেই সিলেটের ৩ উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচন। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় নিজ দলের ১৪ বিদ্রোহীর সঙ্গে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের। তাঁদের নিয়েই নৌকার প্রার্থীদের যত শঙ্কা।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার ইউনিয়নের ভোটার মুবিন খান বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচন হওয়ায় ভোট উৎসবমুখর হয়। তবে এখানে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থী থাকায় কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করছি আমরা।’
একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় উৎসবমুখর পরিবেশের পাশাপাশি প্রভাব প্রতিপত্তি বিস্তার নিয়ে দেখা দিয়েছে সহিংসতার শঙ্কাও। তবে বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ৫ ইউপি, গোয়াইনঘাট উপজেলার ৬ ইউপি এবং জৈন্তাপুর উপজেলার ৫ ইউপিতে তৃতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ হবে আজ। ১৬ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৯২ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৬৫ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৬২৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৫৪ কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ৩ লাখ ১০ হাজার ৬৫৫ জন ভোটার।
দল প্রকাশ্যে নির্বাচনে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্রের মোড়কে তৃতীয় ধাপের এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অন্তত ৩২ জন বিএনপি নেতা প্রার্থী হয়েছেন। দলীয় প্রতীক কিংবা প্রকাশ্যে কেউ বিএনপির ব্যানারে প্রচার-প্রচারণা না চালালেও তৃণমূল নেতারা ঠিকই আছেন ভোটের মাঠে। ফলে জয় পরাজয়ে বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠছেন বিএনপির এসব নেতা।
এদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীরা। তাঁদের নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের ১০ নেতাকে বহিষ্কারও করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন-গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, ফতেহপুর ইউপিতে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক, ডৌবাড়ি ইউপিতে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী এম নিজাম উদ্দিন, নন্দীরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম এবং উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও লেঙ্গুরা ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া রাসেল।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম ইউপিতে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান, জালালপুর ইউপিতে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ নেছারুল হক বুস্তান, মোগলাবাজার ইউপিতে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সাইস্তা, মোগলাবাজার ইউপিতে আরেক বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শামিনুল হক শেবুল, দাউদপুর ইউপিতে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম আলম এবং জৈন্তপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউপিতে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুর রশিদ।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান বলেন, ‘তৃণমূলের পছন্দের ভিত্তিতেই সব প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের পছন্দে প্রার্থী মনোনয়নের পরও যাঁরা বিদ্রোহী হয়েছেন তাঁদের পদসহ বহিষ্কার করেছি। আর কখনো তাঁরা দলেও ফিরতে পারবেন না। বহিষ্কার করে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি।’
সিলেট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান বলেন, স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থীরা কিছু প্রভাব প্রতিপত্তি খাটাতে চান। তবে প্রশাসন কাউকেই কোনো সুযোগ দেবে না।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে