Ajker Patrika

২০ গ্রামের মানুষের দীর্ঘশ্বাস

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
২০ গ্রামের মানুষের দীর্ঘশ্বাস

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নসহ আশপাশের ২০ গ্রামের মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কিলোমিটার রাস্তা। সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বঙ্গেশ্বর গ্রামের মাজাম মোল্লার মোড় থেকে দীঘা জোড়া সেতু পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। সড়কের কিছু অংশে ইটের সলিং দেওয়া থাকলেও তা ভেঙে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, রাস্তাটি কয়েক গ্রামের মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালু, খানাখন্দে ভরা এবং বর্ষাকালে কাদাপানিতে একাকার হয় যায়। হেঁটে যাওয়াই দুষ্কর ওই রাস্তা দিয়ে। যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এতে এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিতে বেকায়দায় পড়তে হয়। তাঁরা সড়কটি সংস্কার দাবি করেন।

সরেজমিনে জানা যায়, এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে বঙ্গেশ্বর, রায়পুর, চিত্তবিশ্রামসহ পাশের দীঘা ও বাবুখালী ইউনিয়নের প্রায় ২০ গ্রামের অর্ধলাখ মানুষ। তাঁদের উপজেলায় আসার একমাত্র রাস্তা এটি।

জানা গেছে, স্থানীয় যুবসমাজ নিজ উদ্যোগে কিছু কিছু জায়গায় ইট-বালু দিয়ে মেরামত করেছে। কিন্তু তাতেও ভোগান্তি শেষ হচ্ছে না।

চিত্তবিশ্রাম গ্রামের কৃষক আবু তালেব বলেন, ‘এ কাঁচা রাস্তার কারণে আমাদের ফসল নিয়ে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। খেতের ফসল কেনাবেচার জন্য হাট-বাজারে নিতে পারি না। ভ্যান ও নছিমন আসতে চায় না। আবার এলেও অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। কোনো কোনো সময় মালামালসহ ভ্যান বা নছিমন উল্টে জানমালের ক্ষতি হয়। রাস্তাটি পাকা হলে বাঁচতাম।’

স্থানীয় একটি স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলাম জানান, শুকনো মৌসুমে ধুলাবালু ও খানাখন্দ এবং বর্ষা মৌসুমে কাদাপানিতে পরিণত হয় এই রাস্তাটি। ফলে এলাকার মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। এ ছাড়া শিক্ষার্থী ও পথচারীদের চলাচলে এবং কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাস্তাটি পাকা হলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সহকারী প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসেন জানান, রাস্তাটি পাকাকরণের দরপত্র হয়েছে। আশা করছি, কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত