নুরুল আলম, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ২০১৮ সালের শেষের দিকে। কিন্তু নির্মাণের চার বছরেও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের কাছে ভবনটি হস্তান্তর করা হয়নি। ২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত চারতলার ভবনটি এখন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘশ্বাসের কারণ। আশপাশের উপজেলায় একই সময়ে নির্মিত কমপ্লেক্স উদ্বোধন হলেও, তালা ঝুলছে মিরসরাইয়ের এই ভবনে।
যদিও নিয়ম রয়েছে নির্মাণকাজ শেষ হলে অনধিক ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রকল্প পরিচালকের কাছে ভবন ব্যবস্থাপনা কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাঠানোর। এরপর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডকে চাবি বুঝিয়ে দেওয়ার নিয়ম। কিন্তু কী কারণে এখনো এই কমপ্লেক্স উদ্বোধন হয়নি, সে বিষয়ে কেউ কিছু জানেন না।
জানা গেছে, ২০১৬ সালে সরকার সারা দেশের প্রতিটি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। দরপত্র অনুমোদনের পর ২০১৭ সালে মিরসরাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয় মেসার্স শাহজাহান কনস্ট্রাকশনকে। উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মিরসরাই থানাসংলগ্ন চারতলার এই ভবন নির্মাণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দরপত্রের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালের শেষের দিকে ভবনের কাজ শেষ করে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে (এলজিইডি) বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, ২০২১ সালে উদ্বোধনের জন্য একবার প্রস্তুতি নিলেও পরে তা বাতিল হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি নির্মাণের পর তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভবনের ফটকে ধুলার আস্তরণ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সোলাইমান আজাদ বলেন, ‘অনেক বড় অর্জন এই ভবন। বেঁচে থাকতে চালু দেখে যেতে পারব কি না, জানি না।’
মিরসরাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের প্রশাসক ও ইউএনও মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে জেলা প্রশাসক স্যার আমাকে এই ভবনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন। একবার উদ্বোধনের জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। এরপর আর ভবন আমাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।’
কমপ্লেক্স ভবনটি বুঝে নিতে চেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘চেয়েছি। তবে কাজ সমাপ্ত হলেও কেন দিচ্ছেন না, সেটি প্রকৌশলী বলতে পারবেন।’
ভবন নির্মাণ কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহমদের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স শাহজাহান কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী শাহজাহান বলেন, ‘আমরা দরপত্রের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়কে বুঝিয়ে দিয়েছি। উদ্বোধনের দায়িত্ব তাঁদের।’
উপজেলা প্রকৌশলী রনি সাহা বলেন, ‘ভবনের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে অনেক আগে। বুঝিয়ে না দেওয়ার কোনো কারণ দেখি না। আমি নতুন এসেছি। ফাইল দেখে বলতে হবে।’
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ২০১৮ সালের শেষের দিকে। কিন্তু নির্মাণের চার বছরেও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের কাছে ভবনটি হস্তান্তর করা হয়নি। ২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত চারতলার ভবনটি এখন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘশ্বাসের কারণ। আশপাশের উপজেলায় একই সময়ে নির্মিত কমপ্লেক্স উদ্বোধন হলেও, তালা ঝুলছে মিরসরাইয়ের এই ভবনে।
যদিও নিয়ম রয়েছে নির্মাণকাজ শেষ হলে অনধিক ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রকল্প পরিচালকের কাছে ভবন ব্যবস্থাপনা কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাঠানোর। এরপর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডকে চাবি বুঝিয়ে দেওয়ার নিয়ম। কিন্তু কী কারণে এখনো এই কমপ্লেক্স উদ্বোধন হয়নি, সে বিষয়ে কেউ কিছু জানেন না।
জানা গেছে, ২০১৬ সালে সরকার সারা দেশের প্রতিটি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। দরপত্র অনুমোদনের পর ২০১৭ সালে মিরসরাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয় মেসার্স শাহজাহান কনস্ট্রাকশনকে। উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মিরসরাই থানাসংলগ্ন চারতলার এই ভবন নির্মাণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দরপত্রের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালের শেষের দিকে ভবনের কাজ শেষ করে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে (এলজিইডি) বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, ২০২১ সালে উদ্বোধনের জন্য একবার প্রস্তুতি নিলেও পরে তা বাতিল হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি নির্মাণের পর তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভবনের ফটকে ধুলার আস্তরণ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সোলাইমান আজাদ বলেন, ‘অনেক বড় অর্জন এই ভবন। বেঁচে থাকতে চালু দেখে যেতে পারব কি না, জানি না।’
মিরসরাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের প্রশাসক ও ইউএনও মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে জেলা প্রশাসক স্যার আমাকে এই ভবনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন। একবার উদ্বোধনের জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। এরপর আর ভবন আমাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।’
কমপ্লেক্স ভবনটি বুঝে নিতে চেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘চেয়েছি। তবে কাজ সমাপ্ত হলেও কেন দিচ্ছেন না, সেটি প্রকৌশলী বলতে পারবেন।’
ভবন নির্মাণ কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহমদের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স শাহজাহান কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী শাহজাহান বলেন, ‘আমরা দরপত্রের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়কে বুঝিয়ে দিয়েছি। উদ্বোধনের দায়িত্ব তাঁদের।’
উপজেলা প্রকৌশলী রনি সাহা বলেন, ‘ভবনের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে অনেক আগে। বুঝিয়ে না দেওয়ার কোনো কারণ দেখি না। আমি নতুন এসেছি। ফাইল দেখে বলতে হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে